somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাইয়িদ রফিকুল হক
আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

আবার বটতলায় যেতে হলো। কেউ রাগ করবেন না।।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আবার বটতলায় যেতে হলো। কেউ রাগ করবেন না।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

ভেবেছিলাম, ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়! এখন দেখছি, আধুনিককালের ন্যাড়ারা বারবার বেলতলায় যায়। বেলতলায় যাচ্ছে। আর আরও যেতে চাচ্ছে। বেলতলায় এদের বড় সুখ!

কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর জমানোর নামে জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে কিছু সরল বাক্য নির্মাণ করেছিলাম। তাতেই কিছু লোক ভয়ানকভাবে উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ করেছিল। কিন্তু সেই বটতলা নিয়ে যখন চরম অসত্য ও আজগুবি তথ্য সম্বলিত লেখা প্রকাশিত হচ্ছে তখন তারা আর কিছু বলছে না। এখন তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। এসব তাদের মনঃপুত হয়েছে। এসব তাদের ভালো লাগছে। তার মানে হলো, অসত্যটা তাদের কাছে প্রিয়, ভালো। আর সত্যটা ভালো নয়। আসলে, দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সবসময় ধর্মান্ধতার পরিচয় দিয়ে থাকে। এরা কোন্ দিন ধার্মিক ছিল? আর কোন্ দিন একটু মানুষ ছিল? নইলে এরা এখনও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বান্তকরণে সমর্থন করে থাকে কীভাবে? আর তাদের অযাচিত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুরভিসন্ধিমূলক অকাজকে ধর্মজ্ঞান মনে করে লাফাতে থাকবে কেন? আসলে, এরা এখনও বোঝে না কোনটা ধর্ম আর কোনটা অধর্ম। এরা এখনও জ্ঞানের দেখা পায়নি। পেয়েছে ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার দেখা। এদের জীবনে এই দুটোই বিরাটবড় অলংকার। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের সকল অপকাণ্ডকে তাই এরা ধর্ম মনে করে থাকে।

অনেক সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি অবাধে পূজা-অর্চনা ও ‘সরস্বতী-পূজা’র আয়োজন করা হয়। এতে তাদের মনে বিরাট আক্ষেপ ও প্রশ্ন: তাতে বাধা দেওয়া হয় না এবং বাধা দেওয়া হচ্ছে না কেন? কথাটির আংশিক সত্য। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনোই সর্বজনীনভাবে পূজা-অর্চনা করা হয় না। হয় ‘সরস্বতী-পূজা’র বা বাণী-অর্চনার আয়োজন। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সরস্বতী-পূজা’র সঙ্গে বটতলার কথিত ও উদ্দেশ্যমূলক ‘কুরআন-শিক্ষা’ নামক ভণ্ডামি ও ফায়দা লোটার কারসাজির তুলনা করে—তারা মনে হয় ভেবেচিন্তেই সাম্প্রদায়িক। আর সেইসব সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ অপশক্তির বিরুদ্ধে বলা হলো:

১. বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হিন্দুসম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় পূজা ‘শারদীয় দুর্গাপূজা’র আয়োজন করা হয় না। কারণ, ওইসময় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল। এটা শুধু হিন্দু ছাত্রদের জন্য। এটা তাদের আবাসস্থল। বাড়িঘরের মতো। তারা এখানে বছরের-পর-বছর থাকে। তাই, এখানে ‘শারদীয় দুর্গাপূজা’র আয়োজন হতেই পারে। জামায়াত-শিবিরের কথিত ‘কুরআন-শিক্ষা’র মতো পূজা-অর্চনার কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাই। এখানে, কাউকে হিন্দু বানানোর চক্রান্ত নাই। পূজায় দেশের বিরুদ্ধে কারও কোনো ষড়যন্ত্র নাই। পূজা-অর্চনার কোনো প্রোগ্রামে অন্য কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করা হয় না। পূজা-অর্চনা করে কেউ কখনো জঙ্গি হয়নি। আর পূজা শেষ—অনুষ্ঠান শেষ। খুব সাময়িক একটা ব্যাপারস্যাপার। আর জামায়াত-শিবিরের ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর জমানো মানে বিরাট, গভীর ও ভয়ানক ষড়যন্ত্রের জালবিস্তার। তাই, সাধু সাবধান। সাধারণ পূজা-অর্চনার সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কথিত ইসলামি অনুষ্ঠানাদি ও ‘কুরআন-শিক্ষা’র কর্মকাণ্ডকে এক করে দেখা সমীচীন নয়। আপনি সুস্থ, সবল ও অসাম্প্রদায়িক হলে এটা আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে—কীসের সঙ্গে কী, আর পান্তাভাতে ঘি! আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে: ওরা ‘কুরআন-শিক্ষা’র নামে কুরআনের অবমাননা করছে।

২. দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে, কলেজে ও হাইস্কুলে (মাদ্রাসা ব্যতীত) ‘সরস্বতী-পূজা’ হয়ে থাকে। হবে না কেন? এটা হয়ে আসছে কয়েক শ’ বছর যাবৎ। সেই ইংরেজ-আমলের আগে থেকে। এটা নিয়ে কেউ কখনো কোনো প্রশ্ন তোলেনি। আর ‘সরস্বতী-পূজা’ সবসময় অসাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিপনার প্রভাবমুক্ত। সর্বজনীন একটা আনন্দ-উৎসব। ইংরেজ-আমলে স্কুল-কলেজে খুব জাঁকজমকের সঙ্গে ‘সরস্বতী-পূজা’ পালিত হতো। তা-ই দেখে তখনকার মুসলমান ছাত্ররা ভাবলো, আমাদের কোনো নিজস্ব অনুষ্ঠান থাকলে ভালো হতো। সেই থেকে তারা হিন্দুদের ‘সরস্বতী-পূজা’র পাশাপাশি মুসলমানি আনন্দলাভের জন্য বার্ষিক ‘মিলাদ-মাহফিল’ পালন করতে শুরু করে দেয়। এর কিছুকাল পরে মুসলমানরা আবার মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা.-এর জন্ম-উৎসব উপলক্ষে (১২ই রবিউল আউয়াল) ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা.’ পালন করতে শুরু করে। সেই থেকে এগুলোও পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির কখনোই রাসুলের শানে ‘মিলাদ-মাহফিল’ ও তাঁর জন্ম-উৎসবকে ঘিরে ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা.’ পালন করে না। এগুলোকে তারা প্রকাশ্যে ‘বিদআত’ বলে! তার বিপরীতে জামায়াত-শিবির নিজেদের বানানো ও মনগড়া ‘ইফতার-পার্টি’ পালন করে। নিজেদের স্বার্থের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়। এরা রাসুলের শানে ‘মিলাদ-মাহফিল’ করে না, পড়ে না। নবীজির শানে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী সা.’ পালন করে না। তার বদলে ছাত্রদের রগ কাটে, মানুষকে হত্যা করে, বিপরীত আদর্শের মানুষদের হত্যা করাকে দলীয় কাজ মনে করে। এসবই তাদের-নিজেদের স্বার্থের ফায়দা লোটার অপরাজনীতি। এরা যেকোনোভাবে আর ইসলামের নামে ছলে-বলে-কলে-কৌশলে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায়। এরা ইসলামের নামে মানুষহত্যা করাকেও জায়েজ মনে করে। কিন্তু রাসুলের শানে মিলাদ পড়ে না! রাসুলের জন্মদিন মানে না, পালন করে না! আসলে, এরা রাসুলকেই মানে না। তাঁর পবিত্র মিলাদ ও জন্ম-উৎসবকে ‘বিদআত’ বলে। এরা কীভাবে মুসলমানের দাবিদার হতে পারে? আর এরা এখন এতোটাই মুসলমান হয়েছে যে, মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য ঐতিহাসিক বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র প্রহসন রচনা করছে। আমাদের রাসুলুল্লাহ সা. কখনোই-কোনোদিন গাছতলায়, রাস্তাঘাটে, ফাঁকা-মাঠে আর লোকদেখানো পরিবেশে কাউকে ‘কুরআন-শিক্ষা’ দেননি এবং নিজেও তিলাওয়াত করেননি। তাহলে, এরা কারা? এরা সেই স্বার্থপর ও নামধারী মুসলমান। যাদের কাছে এখনও মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের চেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা বড়। একবার ভাবুন তো, এরা কি আমাদের রাসুলের চেয়ে বড় মুসলমান হয়ে গেছে? এদের বটতলায় গিয়ে ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর জমাতে হবে কেন? এর সদুত্তর কী?

