এই মানুষটির মরদেহ সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধার জন্য শহিদ মিনারে আনা হয়নি। তাই কিছু লোক হয়তো জেনেছ, আর বাকী লোকগুলো জানেও না যে, কোন মানুষটির মৃত্যু হয়েছে। পত্রিকার প্রথম পাতায় নামিদামী কোম্পানীর বিজ্ঞাপনের ভীড়ে ঢাকা পড়ে গেছে পলান সরকারের নাম। পলান সরকার তো সেই মানুষ- যিনি নিজের টাকায় বই কিনে ৯০ বছর বয়সেও পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের হাতে বই তুলে দিতেন। বই পড়ায় উদ্ভূদ্ধ করতেন। মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে তিনি মানুষের হাতে বই তুলে দিতেন। আমরা তাঁর হাতে কী তুলে দিয়েছি বলুন তো ? একখানা একুশে পদক ! এদেশের সবচেয়ে বড় পদকের নাম-ই তো পলান সরকার পদক হওয়া উচিৎ ছিল ! বস্তুত, উন্নয়ন নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমরা এখন আর উচিত অনুচিত নিয়ে ভাবিনা। সত্যিই আমরা জানলাম না...এরকম একজন মানুষকে আমরা চিনলাম না। ভারত একজন মাদার তেরেসার সান্নিধ্য পেয়েছিল, আর আমরা পেয়েছিলাম একজন পলান সরকারকে। এই মহা মানবের মূল্যায়ন কি আমরা করতে পেরেছি..?
না না দাদা....আপনার সমতূল্য শিক্ষা তিনি অর্জন করতে পারেননি...মাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন তিনি !
------------- বিনম্র শ্রদ্ধা, হে সত্যিকারের মহামানব। মহামানবের কখনো মৃত্যু হয় না। আপনি চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবেন...বইয়ের পাতায় পাতায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫৩