আনুমানিক ২০০৬ অথবা ০৭ সাল।
বালিপাড়া, ময়মনসিংহ।
রহিমা খাতুন এর চতুর্থ সন্তান সাদিয়া-র বয়স ৫ কি ৬ মাস। ফুটফুটে সুন্দর একটা বাবু। মা বাবার চাঁদের কণা ! হঠাৎই অসুখ করলো বাচ্চাটার। ওইটুকু ছোট অবস্থায় বাচ্চাদের অসুখ স্বাভাবিক। ডায়রিয়া হয়েছে। চিকিৎসা চলছে।
বাচ্চাকে স্যালাইন এর পাশাপাশি শরবতও খাওয়ানো হচ্ছে। এমনি সময় চিনির প্রয়োজন দেখা দিলো।
বাচ্চাটির বাবা- আবু হানিফা সাহেব। তিনি বাজারে গেলেন চিনি আনতে। ফেরার পথে কিছু একটা অদ্ভূত ঘটনা ঘটলো।
কেউ যেনো পেছন থেকে ডাকলো। কিন্তু দেখা গেলো না কাউকেই। হঠাৎ শুনতে পাওয়া গেলো-
"কার লাগি চিনি নেও ? হে ত নাই !"
ঘাবড়ে গেলেন আবু হানিফা !
কি হচ্ছে এসব ! দ্রুত বাড়ির দিকে এগুলেন। বাড়ি গিয়েই একটা ধাক্কা খেলেন! জীবনের ভয়ঙ্করতম ধাক্কা!!
বাড়ির পরিবেশ অস্বাভাবিক। ছোট্ট শিশুটি আর নেই...
এই শোক শুধু শোক হয়েই থাকলো না, সাথে ভীতিরও সঞ্চার করলো !
বাবুটার নিষ্প্রাণ শরীরটাকে দাফন করার জন্য গোসল দিতে নেয়া হলো। আর তখনই চোখে পড়লো ভয়াবহ ব্যাপারটি। বাচ্চার পিঠের নিচের দিকে কোমর এবং উরুর পাশে, লালচে হয়ে ফুটে আছে একটা দগদগে চিহ্ন ! ঠিক হাতের পাঁচ আঙ্গুল এর স্পষ্ট ছাপ!
সবার কাছে বিষয়টা আশ্চর্যের। কিন্তু আবু হানিফা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন, কি হয়েছে তার বাচ্চাটির সাথে। "যারা" একাজ করেছে "তারা" তো নিজেদের কৃতকর্মের ঘোষণা দিয়েই দিয়েছে.....
Note : ঘটনাটি আমার খুব নিকটাত্মীয়ের পরিবারে ঘটেছিলো । এই কাহিনীর সকলেই আমার relative, শুধু জ্বিনরা ছাড়া।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৭