সৌন্দর্য্যের চাহিদা সেই আদিম কাল থেকেই ছিল। বিশেষ করে কিছু কাজ রয়েছে, যেখানে সৌন্দর্য্যটাই মূখ্য। তাই সৌন্দর্য্যের প্রতি কম-বেশি সবাই সচেতন। কিন্তু আজকাল সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞা নিয়ে শঙ্কিত হতে হচ্ছে।
মেয়েদের ছোট চুল কিংবা কাল চুলের ফাঁকে ফাঁকে রঙিন চুল খারাপ লাগে না। বরং যুগের সাথে মানানসই। কিন্তু ইদানীং কিছু অদ্ভূত রঙের চুল এর দেখা মেলে, হঠাৎ দেখলে মনে হয় ভিনগ্রহের কোন প্রাণী !!
ফর্সা হওয়া এখন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইয়ং বয়সের প্রায় সব ছেলেমেয়েই একটু সাদা চামড়ার জন্য মুখে অদ্ভূত প্রলেপ লাগায়। কিছুটা দেয়ালে লাগানো প্লাস্টার এর মত ! ডাক্তাররা বলেন, এই কারণে স্কিন ক্যান্সার এখন কমন একটা রোগ।
টিশার্ট, খুবই জনপ্রিয় পোশাক। আজকাল টিশার্ট এ ছবি, কবিতাসহ নানা ধরনের ডিজাইন বেশ চোখে পড়ে। কিন্তু কিছু ছবি সত্যিই ভয়াবহ। “কঙ্কালের হাসি”, “রক্ত মাখা ছুড়ি”, “রক্তাক্ত হৃদপিণ্ড” ইত্যাদি। আবার কিছু কিছু টিশার্টে দারুণ দারুণ (পড়ুন নিদারুণ) লেখা দেখা যায়। যেমনঃ “ফাক ইউ”, “আই এম এ সাইকো”, “লেটস ডাই”, “অল গার্লস আর বিচ” ইত্যাদি।
সৌন্দর্য্য তাই, যা মানুষকে শুদ্ধ করে, মনে প্রশান্তি দেয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলাকে স্বাগত জানাই; কিন্তু যুগের ভালটা না নিয়ে আবর্জনাকে “যুগের চাহিদা” নাম দিয়ে গ্রহণ করা অবশ্যই বেমানান/বর্জনীয়।