তুমি কি বুঝতে পারো সব?
মনে তো হয়না
তোমার বাড়ির সামনে
কেন অবস্থান করি সারাদিন?
কেন এত সময় দিচ্ছি?
একটু ভাবলে হয়না
দুই চার মিনিট ব্যাস!
তাতেই চলবে
খুল্লাম খুল্লা প্রেমের রাজ।
আমি তো সদা
তোমার আশেপাশে
উপর - নীচ
আসমান, পাতাল
ডুব, সাঁতার, ভাটা-জোয়ার,
সব খানে বিরাজ।
তোমারে দেখলেই তো শুরু হয়ে যায়
ভেতর ঘরে বান তুফান
ঝড় বাদল
একটা বৃষ্টি ভেজা দুপুর
যেখানে আমি ভিজে চলেছি অবিরত
তুমিই বলো,
একলা একলা কত?
তোমারে চাইছি যে আরো।
তোমার পাশের বাড়ির জুনিয়র ছোকরা
কেন আমার বন্ধু ?
কেন ওদের ছাদে আড্ডা জমাই?
খোলা জানালা দিয়ে
তোমার বিছানা দেখি
পরিপাটি বড় ফুলের চাঁদর
কেমন লাগে বলো?
কেন মেঘে ঢাকা আসমানে চাঁদ খুঁজে বেড়াই?
এসবের কারণ তুমি
এ তুমি বেশ জানো !
তবুও খুকিপনা করো।
মেলা প্রশ্ন হয়ে গেল
উত্তর হ্যাঁ অথবা না
কিছু তো বলো?
আমার সবকিছুতে তুমি
কাঁপুনি জ্বর থেকে হাঁচি-কাশি
দৈর্ঘ্য নয় ইঞ্চি
প্রস্থে দুই দশমিক সাত
পুরু এক দশমিক পাঁচ
যন্ত্র খানি যখন নাড়াচাড়া করি
ভাবি তুমি।
যখন কম্পিউটার এর সামনে থাকি
এত জটিল অংকের ভেতর
সহজ সরল হাজির তুমি।
যখন মাউসটাতে আংগুল দুটি চলে
ভাবছি
তুমি,
তোমার গোটা শরীর !
যখনই পকেট হাতরে খুচরো খুঁজি
দেখি মালামাল তুমি !
আমার রোগ তুমি
দাওয়াই তুমি
দোয়া তুমি।
দুঃখ হয় মেয়ে
দুঃখ হয়
তুমি শরীর, মন কিছুই চাইলা না
পইড়া গেলা
হিসেব কইরা গেলা
ই ইকুয়েল্টো এম সি স্কয়ার
অথচ
তোমায় নিয়া লিখা হাজার কবিতা
যা আজ বেকার !
দুঃখ হয় মেয়ে
দুঃখ হয়
দরকার হলে খবর দিও
কলিজা ছিঁড়া হাতে দিমু
চাইলে পাইবা
বিনে পয়সার আগ্রাসী চুমু !
২৪ নভেম্বর ২১।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫১