এই ছবিতে যাকে দেখছেন তার নাম সুদীপ্ত। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এম্পি ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের একমাত্র ছেলে। লন্ডনে এসেছিলো ২০০৭ সালে। বিবিএ পড়তে। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলো মেট্রোপলিটান ইউনিতে পড়বে বলে। কিন্তু ভর্তি হয়েছিলো লন্ডনের একটি ভিসা কলেজে। প্রায় তিন মাসে ১৬০০০ পাউন্ড উড়িয়ে দেয়া এই ছেলে সারাটাদিন বিভোর হয়ে থাকত গাঁজায় আর ড্রাগসে। ৩ বছর এই দেশে থেকে , কোনো পড়ালেখা শেষ না করে এই মূহূর্তে ঢাকায় আছে। রাজনীতি করবার তার খুব ইচ্ছা বলেই বন্ধু মহলে বলে থাকে। চিনে নিন এই আশু নেতাকে। তিনি গাঞ্জায় গাঞ্জায় আপনার দেশ ভরিয়ে দিতে পারবে।
উপরের ছবিতে যেই ধোপ দুরস্ত ভদ্রলোককে দেখছেন, তার নাম হচ্ছে নাজমুল চৌধুরী শারুন। এই ভদ্রলোকও লন্ডনে থাকেন। চট্রগ্রাম ১১ মানে পটিয়ার এম পি শামসুল চৌধুরীর পূত্র এই শারুন। অন্য সব এম্পি ও মন্ত্রী পূত্র থেকে মানের দিক থেকে খানিকটা উন্নত। কারণ অন্যসব নেতাদের ছেলেরা যেখানে মদ-গাঁজা নিয়ে পড়ে থাকে সেখানে এই শারুন সাহেব অলগেট এলাকাতে একটি মিডিয়া রিলিটেড ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে ।বর্তমানে টু-পাইস কামানোর জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন।
শারুন সাহেব আইন বিষয়ে স্নাতক করেছেন মেট্রোপলিটন ইউনি থেকে। ব্লু বেরী ফোন, গুচির চশমা, আরমানির জিন্স,লেকোস্টির স্নিকার, পরিহিত এই যুবিকের সবচাইতে বড় গুণ হচ্ছে তিনি কোনো রকমের আটকানো ছাড়া ও সংকোচ ছাড়া মিথ্যা বলে যেতে পারেন। চাপার জোর মাশাল্লাহ সাংঘাতিক।
তার বাবা চট্রগ্রাম আবাহনীর মালিক ও একাধিক গার্মেন্টসের মালিক। আশা করা যাচ্ছে যে এই শারুন সাহেব তার ধূর্ত বুদ্ধি দিয়ে বাবার এসব সম্পদ রক্ষা করতে পারবেন। ভয়ংকর ব্যাপারটি হলো, তার রাজনীতিতে ব্যাপক আগ্রহ এবং তার বাবা হয়ত ছেলের এইসব প্রতিভা দেখে তাকেই রাজনীতিতে স্থান করে দিবে। আপ্নারা চিনে রাখুন এই নেতাকে। একদিন সংসদে তিনি আমাদের ভাগ্য বিধাতা হতে পারেন।
উপরের ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তার নাম গালিবুর রহমান শরীফ। তার বাবা আওয়ামীলীগের একজন এম পি ও তিনবার নির্বাচিত প্রিতিনিধি। কিছুদিন আগে এই এম পি সাহেব মানে শামসুর রহমান শরীফ সাহেব ট্রেনে টিকেট না পেয়ে এক স্টেশন মাস্টারকে শারিরীক নির্যাতন করেছেন। তার দল বল দিয়ে পিটিয়েছেন। তার ছেলে গালিব আরো দুই থেকে পাঁচ কাঠি সরেস। ২০০১ সালে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে দল বল সহ এই গালিব পিটিয়ে আসেন তারই আরেক বন্ধু নিজামুদ্দিন আল খশরুকে একটি মেয়ে ঘটিত বিষয় নিয়ে। এর পর ২০০২-২০০৩ সালের অর্থ বছরে ধান্মন্ডি ৩/এ সড়কের সন্ত্রাসী সম্রাট,আমিন ও জুনু গংদের হাতে বেদম মার খান এই গালিব। পরে এর প্রতিশোধ হিসেবে সম্রাটের কাজিন সোহাসকে এম্পি হোস্টেলে উঠিয়ে নিয়ে এই এম্পি পূত্র বেদম মার-ধোর করেন। পরে সোহাসের মাথায় ১৪ টি সেলাই দিতে হয়। এইসব ঝামেলার বশবর্তী হয়ে গালিব সাহেবকে তার বাবা লন্ডনে পাঠিয়ে দেন। পড়ালেখা করতে এসে গালিব সাহেব তা এখন পর্যন্ত শুরু করেন নি। আইন বিভাগে তিনি সুদীর্ঘ ৫ বছর ক্রমাগত অনুর্ত্তীর্ণ হয়েছেন বলেই একটি বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়।