৩. আজ পর্যন্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘সরস্বতী-পূজা’ অর্চনা করে কাউকেই সন্ত্রাসী, জঙ্গি বা সেমি-জঙ্গি বানানো হয়নি। কিন্তু শিবির বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গোপনে ‘দরসে কুরআন’-এর নামে ছাত্রদের মগজ-ধোলাই করে তাদের বিপথগামী করছে। তাদের ভুলশিক্ষা দিয়ে দেশ, মানুষ ও মানবতার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে! তাই, জামায়াত-শিবিরের হাতে কুরআন নিরাপদ নয়।

৪. কেউ-কেউ বটতলার ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আরবি সাহিত্য পরিষদ’ নামের একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠনের কার্যক্রম বলে চালানোর অপচেষ্টা করেছে। মূলত এসব অযৌক্তিক কথাবার্তায় তাদের অপরাধ বাড়বে বৈ কমবে না। তার কারণ, এই আরবি বিভাগে ভর্তি হয়ে থাকে দেশের মাদ্রাসা-পাস ছেলেমেয়েরা। এদের বেশিরভাগই জামায়াত-শিবিরের অপরাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পূর্বেই বলা হয়েছে, বটতলা ‘কুরআন-শিক্ষা’র কোনো জায়গা নয়। এখানে, অতীতে বহু প্রয়োজনে বহুরকমের জনসভা হয়েছে। স্বৈরাচারী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে ছাত্রসমাবেশ হয়েছে। আরও কত জনসভা হয়েছে। জনসভা হবে। আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছাত্রসমাবেশ হবে। কিন্তু, এই উন্মুক্ত-খোলা মাঠে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কেউই ‘কুরআন-শিক্ষা’র কোনো আসর জমায়নি। তবে কারা হঠাৎ করে এ-ধরনের অপতৎপরতা প্রকাশ করতে এত তৎপর হয়েছে? সহজেই মাথায় আসে—যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালিয়েছিল তারা। মানে, সেই রাজাকারবংশ জামায়াত-শিবির। তারপরও বলি, জামায়াত-শিবির তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কথিত ‘আরবি সাহিত্য পরিষদ’-এর পরিচয় দিয়েছে। এরকম তারা করে থাকে। নিজেদের প্রয়োজনে নানারকম ভুঁইফোঁড় সংগঠনের জন্ম দেয়। যেমন, তারা অতীতে ছদ্মবেশে ‘ইফতার-মাহফিলে’র নামে নিজেদের রাজনৈতিক অপতৎপরতা চালাতো। আবার বিভিন্ন সময় ‘ইসলামি সমাজকল্যাণ-সংস্থা’র নাম-ব্যবহার করে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কুরুচিপূর্ণ ‘ওয়াজ-মাহফিলে’র নামে জামায়াতের জনসভা করতো। ‘ইসলামি পাঠাগার’-এর ব্যানারে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-সর্দার গোলাম আযম ও তদীয় পোষ্যপুত্র সাঈদীর মূর্খতাবিষয়ক তথ্য-প্রচার করতো। ঠিক একইভাবে এরা ‘আরবি সাহিত্য পরিষদ’ নামের আড়ালে শিবিরের এজেন্ডা-বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করেছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, তারা নিজেদের স্বার্থে এইরকম একটা ভুঁইফোঁড় সংগঠনের জন্ম দিয়ে নাটক করছে।

