প্রায় প্রায়ই শুনি ব্লগ ঝিমিয়ে গেছে। পিছিয়ে গেছে। আগের মতন কিস্যু নেই।আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম! ইত্যাদি হ্যানত্যান আগডুম বাগডুম। আসলে ব্লগ ঠিকই আছে আমরা সব যন্ত্র হয়ে গেছি। ব্লগ মানেই কি সারাক্ষণ ইসরায়েল হামাস যুদ্ধ? আওয়ামী বি এন পি? ধর্ম এবং কঠিন কথার ফুলঝুরি? তবে কি ব্লগ মানেই রসকষহীন একটা জীবন?
না, না, এ কি করে সম্ভব! অসম্ভবকে সম্ভব করে যদিও অনন্ত জলিল! আমরা কি ফুরিয়ে গেছি?
এখনো কব্জিতে জোর আছে দুই চাইরটা কাইত করে দিতে পারি। এই যা সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছি।
এই লন আর বেশীক্ষণ ধরে রাখা সম্ভব নয় । যদিও রিউমার আছে বাঙালি কিছুই বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। সে হোক দেশের গণতন্ত্র আর স্বাধীনতা ! আবারও সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছি। এর জন্য কে দায়ী ?
চলেন জীবনের গল্প বোঝার চেষ্টা করি।
আক্কাস বিকেল বেলায় বউরে ইচ্ছেমতো উত্তম মাধ্যম দিয়ে বাজারে চলে গেল। রাতে ঘরে ফিরে দেখে বউ পিছন দিক দিয়ে শুয়ে আছে। আক্কাস জামা কাপড় চেঞ্জ করে লুংগী, গেঞ্জি পড়ে খাটে গিয়ে বউ এর কাছে শুতে গেল।
কি ভাবছেন? হুম, উলটা সিধা ভাবা একদম চলবে না। দাঁড়ান আপনার পিতামাতাকে ডাকছি। ওসব চিন্তা ছাড়েন বলছি।
আক্কাস বউ এর শরীরে হাত দিতেই বউ কেঁদে কেঁদে বলছে, বিকালে না মাইরছুন। এহন শইলে হাত দ্যান ক্যারে? হা হা হা
আক্কাসের রাতে আর ঘুম হলো না ভালো। সকালে মুখ ধুইয়ে বাজারে চলে গেল। ভাবছে বউরে খুশি করতে কিছু বড় মাছ,মাংস কিনে নিবে। সব কিছুর দাম দেখে আগুন। তেমন কিছুই কিনতে না পেরে মন খারাপ করে ঘরে ফিরছে।পথিমধ্যে বাল্যবন্ধু আকরামের সাথে দেখা। আকরাম বন্ধুর শুকনো মুখ দেখে জিগাইলো, কিরে চেহারা এমন শুকনো ক্যা?
আক্কাসের উত্তর, আর কইছ না বাজারে গেছিলাম দেখি সব্জি থেকে মাছ, মাংস সব আগুন । আকরাম বলল, হুম বুঝছি। তা দুধ লইয়া যাতি একটু দই পায়েস খেতে পারতি । আক্কাস কয়, দুধে তো হাতই দেয়া যায় না ! হা হা হা
এরপরেও যদি কেউ বলেন ব্লগ ঘুমায় কিংবা ঝিমায় বা ফুরিয়ে গেছে। তাহলে অতি দ্রুত চিকিৎসা করান কারণ আপনি যন্ত্র হয়ে গেছেন।
ও একটা বাংলা ছবির গান মনে পড়ছে,
ভেংগেছে পিঞ্জর
মেলেছে ডানা
উড়েছে পাখি
পথ অচেনা
নিড়েরই ঠিকানা পাবে কি না
পাখি তা নিজেই জানে না.....
লা লা লা লা....
হ্যাপি ব্লগিং ....
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