সবচাইতে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে এই গালিব সাহেব রাজনীতিতে আসতে চান। তার জীবনের একমাত্র ধ্যান জ্ঞানই হচ্ছে বাবার ইশ্বরদী-৪ এর আসনটি বগ্ল দাবা করার। যে ছেলে একটি অর্থ ধার করলে সেটি আর কোনোদিনি ফেরত দেয়নি, যে ছেলে মারা-মারি,কাটা-কাটি তার জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছে, যে ছেলে পড়ালেখা করেনি, সে ছেলেই হতে যাচ্ছে আপনাদের এম্পি। প্রিয় পাবনাবাসী, আপ্নারা চিনে রাখুন আপনাদের এই এম্পি পূত্রকে। একদিন তিনি আপনাদের বিধাতা হবেন।
উপরের এই ছবিটি হচ্ছে চট্রগ্রামের মেয়র এবি এম মহিউদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রীর বড় সন্তান চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেলের। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্সের ল এন্ড এনথ্রোপলজীর ছাত্র ছিলেন এই নওফেল সাহেব। বার এট ল করেছেন কলেজ অফ ল থেকে। একটি সূত্র থেকে জানা যায় যে, তিনি জন্সমক্ষে উক্তি করেছিলেন যে, আমার বাবা চট্রগ্রামের দূর্নীতিবাজ ব্যাবসায়ী এস আলম কে ৭০০ কোটি টাকার লোন পাইয়ে দিয়েছিলেন। যদিও নওফেল লন্ডনে সবার কাছে বলে বেড়াত যে, তার বাবা দরিদ্র। তাদের অর্থ কড়ি নেই, কিন্তু অত্যন্ত হাস্যকর হলেও সত্য যে তিনি প্রতি বছর এক এস ই তে ১২০০০ পাউন্ড টিউশন ফি দিয়ে পড়েছেন। তিনি বলে থাকেন যে, তার এই টাকা চট্রগ্রামের ব্যাবসায়ীরা ডোনেট করেছেন। কিন্তু পাঠক আপ্নারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন, যে এস আলমের ৭০০ কোটি টাকা লোন স্যাঙ্কশন করে দেয়া আর তাকে প্রতি বছর ১২০০০ পাউন্ড শুধু টিউশন ফিস দেয়াটা একি সূত্রে গাঁথা।
নওফেল এই কথাও কয়েকমাস আগেও চাউর করেছেন যে, লন্ডনে তার অনেক টাকা ঋণ। কিন্তু তিনি বাবার নির্বাচন উপলক্ষে গত ২২ মে বাংলাদেশে ফিরে যান। তাহলে কি ধরে নেয়া যেতে পারে যে, উনি লন্ডনে তার লোন না দিয়েই চলে গেছেন?
অতি সম্প্রতি খবরের কাগজ গুলোতে এসেছে তিনি তার বাবার আসন থেকে রাজনীতি করবেন। তিনি নাকি আবার মার্ক্সবাদে বিশ্বাসী। লন্ডনের আলো বাতাসে বাবার দূর্নীতির অর্থে যিনি লেখা পড়া করেছেন। দেশের গরীব মানূষের হক মেরেছেন, তিনি বাংলাদেশে মার্ক্সবাদ প্রতিষ্ঠা করবেন, এই তথ্য পাঠক আপ্নারা জেনে রাখুন। আর সেই সাথে চিনে রাখুন এই হবু রাজনীতিবিদকে । একদিন চট্রগ্রামের ভাগ্য এই লুটেরার সন্তান মহিবুলই হয়ত নিয়ন্ত্রণ করবে
কৃতজ্ঞতায় অফসাইড।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৪