আঠারো জুন সকাল থেকে ছুটছিলাম। এক রাস্তায় ঘুরে আসতে হলো দুবার তিনবার করে। কয়েকটা এ্যাপয়েনমেন্ট পাশাপাশি। আবার কোথাও পৌঁছে যাচ্ছিলাম সময়ের আগে কোথাও যাওয়ার জন্য দুই এ্যাপয়নমেন্টর সময়ে টানাটানি লেগে যাচ্ছিল।
সকাল থেকে চলতে চলতে রেডিও শুনছিলাম অনেকদিন পর। রাস্তা হাতের রেখার মতন পরিচিত। তাই জিপিএসের দরকার নাই।রেডিও শোনার আগ্রহ ছিল শহরের ভোটের খবর জানার জন্য। ইদানিং এই বিষয়ে বেশি মন দিতে ইচ্ছা করে না। তারপরও জানার ইচ্ছা, কে হচ্ছে শহরের মেয়র আপটু ডেট থাকার জন্য।
রাজনীতি করা, দল করা লোকজনের কাণ্ড কারখানা অদ্ভুত। কখন যে মন বদলে যায় ঠিক নাই। যিনি আগের মেয়র ছিলেন। তার বেশ সুনাম ছিল। চৌদ্দ সাল থেকে জনপ্রতিনিধি আছেন।বাঁধাহীন জিতে আসছেন। পরেরবারও হয়তো জনগন উনাকে প্রতিনিধি বানাত।
কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে হঠাৎ ঘোষনা দিলেন তিনি মেয়রের পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। বিষয়টা উনার ব্যাক্তিগত। তিনি এখন পরিবারের সাথে সময় কাটাতে চান।
কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের জীবনের ব্যাক্তিগত কিছুই আর গোপন থাকে না। তাই জানা হলো উনি অফিসের একজন প্রাক্তন কর্মচারীর সাথে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে তার অফিস থেকে সরে দাঁড়াবেন।কলিগের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন।
এই অবস্থায় নিজেই তিনি এখন নিজেকে যোগ্য মনে করছেন না। আর ঝড়ঝাপটা যা ঘরে আসছে তা সমলানোর দ্বায়িত্ব নিয়ে তিনি নিজের মুখ লুকাতে চাইছেন জনগনের থেকে।
এত ভালোমানুষ যার কাজ নিয়ে তেমন অভিযোগ ছিল না। ৬৮ বছর বয়সী মেয়র এবং ছেল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরেে প্রেমের বিবাহিত জীবনযাপন করছেন। তিনি জড়িয়ে গেলেন পরকীয়ায় একত্রিশ বছর বয়সী প্রাক্তন কর্মচারীর সাথে । সম্পর্ক শুরু হয়েছিল যখন তিনি মহিলার বস ছিলেন এবং তিনি নিজেই এটিকে "গুরুতর" অপরাধ বলে অভিহিত করেন।
তিনি নিজের জীবনের বেগতিক অবস্থা করে, নির্বাচনের নয় মাস আগে মধ্যবর্তি সময়ে শহরের মেয়র নির্বচনের জন্য এক বিশাল ব্যয় চাপিয়ে দিয়ে সরে গেলেন।ভিুলের মাশুল নিয়ে।
সেই নির্বাচনের অগ্রীম ভোট হচ্ছে তার খবর শুনছিলাম। এর মধ্যে শুনতে পেলাম একটা হেলিকাপ্টার ক্র্যাশ করে রাতের বেলা নদীতে পরে গেছে। চারজন যাত্রী ছিলেন দুজনকে মৃত পাওয়া গেছে আর দুজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এরা সবাই ছিলেন এয়াফোর্সের সদস্য।
তারপর পরই টাইটানিক দেখতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানের খবর। টাইটানিক দেখতে গেছেন টাইটানে করে পাঁচজন যাত্রী। এদের একদিনের অক্সিজেন আছে তার মধ্যে যদি উদ্ধার করা যায় তাহলে হয়তো বেঁচে যাবে মানুষগুলো। তবে সমুদ্রের এত তলে ডুবে গেছে সাবমেরিনটির সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
আজ জানা গেল সাবমেরিনটি বিস্ফোরিত হয়েছে, রোবট পাঁচটি টুকরা খুঁজে পেয়েছে সাবমেরিনের।
কানাডায় টাইটানিক মিউজিয়াম: টাইটানিক ভক্তদের জন্য একটি অবশ্যই দেখার বিষয়। কানাডার টাইটানিক মিউজিয়াম নোভা স্কটিয়ার হ্যালিফ্যাক্সে অবস্থিত। জাদুঘরটি টাইটানিক জাহাজ এবং এর যাত্রী এবং ক্রুদের স্মৃতিতে উত্সর্গীকৃত। জাদুঘরে টাইটানিকের গ্র্যান্ড সিঁড়ির একটি প্রতিরূপ, সেইসাথে জাহাজের নির্মাণ, ডুবে যাওয়া এবং উদ্ধারের প্রদর্শনী রয়েছে। অনেক যুদ্ধ জাহাজ মিউজিয়াম দেখলেও হেলিফেক্সে খুব কাছ দিয়ে ঘুরে ফিরে বেড়ালেও টাইটানিক মিউজিয়ামে যাওয়ার ইচ্ছা আমার হয়নি। গল্পটাকেই নিজের মধ্যে ধারন করে রেখেছি।
এমন অদ্ভুত সব দূর্ঘটনার খবর শুনতে শুনতে ছুটছিলাম আমি সেদিন। একটার পর একটা কাজ সেরে ফেলার জন্য এদিক থেকে ওদিকে।
সাগরের জলের নিচে অদ্ভুত রহস্য আছে। এই রহস্য আমাকে খুব টানে। কয়েকবার স্কুবা করেছি । সাবমেরিনে চড়ে জলের গভীরে সমুদ্রের জলের নিচে, সমুদ্রের তলদেশ দেখতে আমিও একবার গিয়েছিলাম, ভাবছিলাম পরিবারের সবাই মিলে আমরা বেশ মজা করে ঘুরে এসেছিলাম। সাবমেরিনে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন ভাবনা মনে আসেনি।
টাইটানিকের কাছে কি রহস্য ঘটে গেলো। টাইটান কি ডুবো আইসবার্গে বাড়ি খেলো নাকি খুদ টাইটানিকের সাথেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




