হামাস যদি ভাবে রকেট হামলা করেই তারা বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি ফিলিস্তিনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারবে এবং বিশ্বনেতারা ইসরাইলকে চাপ দিতে থাকলে তারা সময়মত তাদের দশ দফা দাবির সফল উত্থাপন করবে তাহলে শুধু রক্তই ঝরে যাবে না তাদের স্বধীনতা আরো বেশি সংকুচিত হয়ে যাবে । এই রকেট হামলাকে ইস্যু করেই ইসরাইল আরো বেশি হামলা করবে এবং করছেও তাই । আরো বেশি মানুষ মরছে । বিমান হামলার সাথে ইসরাইল এখন আবার স্থল অভিযান শুরু করেছে । উদ্দেশ্য হামাসের অস্ত্র ঘাঁটি এবং বিভিন্ন গোপন সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা । এসবকিছুর সাথে চলছে বেসামরিক মানুষ পোড়ানোর নির্মম খেলা । সবকিছুই বেশ জমজমাট । ইসরাইল মানুষ মেরে মজা পাচ্ছে । হামাস ফিলিস্তিনের জনগণের এই দূর্দশা দেখে মজা পাচ্ছে । বিশ্ব নেতারা মানুষ পোড়ানোর নির্জীব বিরোধীতা করে মজা পাচ্ছে । সামাজিক এবং মানবিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন রকম বিবৃতি দিয়ে মজা পাচ্ছে ।
ফিলিস্তিনে হামলা চালানোর এবারের সুযোগ কিন্তু হামাসই করে দিয়েছে । ইসরাইলের ৩ জন বালককে অপহরণ এবং হত্যা করে । তারপরেও তারা তাদের নুপংসুক রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে । যদিও তারা জানে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা শক্তিশালী ! আমেরিকা এই হামলা চালাতে উপরে উপরে জত কিছুই বলুক না কেন শেষে গিয়ে দেখা যাবে এসবকিছুতেই আমেরিকার সম্মতি আছে । আমেরিকার মত আরো অনেক দেশই হয়ত গোপনে গোপনে তাই করবে । কারণ ইসরাইল এখনকার বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র । আর ফিলিস্তিন তো সব দিক থেকেই পঙ্গু, মেরুদন্ডহীন দেশ । বর্তমান সময়ে ইসরাইলকে আমেরিকাসহ যে কোন শক্তিশালী কিংবা উদিয়মান যে কোন দেশের জন্যই দরকার । তবে ফিলিস্তিনও নিরুপায় । তাদের হারানোর খুব বেশি কিছু নেই । ফিলিস্তিন আসলে ইসরাইলের কাছে মুঠোবন্দী । গাজার সমুদ্র বন্দর অবরুদ্ধ । অনেক স্থল বন্দরও অবরুদ্ধ । তারা নিজেদের দেশেও চরমভাবে বন্দী । ২০১২ সালের যুদ্ধ বিরোধীতে ফিলিস্তিনের উপর থেকে সব ধরণের অবরোধ তুলে দেয়ার কথা থাকলেও ইসরাইল তা এখনও করেনি । তাই আরো কিছু জীবনের বিনিময়ে যদি কোন চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইল দীর্ঘ কিছু সময় যুদ্ধ বিরতিতে যায় এবং ইসরাইল ফিলিস্তিনের উপর থেকে সব ধরণের অবরোধ তুলে নেয়, এইটাই আশা ।