নারায়নগন্জ্ঞ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুজনিত কারনে আসনটি শূন্য হওয়ায় ইতিমধ্যেই উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ঘোষনা করেছে আসনটিতে তারা প্রার্থী দিবে না, বরং জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেবে।
কোন সন্দেহ নেই যে প্রয়াত নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টির টিকেটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। অতএব এটা মনে হতেই পারে শরীক জাতীয় পার্টির আসন আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকেই ছেড়ে দিচ্ছে। মহানুভবতার পরিচয় নিঃসন্দেহে। তবে, বিষয়টি কি এতই সহজ-সরল সমীকরন?
অন্যান্য নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অমুককে মনোনয়ন দিলে তমুক বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দাড়িয়ে যায়। এমন কি শরীকদের দেওয়া আসনেও বিদ্রোহী প্রার্থী দাড়িয়ে যায়। এ জন্যই তো ৫ই জানুয়ারীর আমরা-আমরাই নির্বাচনে হাজারের মত প্রার্থী ছিলো।
এ কথা নিশ্চিত যে নারায়নগন্জ্ঞে ৭ খুনের ঘটনার পরে শাসকদল যথেষ্ট অস্বস্তিতে আছে। কারণ বর্ণনার কিছুই নেই, যেহেতু কারনটা সবাই জানে। এখন উপ-নির্বাচনে প্রার্থী দিলে ভরাডুবির সম্ভাবনা রয়েছে। আর অসংসদীয় বিরোধী দল (সংসদীয় টম এ্যান্ড জেরী মার্কা জাতীয় পার্টি নয়) এমনটি ঘটলে কথা বলার ইস্যু পাবে। বস্তুত, এখানে উল্লু-বুল্লু বিরোধী দল থাকলেও একই কথা বলতো। শাসক দল যে এমনটি বিবেচনা করছে না তা কে নিশ্চিত ভাবে বলবে।
এজন্যই বলি, রাজনীতিতে কোনটা যে মহানুভবতা আর কোনটা যে চালবাজি, তা বোঝা বড়ই কঠিন।