শেষ পর্যন্ত সুরাহা হলো সেই সন্দেহের!
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিম নিজেই জঙ্গিদের ডেকে এনেছিলো হলি আর্টিজানে! ‘থ্রিমা’ অ্যাপস ইউজ করে সে জঙ্গীদের তথ্য দেয় যে এখানে অনেক ফরেইনার আছে। সন্ধ্যাবেলা থেকে বউ বাচ্চা সহ সে ওখানে যেয়ে অপেক্ষা করছিলো মোক্ষম সুযোগের! সন্দেহের বাইরে থাকার জন্যে সে বউ বাচ্চা সাথে নেয়। কী ধুরন্ধর লোক রে বাপ!
জঙ্গীরা নাকি আশেপাশেই কোথাও একটা ভাড়া করা ফ্ল্যাটে থাকতো। হাসনাতের ইনফো পেয়ে সরাসরি ওই রাতে তারা ওখানে যায়। আর ওই ফ্ল্যাটটাও হাসনাত ভাড়া করে দিয়েছিলো জঙ্গীদের! হামলাকারী জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের জন্য মে মাসে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রোভিসি (সদস্য সাময়িক বরখাস্তকৃত) এসএম গিয়াস উদ্দিন আহসানের ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেয় সে।
হামলার আগে কয়েকদিন তারা আরো কয়েকটা রেস্টুরেন্ট দেখে যাচাই বাছাই করছিলো। কিন্তু ওসব স্থানে তাদের চাহিদা মত পর্যাপ্ত ফরেইনার ছিলো না। পরে শেষ পর্যন্ত হলি আর্টিজান তাদের পছন্দ হয় এটাকের জন্য। বেশ কয়েকদিন এখানে ঘন ঘন এসে খাওয়া দাওয়াও করেছে তারা যাতে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে নিখুঁত প্লান ম্যাপ তৈরি করতে পারে।
১ জুলাই সন্ধ্যায় বাচ্চার জন্মদিনের কথা বলে সে ফ্যামিলি নিয়ে ওখানে যায় এবং একসময় জঙ্গীদের সিগনাল দেয়। হামলা চলাকালীনও রেস্টুরেন্ট এর ভেতরে থেকেও সে জঙ্গীদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। আর পরদিন ভোরে তারে জঙ্গীরা ফ্যামিলি সহ ছেড়ে দিলো। আর কপাল গুণে সেটা কমান্ডো অভিযানের আগেই।
সেই যাত্রা বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হলো না ব্যাটার!
যাক, আমরা তো কতই শুনেছি- "পাপ বাপকেও ছাড়ে না।"