মেডাম- কি ব্যপার অনিতা! তুমি পরীক্ষার খাতায় লিখছনা কেন? তুমি কি অসুস্থ সোনা?
অনিতা- জি না অসুস্থ নয়, এইত লিখছি মেডাম।
মেডাম- ধন্যবাদ লিখ।(কিছুক্ষন পর অনিতার খাতার ভাজে নকল টের পেয়ে)
কি অনিতা তোমার খাতার ভেতর কিছু আছে নাকি?
অনিতা- (ভয় পেয়ে) জি না মেডাম।
মেডাম- তাহলে দেখি তোমার খাতা।(নকল পেয়ে)
অনিকা!! তুমি কেন এসব করলে। তোমাকে আমি কী কম পড়িয়েছি সোনা!!
অনিতা- ভুল হয়ে গেছে মেডাম। আর করব না।
মেডাম- তোমার বাবা কত আশা করে আমাদের স্কুলে তোমাকে দিয়াছেন। এখন নকল করলে তোমার বাবা মা কে আমরা কী জবাব দেব?
অনিতা- জীবনে আর এসব করবনা মেডাম। মাফ করে দেন।
মেডাম- তোমাকে ক্লাসে আমি এত আদর করি তুমি কিন্ত এর মর্যাদা রাখনি বরং তোমার মা বাবার কাছে আমাকে ছোট করলে। ওরা ভাববেন,আমরা তোমাকে পড়াই নাই।
অনিতা- মাফ করুন মেডাম। আর এসব হবেনা।
মেডাম- কথা দিলেত তুমি? এখন থেকে আমার সম্মান রাখবি?
অনিতা- জি মেডাম।
মেডাম- (অনিতার মাথায় হাত বুলিয়ে)গুড! আমিও দোয়া করি তোমি মানুষের মত মানুষ হবি।আমার ইজ্জত রাখবি।
অনিতা জীবনে আর নকল করেনি। মেডামের উৎসাহজনক কথায় আজ সে এখন বড় ন্যায়বান অফিসার। মেডাম তার আদর্শ শিক্ষক।
লেখক- মোঃ ফুল মিয়া
প্রধান শিক্ষক
রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
দিরাই, সুনামগঞ্জ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