(১) চীনে মুসলিমদের নামাজ রোজা নিষিদ্ধ, প্রায়ই ঈদের অাগে এরকম একটা খবর নজড়ে অাসে।
(২) সাম্প্রতি সময়ে ভারতের উগ্র গো-রক্ষাকারী হিন্দুরা গরু খাওয়ার জন্য মুসলিমদের উপর অাক্রমণের খবর উঠে অাসলে, তা নিয়ে ব্যপক অালোচনার ঝড় উঠে । প্রতিবাদস্বরুপ ধর্মের প্রচলিত নিয়মনীতি ভেঙ্গে অনেক হিন্দুই গো-মাংস খেয়েছিল, অাবার অনেক উচ্চপদস্থ ব্যাক্তিবর্গ রাষ্ট্র কতৃক প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পুরষ্কারটিও ফিরে দিতে কুন্ঠাবোধ করে নি। ভারতে যেমন মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার হয় তেমনিভাবে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল লোক সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক।
.
ভারতের মাইনোরিটি মুসলিমদের রাষ্ট্রিয় কতৃক অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। কয়েকটা উল্লেখ করছিঃ মসজিদের ইমামদের বেতন ভাতা, মুসলিম ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পাস করলেই তাদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অালাদাভাবে মুসলিমদের জন্য হোস্টেল ব্যবস্থা। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় বলতে গেলে, বাংলাদেশের থেকে ভারতেই এগিয়ে। হজ্বের জন্য রাষ্ট্রিয়ভাবে অার্থিক সহযোগীতা এগুলো কি ভারতের মুসলিমদের উপর সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের সহানুভুতিশীল অাচরণ নয়? চীনের মুসলিমদের থেকে কি ভারতের মুসলিমরা অনেক সুযোগ সুবিধাসহ খুব ভাল ভাবেই অাছে বলে মনে হয় না?
নিজের বিবেক দিয়ে উত্তরটা নিজে নিজেই খুজুন। জানি পেয়ে গেছেন। তারপরও কেন বাংলাদেশী মুসলিমদের চীন-ভারতের রাজনৈতিক বৈরিতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী চীনের উপর কেন এত সমর্থন দেখা যায়। অাসলে কারনটা যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি ধর্মীয় কারণবশত। এই ভারতীয় উপমহাদেশে যতগুলো মুসলিম অাছে তার সিংহভাগই হচ্ছে হিন্দু থেকে কনভার্টেড হয়ে অাসা মুসলিম। তৎকালীন সময়ে এসব কনভার্টেড হয়ে অাসা মুসলিমদের পূর্বপুরুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে খুবই অবহেলিত ছিল ( অাজকের দিনে যেমন দলিতরা) বলে মুসলিম ধর্ম প্রচারকরা সেই অবহেলিত হওয়ার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে তাদের প্রলোভনের ফাঁদে পরে পরবর্তিতে তারা মুসলিম হয়ে যায়। কাজেই সেইসব কনভার্টেড হওয়া মুসলিমদের হিন্দু বিদ্বেষি মনোভাব রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনও তাদের মনে সুপ্ত অবস্থায় হলেও তা অাছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। অার এই কারণেই বাংলাদেশী মুসলিমদের কাছে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম দেশের তালিকায় ইসরাইলের পরেই যদি কোন দেশ স্থান পায় - তা হচ্ছে ভারত!!