৫. অনেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াতে দুরভিসন্ধিমূলকভাবে প্রচার করছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ নাকি তাদের ক্যাম্পাসে ইফতার করা বন্ধ করে দিয়েছে! কতবড় মূর্খ আর কতবড় অসৎ হলে এসব কথা কেউ লিখতে ও বলতে পারে। আর তা প্রচারও করতে পারে! আসলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তপক্ষ প্রশাসনিকভাবে বা সরকারিভাবে কোনো ‘ইফতার-মাহফিলে’র আয়োজনকে উৎসাহিত করেনি, এবং এগুলো করতে নিষেধও করেনি। তার কারণ, এই বছর সরকার সরকারিভাবে ‘ইফতার-মাহফিলে’র আয়োজনে করতে নিষেধ করেছে। এতে সরকারের অর্থঅপচয়-রোধ করার জন্যই এমনটি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনকেও এ-বছর ‘ইফতার-মাহফিলে’র আয়োজন করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাতে কারও কোনো মাথাব্যথা হওয়ার কথা নয়। অর্থঅপচয়-রোধ করাটা দেশ ও জাতির জন্য অতীব মঙ্গলজনক। আর ‘ইফতার-মাহফিল’ তো আসলে কোনো ‘ইফতার-মাহফিল’ নয়। এগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অপরাজনীতির একটি সস্তা দোকান। এই দোকানদারি বন্ধ করে সরকার ভালোই করেছে। আর সরকারি-পর্যায়ে এটা সবসময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়াই উচিত।

৬. একদল চরম সাম্প্রদায়িক ও ভিন্নধর্মমতের প্রতি বিদ্বেষপোষণকারী ব্যক্তি বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র কথিত আসর নিয়ে ভয়ানক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। এরা বলছে, দেশে ‘ইফতার বা ইফতারি’ বন্ধ করা হয়েছে! ‘কুরআন-শিক্ষা’ বন্ধ করা হয়েছে! এবার পূজা বন্ধ হবে কিনা? কতবড় মূর্খ হলে এসব অতি-সস্তা-কথা মুখে আনতে পারে! দেশে কখনোই ‘ইফতার বা ইফতারি’ বন্ধ হয়নি। আর কুরআন-চর্চা, কুরআন-পাঠ, কুরআন-তিলাওয়াত আর কুরআন শিক্ষা বন্ধের তো প্রশ্নই ওঠে না। দেশে সবকিছু সুন্দরভাবে চলছে। শুধু বটতলায় যারা ‘কুরআন-শিক্ষা’র নামে অতি-নাটক জমাতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে। আর এর সঙ্গে পূজা বন্ধের প্রসঙ্গ-অবতারণা করাটাই মূর্খতা।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: সরকার কারও ‘ইফতার-মাহফিল’ আয়োজনে বাধা দেয়নি। দিচ্ছে না। অনেকে ‘গণ-ইফতার-মাহফিলে’র নামে দেশের কত স্থানে কত কী করেছে! সরকার বাধা দেয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও নিয়মিত ‘ইফতার-কার্যক্রম’ চলছে। কেউই বাধা দেয়নি। আঠারো কোটি মানুষের দেশে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে অপরাজনীতি করার সুযোগ না-নেওয়াই উত্তম ও বুদ্ধিমানের কাজ। গুজব ও গজবে কান দেওয়া কখনোই শুভবুদ্ধির পরিচায়ক নয়।

আশা করি, বটতলার দুষ্টদের কথায় শিষ্টরা পথভ্রষ্ট হবেন না। আসুন, আমরা সজ্ঞানে-স্বজ্ঞানে ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা ও কূপমণ্ডূকতা চিরতরে বিসর্জন দিয়ে আমাদের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলি। আর গগনবিদারী স্লোগান দিই:

ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।
সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক।
কূপমণ্ডূকতা নিপাত যাক।

ছবি: গুগল ও নিজস্ব সম্পাদনা

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭
১৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×