কাশবনের পাশে দূর্বাঘাস এর উপর বসে থাকা হয়তো এখন আর হবে না।
হয়তো ঘাসগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে, হয়তো ওখানটায় আর কেউ আসে না।
পার্কের পাশে বসে থাকা ওই পাগলটা আজও হয়তো কারও মাথায় হাত রেখে সারাজীবন সুখী হওয়ার কথা জানাতে অপেক্ষা করে যাচ্ছে। সেই চিরচেনা মুখগুলো আসবে, মাথায় হাত রাখবে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে। আজ হয়তো তার ইচ্ছা পূরণ করার নতুন মানুষ এসেছে। পুড়নো মানুষের স্মৃতিগুলো হয়তো ভুলে গেছে সে।
তখন বাদামগুলো নষ্ট ছিলো না, আজ হঠাৎ খোসা থেকে নষ্ট বাদামগুলো বের হয়ে আসছে এক এক করে।
আজ স্মৃতিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, স্মৃতিচারণের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে আসছে।
ভালোবাসাগুলো সেই কাশবনের পাশে দূর্বাঘাসে, সেই পাগলটার কারও মাথায় হাত রাখার আক্ষেপ, আর সেই ভালো বাদামের মাঝে হামাগুড়ি দিয়ে চলছে। ভালোবাসাগুলোও বুঝতে চায় না, হামাগুড়ি দিয়ে আত্মা চলতে পারে ভালোবাসা না...!