somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসার শাসনগুলো…

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রেমে পড়ার আগে একটা মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই অন্য কারও শাসনে চলতে চায়।
প্রেমে পড়ার পরও সে সেই শাসনে চলতে চায় কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর তার ওই ইচ্ছা আর থাকে না। প্রিয় মানুষের শাসনে আর চলতে ইচ্ছে হবে না।

মানুষের একটা জিনিসের প্রতি ততদিন পর্যন্ত আগ্রহ থাকে যতদিন পর্যন্ত ওই জিনিসটা সম্পর্কে তার ধারণা না থাকবে। ধরুন আপনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কোনদিন যান নাই, তো ওই সমুদ্র সৈকতের প্রতি একটা আগ্রহ আপনার থাকবে। যখন আপনি সমুদ্র সৈকতে চলে যাবেন, সেখানের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন তখন আগের মত আগ্রহটা আর আপনার থাকবে না। কারণ ওই জায়গাটা সম্পর্কে আপনি সবই জেনে গেছেন।
ভালোবাসার ক্ষেত্রে ঠিক একই থিউরি কাজ করে। ততদিন পর্যন্ত একজন শাসন করতে চায় আর একজন শাসনের নিচে আসতে চায় যতদিন পর্যন্ত একজন আর একজনকে না জানে। যখন একটা মেয়ে বা একটা ছেলের সম্পূর্ণ বর্ণনা যখন ওই মানুষটা মুখস্থ করে নিবে তখন আর আগ্রহ থাকবে না।

তখন দেখা যাবে, যেই মানুষটা শাসন করতে চাইতো সে আর আগ্রহ ভরে শাসন করছে না। যে কিনা শাসনের মাঝে থাকতে চাইতো সে আর ওই মানুষটার শাসন সহ্য করতে পারছে না। দূরত্বটা এভাবেই সৃষ্টি হয়.....

ভালোবাসাটা একটা সার্কেল এক একটা ধাপের মত। আপনি একটা সার্কেল থেকে আর একটা সার্কেলে আগ্রহ ভরে যেতে পারেন কিন্তু ওই সার্কেলে যাওয়ার পর আপনার আর করার কিছুই থাকবে না। তখন ওই সার্কেলের নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে চলতে হবে।

একটা সম্পর্ক যতই গভীর থাকুক না কেন সেটায় কোন বাঁধন থাকে না। একটা অপরিচিত মানুষের সাথে বিয়ের পর একজন আর একজনের সাথে সারাজীবন পার করে দিচ্ছে। সেখানে বিয়েটা বাঁধন হিসেবে কাজ করে। একটা সামাজিকতা, একটা পরিবেশ তখন দুইজনকেই বেঁধে ফেলে। একটা সময় তাদের চাহিদার অতৃপ্তি আসলেও কিছু বাঁধনের কারণে তারা একজন আর একজনের কাছ থেকে আলাদা হতে পারে না।

তাই চাহিদাগুলো দূরে রেখে একজন আর একজনের সাথে বিয়ের আগে পর্যন্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারলে ভালোবাসার সুন্দর একটা হ্যাপি এন্ডিং হতে পারে।
এই হতে পারার সময়টা যেন সবার ভাগ্যেই আসে একদিন...।
ভালোবাসা বেঁচে থাক সারাজীবন……
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×