somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৫ মিনিট ও মন ভাঙার গল্প

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেয়েটি কে আমি দেখেছিলাম পিছন দিক থেকে। আর কিছুই না,সত্যি বলছি আর কিছুই না। আমার সামনেই ছিল মেয়েটি,বড়জোর এক হাত কি দুই।মাথায় ঘোমটা আর সবুজ রং এর জামা,কেমন যেন একটা স্নিগ্ব ভাব। অনুভুতি টা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা। সময় টাও তো বেশিক্ষনের ছিল না,বড়জোর ৪ কি ৫ মিনিট।

ওহ,পাঠক রা হইত লেখার আগা মাথা কিছুই বুঝছে না,বুঝার কথাও না। মাঝখান থেকে ঘটনা বল্লে কেউ কি বুঝে! কি বলব!!!ঘটনা টা আসলে খুব ই ছোট। হইত ২/৩ লাইনেই শেষ করা যাবে। কিন্তু অনুভুতিটি?সত্যি বলছি পুরা page ভর্তি করে লিখলেও নই।

সন্ধ্যা প্রায় হয় হয় করছিল। কয়েকটা মসজিদ থেকে আযান ও শুনা যাচ্ছিল। আমার ও নামাযের সময় হইছে। চাকরির সুবাদে এলাকায় খুব পুরান না হলেও অর্ধ বছর পার করে দিয়েছি। বাসার পিছনেই নদী। গোমতি নদী,যদিও অনেকে তিতাস ভেবে ভুল করে। বিকালে নদীর পাড়ে না হাটলে কেমন যেন লাগে। ছেলে মেয়ে সবাই হাটে,আমিও হাটি উদ্দেশ্যহীন ভাবে। আলহামদুলিল্লাহ,চাকরির বেতন অনেক ভালো আর আমিও ব্যাচেলর মানুষ। family তেও আলহামদুলিল্লাহ টাকা দেওয়া লাগে না। so,খুব খরচ করার ও জায়গা নেই। তাই বিকাল বেলা পাড়ার কিছু ছোট ভাই কে নিয়ে নদীর পাড়ে বসে খাওয়া আর হাটা ছাড় তেমন কাজ নেই। ধ্যেত,কি লিখতে বসছি আর কি লিখছি। এই জন্যই আমার দ্বারা লেখা - টেখা হইনা।

ঐ দিন আমি একা ই ছিলাম। মাগরিব নামাজ পরব তাই বাসার দিকে যাচ্ছি। নদীর পাড় তো,এক জায়গায় অনেক রাস্তা মিলিত হইছে। মেয়েটি কে দেখলাম অনেক দুর থেকে। অন্য একটা রাস্তা দিয়ে আসছে। আমার কিন্তু cats eye। ডাক্তার বলে এই চোখের power ভাল। সত্যি কিনা জানিনা,দুর থেকে মেয়েটিকে দেখেই আমার মনে হল তাকেই আমার দরকার। সত্যি বলছি আমি তার চেহারা টাও দেখিনি। কিন্তু কি যে এক আকর্ষন আমি কিভাবে বুঝাই!!আমি খুব ভিতু type একটা ছেলে। একবার inter এ এক মেয়ের offer পেয়ে গায়ে জ্বর এসেছিল,আর ওই প্রাইভেটেই যাইনি পরতে। সেটা অন্য কাহিনি। এখন বড় হইছি,direct কথা বলার মত সাহস না থাকলেও অন্তত তার পিছন পিছন হাটার সাহস টুকু আছে।
হাটার speed একটু কমিয়ে দিলাম। মেয়েটির সাথে মহিলা টি সম্ভবত তার দাদী বা নানী। অবাক করে দিয়ে মেয়েটির গন্তব্য আমার গন্তব্যের দিকেই। সে ছিল আমার সামনে,আমি পিছনে। সবার আগে ওই মহিলাটি। বিশ্বাস করেন,আমি ভাষায় বুঝাতে পারব না,তার শরীর থেকে এত সুন্দর ঘ্রান আসছিল। perfume নাকি bodyspray আমি জানিনা। পিছন থেকে এত পবিত্র লাগছিল া তাকে। ওই ৪/৫ মিনিট আমি অন্য জগতে ছিলাম। চাকরি তে হোক কিংবা ভার্সিটি,সামনে সুন্দরি মেয়ে হাটেনি এমন কিন্তু নই। কিন্তু কি এক অমোঘ টান। আমি লজ্জার মাথা খেয়ে তার পিছন দিক টা দেখছিলাম। পায়ে নুপুর ছিল। মাঝে তার মাথার ওড়না টা ঘাড়ে পরে যায়,কি ফর্সা আর smooth তার শরীর্। সত্যি বলছি আমি এতটুকু খারাপ নজরে দেখিনি,দেখিনি তার চেহারা। দেখছিলাম একটা মেয়ে কিভাবে এত স্নিগ্ব হতে পারে,এত কোমল মানুষ হয়!! ঐ ৪/৫ মিনিট যদি ৪/৫ বছর হত আমি তার পিছে হেটে এত টুকু ক্লান্ত হতাম না,সত্যি বলছি।

