মানব জীবন এর সবচেয়ে বড় বিপদজনক কাল বা অধ্যায় হচ্ছে কিশোর কাল বা বয় সন্ধি কাল।সে সময়কার গাইড লাইনটা সবচেয়ে জরুরি বিষয়।আসেন তেমন একখান গল্প শুনি।
আসিফ ওর বয়স সবেমাত্র ১৪।ওর ক্রাশ হচ্ছে পাশের বাসার দিদি। নাম রিভা। দোষ ওর না।শরীরে ছুটছে নতুন নতুন হরমোন। নারী শরীর দেখলেই কেমন জানি করে।
বন্ধুদের সাথে তর্ক চলছে রমজান ভংগের কারণ কি।যথারীতি ও বলল, খাওয়া যাবে না মোট কথা সমস্ত ধরনের পানাহার হারাম।
ওর বন্ধুরা হাসতে লাগল।কিছু বন্ধু থাকে না যারা ঐ সময়ে নারী পুরুষের মিলনের ব্যাপারটা পুরা না হলে ও ভাসাভাসা জানে।সেরকম এক বন্ধু নাম সোহেল।বলে ফেলল " আরে তুই মেইন কারণ একটা জানছ না। সর্বপ্রথম কারণ যেইটা সেইটা। "
আসিফ বোকার মতন বলে ফেলল কোনটা বাদ গেল?সবাই হেসে বলে দিল " স্বামী স্ত্রী দিনের বেলায় সেক্স করলে রোজা শেষ।এর কাফফারা দিতে হয় কঠিন "।
আসিফ এর মাথায় ঢুকছে না সেক্স কি খাওয়া বা কোন কিছু পানের মধ্যে পড়ে?
যাক সেসব কথা।আসিফ দ্রুত এর উত্তর খোঁজতে আরেক বন্ধুকে নক করল।বাবা, মাকে তো আর জিজ্ঞেস করা যাবে না এসব।
নকিব শুনে প্রথমে হাসল পরে বলল, কাল বাসায় একলা আছি।আব্বা, আম্মা দুজন কাজে চলে গেলে এসে পড়িছ ধর দশটা নাগাদ।তোরে বলছি সব।
আসিফ এর রাতে উত্তেজনায় ঘুম হইল না ভালো।সকাল দশ টায় নকিব এর বাসায় এলো।নকিব ওরে জলদি ওর ঘরে নিয়ে গেল।বাসা ফাঁকা।কেউ নাই।তারপর বলল, দাঁড়া একটু আসছি।
আসিফ অস্থির হয়ে পড়ছে।এমন সময় দেখে নকিবের হাতে কয়টা বই।নকিব বই গুলি দিয়ে বলল, পড়।
আসিফ ফ্রন্ট কাভারে দেখল অর্ধনগ্ন এক নারীর ছবি।জীবনে প্রথম কোন নারীর এমন ছবি দেখছে।ভেতর এর পাতায় কিছু গল্প সাথে সেক্স পজিশন এর নানান কালারফুল ছবি।
আসিফ দেখছে আর ভাবছে অন্য জগতে চলে গেল।ওর পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে উঠছে।তখন আসিফ আন্ডার ওয়ার পড়ত না।যার ফলে স্পষ্ট ওর শক্ত পুরুষাঙ্গটি দেখা যায়।
নকিব দেখে হাসল আর বলল, " কিরে মজা পাচ্ছিস! " আরো মজা পাবি যা বাথরুমে যেয়ে কাজ করে আয়। "
আসিফ লজ্জা পেল।বোকার মতন আবার বলল, কি?
নকিব এর আবারও হাসি।পুরো ব্যাপারটা খুলে বলল আসিফ ও যেন ওর কথামতো তাই করতে লাগল।
এক সময় আসিফ পুরা চটিবাজ হয়ে গেল।অনেকটা নেশাখোর দের মতন।অনেক খিস্তি খেউড় জেনে গেল।পুরা ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেল।কিন্তু তবুও যেন নিজের ভেতর অশান্তি চলতে লাগল। এদিকে ওর রিভাকে দেখে ছুঁতে ইচ্ছে করে।ওরে নিয়ে নানান সেক্স পজিশন চিন্তা করা শুরু করল।লেখাপড়ার অবস্থা খারাপ হতে লাগল।শ্রেনীতে নম্বর পাঁচের ছাত্র এখন কুড়ির ধারে কাছে নেই।
বহুবার তওবা করে কিন্তু কাজ হয় না।দুই দিন পর সেই আবার।একদিন ওর মায়ের হাতে ধরা পড়ে গেল হাতেনাতে।ওর মা সমস্ত চটি বই নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দিল।কড়া মাইর দিল সাথে বকাঝকা করলেন৷
ও লজ্জায় বাথরুমে যেয়ে হার পিক গলায় ঢেলে দিল।ওর মা অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করে যখন দেখে আসিফ দরজা খুলছে না।সবশেষে দরজা ভেংগে দেখে আসিফ আর নাই!
আজ আসিফ এর পনেরতম মৃত্যু বার্ষিকী।রিভার বিয়ে হয়ে গেছে এক বাচ্চা আমেরিকা থাকে।বন্ধুরা যে যার মতন ব্যস্ত! বুড়া বাপ, মা শুধু আফসোস করে আর কাঁদে!
বিদ্র ঃ কেউ মন্দ দৃষ্টি তে নেবেন না। বিষয়টি কিন্তু সিরিয়াস।এখন তো আরও সহজ শুধু স্মার্ট ফোন হাতে থাকলেই চলে!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫৬