প্রেমে পড়ার আগে একটা মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই অন্য কারও শাসনে চলতে চায়।
প্রেমে পড়ার পরও সে সেই শাসনে চলতে চায় কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর তার ওই ইচ্ছা আর থাকে না। প্রিয় মানুষের শাসনে আর চলতে ইচ্ছে হবে না।
মানুষের একটা জিনিসের প্রতি ততদিন পর্যন্ত আগ্রহ থাকে যতদিন পর্যন্ত ওই জিনিসটা সম্পর্কে তার ধারণা না থাকবে। ধরুন আপনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কোনদিন যান নাই, তো ওই সমুদ্র সৈকতের প্রতি একটা আগ্রহ আপনার থাকবে। যখন আপনি সমুদ্র সৈকতে চলে যাবেন, সেখানের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন তখন আগের মত আগ্রহটা আর আপনার থাকবে না। কারণ ওই জায়গাটা সম্পর্কে আপনি সবই জেনে গেছেন।
ভালোবাসার ক্ষেত্রে ঠিক একই থিউরি কাজ করে। ততদিন পর্যন্ত একজন শাসন করতে চায় আর একজন শাসনের নিচে আসতে চায় যতদিন পর্যন্ত একজন আর একজনকে না জানে। যখন একটা মেয়ে বা একটা ছেলের সম্পূর্ণ বর্ণনা যখন ওই মানুষটা মুখস্থ করে নিবে তখন আর আগ্রহ থাকবে না।
তখন দেখা যাবে, যেই মানুষটা শাসন করতে চাইতো সে আর আগ্রহ ভরে শাসন করছে না। যে কিনা শাসনের মাঝে থাকতে চাইতো সে আর ওই মানুষটার শাসন সহ্য করতে পারছে না। দূরত্বটা এভাবেই সৃষ্টি হয়.....
ভালোবাসাটা একটা সার্কেল এক একটা ধাপের মত। আপনি একটা সার্কেল থেকে আর একটা সার্কেলে আগ্রহ ভরে যেতে পারেন কিন্তু ওই সার্কেলে যাওয়ার পর আপনার আর করার কিছুই থাকবে না। তখন ওই সার্কেলের নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে চলতে হবে।
একটা সম্পর্ক যতই গভীর থাকুক না কেন সেটায় কোন বাঁধন থাকে না। একটা অপরিচিত মানুষের সাথে বিয়ের পর একজন আর একজনের সাথে সারাজীবন পার করে দিচ্ছে। সেখানে বিয়েটা বাঁধন হিসেবে কাজ করে। একটা সামাজিকতা, একটা পরিবেশ তখন দুইজনকেই বেঁধে ফেলে। একটা সময় তাদের চাহিদার অতৃপ্তি আসলেও কিছু বাঁধনের কারণে তারা একজন আর একজনের কাছ থেকে আলাদা হতে পারে না।
তাই চাহিদাগুলো দূরে রেখে একজন আর একজনের সাথে বিয়ের আগে পর্যন্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারলে ভালোবাসার সুন্দর একটা হ্যাপি এন্ডিং হতে পারে।
এই হতে পারার সময়টা যেন সবার ভাগ্যেই আসে একদিন...।
ভালোবাসা বেঁচে থাক সারাজীবন……