মসজিদ এসে গেছে। বিদায় তাকে যে দিতেই হবে তবে সারাজীবনের জন্য নয়। পাশেই দেখলাম এক ছোট ভাই । তাকে ডেকে পাঠালাম ওই মেয়েটার সম্পর্কে খোজ নিতে। মসজিদ এ অজু করতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি শুধু তার পিছন টা দেখেই গেলাম।

আমার যতটুকু অনুভুতি উপরেই শেষ। এর পরের কাহিনি খুব ছোট। office এর কাজে কিছুদিন busy ছিলাম। একদিন বিকালে ওই ছোট ভাইকে ডেকে আনলাম। না আনলেই মনে হয় ভাল ছিল।

মেয়েটি DU তে পড়ে। বাবার প্রচুর সম্পত্তি। এখানে আসছে বন্ধে বেড়াতে। ওই মহিলা তার দাদী। এতটুকু শোনার পর আমি শুধু বলছিলাম এত টাকা পয়সার পরও মেয়েটির gateup ছিল একদম simple । আর কি অপুর্ব তার ঘ্রান,পাগল করা। এত্ত সহজ সরল মেয়ে,মাথায় ঘোমটা দেওয়া। খুব ইচ্ছে করছিল মেয়েটাকে দেখতে। আমি জানি এইটা ভালবাসা না,ভাললাগা। কিন্তু এত তীব্র কেন?এই মেয়ে প্রেমিকা হিসেবে যতটুকু মানাবে বউ হিসাবে আরো বেশী। সব ই ঠিক ছিল যদিনা ছোট ভাইটি একটা info না দিত।

আমি জানি না ওই মেয়েটি এই লেখা কখনও পড়বে নাকি,জানিনা তার পিছন পিছন আমি কখনও আর হাটবো নাকি,জানিনা অদেখা মুখটি আর কখন দেখব নাকি। শুধু বলি শোন (যদি মনে চায়), তোমার কোমলতা তুমি নস্ট করনা,তোমার শরীরের ঘ্রান তুমি নস্ট করনা। এই রকম অনেক তাহসান তোমার মুখ না দেখেই তোমার পিছে সারাজীবন হাটতে রাজি থাকবে। আমি হইত একদিন ঠিক ই নতুন কোন স্নিগ্ব পরী খুজে নিবতুমি কি তা পারবে?আমি তোমার প্রেমে পরিনি,crash ও খাইনি শুধু কস্ট ওই একটা জায়গাতেই

তুমি এত কোমল,স্নিগ্ব হয়েও কেন দুই জন ছেলের সাথে প্রেম কর??(আমি মনে প্রানে চাই এই info টি মিথ্যা হোক। আমার জন্য বলছিনা,বলছি সকল ছেলেদের জন্য। যারা এত কোমল মেয়ে দেখলেই যেন ভয় না পায়, চরিত্রে আংগুল তুলতে না পারে ,অন্তত তার পিছন পিছন যেন হাটতে ইতস্তত না করে।)

মেয়ে,সত্যি আমি তোমার চেহারা দেখিনি...

N.B. তোমার perfume/bodyspray টার নাম কি?
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×