somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ব্রিটেনে মুসলিম বিদ্বেষ বাড়ছে " বিদ্বেষ বাড়ার কারন কি ?

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্রিটেনে মুসলিম বিদ্বেষ বাড়ছে click this link । শুধু ব্রিটেন কেন ? গোটা অমুসলিম বিশ্বেই ইসলাম বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে সেটা আমরা প্রতিনিয়ত খবরের কাগজগুলো দেখলেই বুঝতে পাই । এর পিছনে কারণটা কি ? হিন্দু বিদ্বেষ, বৌদ্ধ বিদ্বেষ, খ্রিস্টান বিদ্বেষ,নাস্তিক বিদ্বেষ এমন কথা তো তেমন শুনি না ।তাহলে শুধুমাত্র মুসলিম বিদ্বেষই কেন এত শুনা যায় ? এর পেছনে যদি কোন কারণ এক লাইনেই বলতে হয় তবে আমি বলব হয়ত অমুসলিমরা খারাব মুসলিমরা ভাল, নয়ত মুসলিমরা খারাব অমুসলিমরা ভাল । এখন অমুসলিম, মুসলিমদের মধ্যে কে খারাব কে ভাল তা নিয়ে একটু আলোকপাত করলেই আমরা সেটা বুঝতে পাব । প্রথমে আসি সারাবিশ্বে মুসলিম, অমুসলিমদের মধ্যে জনসংখ্যা কার কত ? পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যা ৬৫০ কোটি (হয়ত এর বেশিও হতে পারে) যার মধ্যে মুসলিম ১৫০ কোটি এবং অমুস্লিম(অন্যান্য ধরমাবলম্বি+নাস্তিকবাদি) ৫০০ কোটি । এই ৫০০ কোটি অমুসলিমদের মধ্যে বিভিন্ন আদর্শের গোষ্ঠী সম্প্রদায় যদি এক হয়ে থাকতে পারে তাহলে ১৫০ কোটি মুসলিম সবারই সাথে মিলেমিশে থাকতে পারবে না কেন ? বুঝতেই পারছেন মুসলিমরা কতটা ভাল(!)


অমুসলিমদের মধ্যে যে সম্পর্কের অবনতি হয় না সেটা কিন্তু না, কিন্তু সেটা বৈশ্বিক রাজনীতির কারনে । এটা মূলত তীব্র জাতীয়তাবোধের কারনে সম্পর্কের ফাটলের সৃষ্টি হয়ে থাকে । কিন্তু মুসলিমদের বেলায় এর সাথে ইসলামী জাতীয়তাবোধ যুক্ত হয়ে ব্যাপারটা অনেকটাই ডামাডোলের সৃষ্টি করে । আর একারনেই সেটা আধুনিক সমাজব্যাবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় মুসলিমরা সেটাকে ধর্মীয় কারণ বসত মেনে নিলেও অমুসলিমরা মেনে নিতে পারে না । ফলে শুরু হয় সংঘর্ষ । যেমন নিজের দেশে মারামারি শুরু করে যখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে বাহিরের অন্য কোন দেশে আশ্রয় নিতে হয় আর যখন একটু সংখ্যায় বেশি হয় ঠিক তখনি দাবি করে বসে শরিয়া আইন যা অন্যের জীবন ব্যাবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক । শুরু হয়ে যায় সেখানে মুসলিম বিদ্বেষ । আর এই খবরের হেড লাইন শুনে মুসলিমরা মনে মনে কতই না ক্ষোভ করে, অমুসলিমরা কত খারাব । তাদের দাবি, চাওয়া পাওয়া যে একদমই অযৌক্তিক এই আসল সত্যটা তারা মানতে চায় না ।


বুরখা কেন এই আধুনিক যুগেও পরতে হবে ? যেই বুরখার ভিতরে সন্ত্রাশি,জঙ্গিবাদি,বোমাবাজি করা হয় সেই বুরখা দেখে যে কেউ আতকে যাবে এবং সেই মনের ভয় দূরীকরণে বুরখার বিরোধিতা যে কেউ সচেতন মানুষ হিসেবে করবে এটাই তো স্বাভাবিক । একটা ধর্ম যখন গড়ে উঠে তখন সেটা সেখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি, ভৌগলিক অবস্থান,আর্থ সামাজিক অবস্থা সব কিছু বিবেচনা করেই কিন্তু ধর্ম টা গড়ে উঠে । ইতিহাস পড়লে জানা যায় আগেরকার দিনে রাজা বাদসারা সুন্দরি কোন মেয়ে দেখলেই নাকি তার চ্যালাপেলাদের দ্বারায় ধরে নিয়ে যেয়ে ফুর্তি করত । সেই বিবেচনা প্রসূত মেয়েদের বুরখার আবির্ভাব । কাজেই ১৪০০ বছর আগে ইসলামে মেয়েদের জন্য বুরখা নিশ্চয়ই তখনকার সমাজ ব্যাবস্থায় গ্রহণযোগ্য ছিল । কিন্তু সেই বুরখা এখন সময়ের প্রয়োজনে তার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে । এখন তো সেই একনায়কতন্ত্র শাসন ব্যাবস্থা নেই যে মেয়েদের হেনস্থার শিকার হতে হবে । পুরুসতান্ত্রিকতার থাবা আমাদের আধুনিক সমাজ থেকে দূর করে সমতা আনার চেষ্টা চলছে সেখানে ধর্মের দোহাই দিয়ে মেয়েদের ঘরবন্দি করে রাখাটা মোটেও সমীচীন নয় । অবশ্য তেতুল তত্ত্ব কাজ করলে যাদের মেয়ের চোখ দেখলেই নাকি যৌন সুড়সুড়ি জাগে তাদের বিরুদ্ধে আমার বলার তেমন কিছু নেই । শুধু বলব নিজের বিকৃত মস্তিষ্ক টার একটু চিকিৎসা করে মেয়েদের শুধুমাত্র নারী না ভেবে মানুষ ভাবতে শিখুন ।


সব ধর্মেই কম বেশি কুসংস্কার আছে , নানা ফতোয়াবাজ কথা বাত্রা আছে ।যেমন হিন্দুদের মনুসংহিতায় এরকম অনেক ফতোয়াবাজ কথা আছে । সেকেলের সেই প্রাচীন ধর্ম গুলোর মধ্যে এসব ফতোয়াবাজ কথা থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয় । সমস্যাটা তখনি দ্বারায় যখন ঐ সময় গুলোকে বর্তমানে টেনে নিয়ে আসা হয় । অবশ্য এক্ষেত্রে মুসলিমরা বাদে অমুসলিম সম্প্রদায় অনেকটাই আপডেট । অমুসলিমদের মধ্যে কেউ ধর্মের পুরাতন ভার্সনে আবদ্ধ থাকলেও তারা তাদের ব্যাক্তিত্বকে নতুন ভার্সনে আপডেট করে নিয়েছে । কিন্তু মুসলিমরা তারা তাদের ধর্মের পুরাতন ভার্সনে নিজের ব্যাক্তিত্বকেও পুরাতন ভার্সনে আবদ্ধ করে রেখেছে । কেননা সবসময়ই তাদের মাথায় ঘোরপাক খায় ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান ।যতদিন না মুসলিমদের মাথা থেকে এই পুরাতন ভার্সনের ভাবনাগুলো সরে যাচ্ছে ততদিনই তারা শুধু অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষের শিকার হবে এবং মুসলিমরা ততদিন পিছিয়েও থাকবে ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৮
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×