প্রেম,ভালোবাসা নিয়ে লিখালিখি করা মানে প্রেমে পড়া কিংবা কাওকে ভালোবাসা নয়!!!!!!!!!!!!!!!!
আমি প্রেম ভালোবাসা নিয়ে লিখালিখি করি তার মানে এই নয় যে আমি প্রেমে পড়েছি কিংবা কাওকে ভালোবেসেছি।আমার মনে হয় মানুষ যখন একা থাকে তখনই মানুষ ভালোবাসা,প্রেম এগুলো নিয়ে বেশী চিন্তা করে আর সে চিন্তার প্রতিফলন হয় তার লিখালিখিতে।প্রেমে পড়লে লিখলিখির সময় পাওয়া প্রায় অসম্ভব কেননা তকন তাকে তার প্রিয় মানুষটির ভালোলাগা মন্দ লাগা ইত্যাদি নিয়ে বেশী মাথা ঘামাতে হয়।লিখালিখির ফুরসত কোথায়!
আমি মনে করি মানুষ একবারই প্রেমে পড়ে আর সে প্রেম গভীর হয়ে যদি ভালোবাসায় রূপ নেয় তাহলে সে ভালোবাসার মানুষকে কখনোই মন থেকে সরানো সম্ভব নয়।যদি কোন কারনে সে ভালোবাসার মানুশটিকে একান্ত আপন করে কাছে পাওয়া না যায় তাহলে দুই ধরনের ঘটনা ঘটে।
১-ভালোবাসার মানুশটিকে হারানোর বেদনায় আমরা বিষণ্ণতায় ভূগী।
২-আমারা তার বিকল্প কাওকে খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করি।
উপরোল্লেখিত দুইটি কাজ ই ভীষণ কষ্টকর। বিষণ্ণতা আমাদেরকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয় আর ভালোবাসার মানুষটির বিকল্প কাওকে পাওয়া আরো দূরূহ ব্যাপার।
আমরা যারা লিখালিখি করার চেষ্টা করি তারা তাদের চারপাশের পরিবেশ থেকে বিভিন্ন বিষয় বা থিম কে পুঁজি করে লিখি।তার সাথে যোগ হয় লেখকের নিজস্ব ধ্যান ধারণা।একজন লেখক যখন লেখেন তখন তাকে বিভিন্ন চরিত্র কে নিজের ভেতরে ধারন করেন।সে কাজটি করতে গিয়ে তাকে মানব চরিত্রের নানা দিক পর্যবেক্ষন করতে হয়।পরবর্তিতে সে তার পর্যবেক্ষনকৃত উপাত্তের সাথে নিজের মতামত ও ধ্যানধারণার মিলন ঘটান তার লেখনীর মাধ্যমে।
এ ক্ষেত্রে অনিক খানের একটা অনুকাব্য না বলে পারছিনা-
দোষ দিওনা আমায় তুমি
হঠাৎ চলে গেলে-
সকল কবি শব্দ এবং
হৃদয় নিয়ে খেলে।
তাই যদি কখনো কাওকে প্রেম ভালোবাসা নিয়ে লিখালিখি করতে দেখেন তবে এটা মনে করলে ভূল করবেন -যে সে প্রেমে পড়েছে!
বরং এটা মনে করা যৌক্তিক যে সে তার একাকিত্বকে ঢাকবার জন্যেই ভালোবাসার রঙ নিয়ে খেলা করছে এই ভেবে যে সে রঙের খানিকটা তার বিবর্ণ মনকে রাঙিয়ে দিবে এই ভেবে..............................

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






