বিশ্বের অন্যতম শয়তানরাষ্ট্র তুরস্ক এখন ‘আল-কায়েদাসহ’ জঙ্গীগোষ্ঠীর মদদদাতা। এখনই এর টুঁটি চেপে ধরতে হবে।
সাইয়িদ রফিকুল হক
বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধাদানকারী প্রথম দেশ তুরস্ক। তারপর পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ইত্যাদি শয়তানরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে সবসময় আমাদের পিছনে লেগে আছে। আর তারা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে চায়।
বর্তমানে তুরস্কের স্পর্ধা সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে। কিছুকাল আগে তারা পরাশক্তি রাশিয়ার একটি বিমান গুলি-দ্বারা ভূপাতিত করে নিজেদের একটা-কিছু ভাবছে। এরই ধারাবাহিকতায় তুরস্ক বর্তমানে একটি সন্ত্রাসীরাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আর তাই, আল-কায়েদা অনুসারী জিহাদীগ্রুপগুলোকে সবরকমের সহায়তা করছে বিশ্বের অন্যতম শয়তানরাষ্ট্র তুরস্ক। এব্যাপারে একজন কুর্দী-কমান্ডার অতিসম্প্রতি তুরস্কের বিরুদ্ধে এই বস্তুনিষ্ঠ ও প্রমাণসাপেক্ষ অভিযোগ-উত্থাপন করেছেন। এছাড়াও বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকা ‘রাশিয়ান টুডে’র খবরে আরও জানা যায়: সৌদি-আরব, কাতারসহ আরও কয়েকটি আরবরাষ্ট্র এই উগ্রবাদীদের-জঙ্গীগোষ্ঠীকে সবরকমের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করছে। আর এর নেতৃত্বে রয়েছে: শয়তানরাষ্ট্র তুরস্ক।
সম্প্রতি ‘কুর্দীস্তান ওয়াকার্স পার্টি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা মুরাদ কারালিয়ান বলেছেন, “তুরস্ক সন্ত্রাসীদের সহায়তা করছে। আর এই বিষয়ে তাদের হাতে উপযুক্ত যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে আরও বলেন, “সৌদি-আরব ও কাতারের মতো তুরস্কও জিহাদীদের সহায়তা করছে। এইসব জঙ্গীজিহাদীগোষ্ঠী হচ্ছে সালাফীপন্থী আর এরা এদের সমস্ত কর্মকাণ্ড শরীয়াহ মোতাবেক করতে চায়।” অভিজ্ঞ কারালিয়ান আরও বলেছেন, “‘তুরস্ক নুসরা ফ্রন্ট’ ও ‘আইএস’-কে শুরু থেকেই সবরকমের সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছে তুরস্ক।
সাম্প্রতিককালে এক বিশ্লেষণে দেখো গেছে: চলমান সিরিয়া-যুদ্ধে, তুরস্ক এই তো কিছুদিন আগে উত্তর-সিরিয়ায় অবস্থানরত কুর্দীদের উপর ব্যাপক হামলা চালায়। তারা এখন বেপরোয়া গতিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আর এসব ক্ষেত্রে তুরস্ক সবসময় তার প্রভু আমেরিকার নির্দেশমতো কাজ করছে। এর মাধ্যমে বিশ্বে তুরস্কের ফ্যাসিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী চেহারা ক্রমশঃ পরিষ্কার হচ্ছে।
তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাইপে এরদোগান বিশ্বের অন্যতম কুখ্যাত শয়তান। সে সরাসরি আমাদের দেশের ‘একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদে’র ফাঁসি কার্যকর না-করতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার আহ্বান জানায়। এখানেই শেষ নয়। একজন শয়তান-এরদোগান একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর না-করতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পর্যন্ত অনুরোধ করেছে। আর এই শয়তানের হাতেই বর্তমানে তুরস্ক!
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান আস্ত একটা শয়তান। তার নেতৃত্বে আমেরিকার পদলেহনকারী তুরস্ক বর্তমানে ইউরোপের ‘অন্যতম মোড়ল’ হতে চাচ্ছে। কিন্তু এই শয়তানদের টুঁটি এখানেই চেপে ধরতে হবে। যাতে, এদের মদদে বিশ্বে আর-কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর উৎপত্তি ও উদ্ভব না হয়। আর এদের সমস্ত আস্ফালন ও দম্ভ চূর্ণবিচূর্ণ করে দিতে হবে।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