somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিল্লীকা লাড্ডু!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি খাবারের ছবি, রেসিপি পোস্ট দেই বলে অনেকেই আমাকে পেটুক বলে ভাবতে পারেন। সত্যি বলছি! আমি পেটুক নই। আমি খাদ্য রসিক। অল্প খাবারই খাই। কিন্তু সেই অল্পটুকুও মুখরোচক হতে হবে। দিল্লীতে গিয়ে আমার খাবারের সমস্যা হয়নি। মুরগী আমি খাইনা, ওখানে মাছ বিক্রি হতে দেখেছি, কিন্তু কোনো হোটেলে মাছের কোনো আইটেম বিক্রি হতে দেখিনি। ওদের সবজি বলতেই আলু, মটর, পনির, মিষ্টি কুমড়া মুলা, লাউ দিয়ে ঘ্যাট, সাথে ঐ মটর। খেতে খারাপ নয়। তবে কুম্ভকর্ণের পেটে মটর সহ্য হয়না বলে অনেক খুঁজেও যখন তার প্রিয় সবজি গোবি+কদ্দু পাচ্ছিলনা। তখন হোটেলের ক্যান্টিনেই খাবারের বন্দোবস্ত করলেন। ওরা খুব ভালোই রান্না করতো।

একদিন দিল্লীর বিখ্যাত কারিমস এ খেতে গেলাম। গলি তস্য গলি পার হয়ে তারপর কারিমস এর সন্ধান পেলাম। বিদেশী টুরিষ্টদের ভিড়ে গিজগিজ করছিলো।
এই কারিমসের পুর্ব-পুরুষেরা নাকি মোগলদের রান্নার কাজে নিযুক্ত ছিলো। আমার রসনা কিন্তু তৃপ্ত হয়নি। ঐ যে কথায় বলেনা, সারমেয় এর পেটে ঘি হজম হয়না। ঠিক ঐ রকম! ;)











কারিমসের নান আর পায়া।

একদিন চাঁদনীচক মার্কেট থেকে ফিরছি। হঠাৎ নজরে পড়লো রাস্তার বা-দিকে হলদিরামের বিখ্যাত মিষ্টির দোকান। কুম্ভকর্ণের নজরে আনতেই আমাকে একটি গুরু দোয়ারার সামনে রিক্সায় বসিয়ে চলে গেলো। প্রায় ঘন্টা-খানিক পর এক প্যাকেট নিয়ে ফিরে এলো। হোটেলে এসে দেখি গোলাপ জামুন, মুগ ডালের হালুয়া, আর রাবড়ি নিয়ে এসেছে। নিজেতো মিষ্টি ছুঁয়েও দেখেনা। তার সাথে থাকতে থাকতে আমারও মিষ্টি প্রিতি কমে গিয়েছে। সাড়ে আটশো টাকার মিষ্টি দেখে আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝে উঠতে পারিনি। অল্প হালুয়া, একটা গোলাপ জামুন, আর একটা রাবড়ি খেয়ে বাকি সব হোটেলের বয়দের খাইয়ে দিলাম। তখন ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। তাই গুগল থেকে ছবিগুলো দিলাম।





গোলাব জামুন।



মুগ ডালের হালুয়া।



রাবড়ি।



এই হলো বিখ্যাত দিল্লীকা লাড্ডু। অতিরিক্ত চিনি দেয়ায় খেতে গেলে কচ কচ করে উঠে। মাথা ভন ভন করে দাঁত কনকন করতে শুরু করবে। এরকমই দেখতে মোতিচুরের লাড্ডু খেতে অনেক মজার। কিন্তু ওটা তো আর দিল্লিকা লাড্ডু নয়। :P

বিকেল থেকে পুরনো দিল্লীর রাস্তার পাশে বিভিন্ন কাবাব, পরটা ভাজার গন্ধে ভুর ভুর করতে থাকে। পথের পাশের ঐ সব খাবার দেখে যতই লোভ হোক, খাওয়ার সাহস হয়নি। মানুষ ভীড় করে ঐসব গরম গরম তেলেভাজা, কাবাব খাচ্ছে।








২৯টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×