-এবার বলুন, আপনার এই আশ্চর্য রকমের মুসাফিরত্বের
কারণ কি?
-হা হা ভাই জীবনটাই তো মুসাফিরের খেলা, তাই নয় কি?
-সেটা না হয় বুঝলাম কিন্তু এই মুসাফিরের জীবনে আবার
কেন মুসাফিরত্ব?
-সুন্দর প্রশ্ন। কিন্তু আপনি আমার অতীত সম্পর্কে
জানেন না?
-জানি না কিন্তু এখন জানতে চাই, দয়াকরে জানাবেন কি?
-না! এখন জানানোটা মুটেও সম্ভব না, কেননা আমার
জীবনী ইতিহাসটা অনেক লম্বা। যেটা এই সময়ে বলে
শেষ করা যাবে না, তা ছাড়া হাতে সময়ও খুব ক্ষীণ। এই
সময়ের ভিতরেই আমাকে আরো অনেক জায়গায়
যেতে হবে।
-অন্তত কি আজকের রাতটা থাকা যায় না? যার মাধ্যমে জানতে
পারি আপনার জীবনাতিহাস। তাছাড়া আপনার প্রতি আমার খুব একটা
কৌতূহলও জন্মে গেছে।
-মানুষ মাত্রই কৌতূহল প্রিয়, তাই আপনার মনেও কৌতূহল জাগাটা
স্বাভাবিক।
- সেটা না হয় ঠিক আছে কিন্তু আপনি অন্য দশজনের
মতো নয়।।
-ভাই আর বসে থাকা সম্ভব নয় আমি এখনই উঠছি, আর সব
কৌতূহল প্রিয়তা আর আমার জীবনাতিহাস, যদি বেঁচে থাকি
তাহলে ফেরার বেলায় সব বলব ইনশাআল্লাহ। ___আল্লাহ
হাফেজ।
...
আকবর সাহেব কে আর কিছু বলতে না দিয়েই উনার ড্রয়িংরুম
থেকে বেরিয়ে সোজাসুজি ভাবে হাটাঁ ধরলাম
মেইনরোডের দিকে। আমাকে এখন যেতে হবে
মেইনরোডে গিয়ে বাঁ দিকে মোড় নিয়ে রহস্যপুরী
গ্রামে। আর রহস্যপুরী গ্রামে পৌছে তার মধ্যখান দিয়ে
গিয়ে আমাকে এর উত্তর পশ্চিমাংশের ডান দিকের রাস্তা
দিয়েই প্রবেশ করতে হবে, রহস্যপুরী জংগলায়।
...
একটা রিস্কা হলে খারাপ হত না মেইনরোডে খুব শীঘ্রই
পৌছাতে পারতাম।
পকেটে হাত দিয়ে দেখলাম একটাকাও নাই মনটা খারাপ হয়ে
গেল কিন্তু খারাপ হলে চলবে না মুসাফিরত্ব নিয়ে সামনে
আগানো চাই।
হেঁটেই চললাম...আছরের নামাজের পূর্বে যদি
মেইনরোড মসজিদে পৌছাতে পারি সেখান থেকে নামাজ
পরে রওনা দিলে রহস্যপুরী গ্রামে পৌছাতে খুব একটা
বেগপেতে হবে না।............(চলবে)
.
সোহাগ আল এহসান