অত্যাচারিতের বার্তা মানুষের কাছে পেঁৗছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নাটক বরাবরই একটি শক্তিশালী মাধ্যম। অবশ্য এজন্য নাট্যকমর্ী কিংবা গোষ্ঠীগুলোকে কম দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়নি। আর তা যদি খোদ অত্যাচারীর সামনেই মঞ্চস্ট্থ হয় তাহলে প্রতিত্রিক্রয়া কেমন হবে? তবে প্রতিত্রিক্রয়া জানতে আমাদের নভেল্ফ্বরের দ্বিতীয় সপ্টস্নাহ পর্যনস্ন অপেক্ষা করতে হবে। কি আছে সেই নাটকে?
'যে দেশের মাটিতে আপনারা কোনো রকম পাল্কল্টা আত্রক্রমণ ছাড়াই দিনের পর দিন আত্রক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন, যে দেশের মাটি আপনাদের ধর্ষণের রক্তে রক্তাক্ত, সেই দেশের মাটিতে এখনো ফুল ফোটে। আকাশে সহৃর্য ওঠে। আপনারা হাজার বন্দুক চালিয়েও তো তাকে বদলে দিতে পারবেন না।' এরকম সংলাপে ভরা নাটকটি মঞ্চস্ট্থ হবে পাকিস্টস্নানের লাহোরে। আর এ নাটকের দর্শক সারিতে থাকবেন পাকিস্টস্নানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। নাটকটির নাম 'অপারেশন ফ্ল্যাশ'। ইরাকের আবু গারিব কারাগারের প্রেক্ষাপটে এটি নির্মিত হলেও সংলাপের ব্যাপকতা তাকে অতিত্রক্রম করে গেছে। আর নাটকটি পরিবেশন করবে কলকাতার 'সঙ্ন্দন' নাট্যদল। ভারত-পাকিস্টস্নান বর্তমান সমঙ্র্কে টানাপড়েনে নাটক নতুন কোনো আলোচনার জন্ম দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলা নাটকটির একটি সংলাপও কোনোভাবে বদল করা হবে না এ শর্তে সংশি্নষদ্ব নাট্যগোষ্ঠী তাদের পা-ুলিপির ইংরেজি অনুবাদ সরকারি নিয়মপদব্দতি মেনে পাঠায় ইসলামাবাদে। সেখানে তা গৃহীত হওয়ার পরই জানানো হয়, মোশাররফ নাটকটি দেখবেন।
প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতের পররাষদ্ব্রমন্পী হওয়ার পরই কলকাতার এ নাট্যগোষ্ঠী যাচ্ছে পাকিস্টস্নান সফরে। থমকে থাকা ভারত-পাকিস্টস্নান সাংস্ট্কৃতিক সমঙ্র্ক পুনরুদব্দারে যা এক ইতিবাচক পদক্ষেপ। আগসদ্বে মুল্ফ্বাইয়ের ট্রেনে বিসম্ফোরণ, আইএসআইয়ের মদদপুষদ্ব দুই জঙ্গি সংগঠনের 11 জনকে গ্রেফতার করার পর থেকেই ভারত-পাকিস্টস্নান সমঙ্র্কের জটিলতা কিছু বাড়ে। 10 আগসদ্ব থেকে পুরোপুরি বল্পব্দ হয়ে যায় দু'দেশের যাবতীয় সাংস্ট্কৃতিক বিনিময়। পরিস্টি্থতি এতটাই জটিল ছিল, 18 সেপ্টেল্টল্ফ্বর করাচিতে শুভা মুদগলের নির্ধারিত অনুষ্ঠান আগের দিন হঠাৎ বল্পব্দ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু লাহোরে 9 থেকে 16 নভেল্ফ্বরের নাট্যোৎসবের মহৃল উদ্যোক্তা ওয়ার্ল্ড পারফর্মিং আর্ট অ্যান্ড ভিজু্যয়ালের চেয়ারম্যান ফায়জান পীরজাদা বলেন, 'আমরা ভারতকে ফিরে পাচ্ছি, সেটাই আনন্দের। এখন এ পরিস্টি্থতিতে সাংস্ট্কৃতিক আদান-প্রদান আরো জরুরি ও গুরুত্দ্বপহৃর্ণ।' পাকিস্টস্নানসহ বিদেশের বহু পত্রিকায় অপারেশন ফ্ল্যাশ নাটকটি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। পাকিস্টস্নান অবশ্য প্রথমে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছিল এই নাট্যদলের 'ষোল মিলিমিটার' নাটকটি নিয়ে। এতে রয়েছে ভারতের সংসদ ভবনে আত্রক্রমণ এবং জইশ-ই-মহল্ফ্মদের যোগসাজশ নিয়ে অনস্নদর্্বন্দ্ব। নাটকের বিষয়বস্ট্তু খুবই সঙ্র্শকাতর বলে সেই সিদব্দানস্ন বদল করে তারা আগ্রহ দেখায় ওই নাট্যগোষ্ঠীর 'ইশতিসহাদি দ্য সুইসাইড স্ট্কোয়াড' নিয়ে। এটি লস্ট্কর-ই-তয়ৈবার ঘটনা নিয়ে লেখা। যেখানে রাখঢাক না করে সরাসরি সন্পাসবাদীদের সঙ্গে মাদক ও অস্ট্প পাচারকারীদের যোগসাজশের নেপথ্য কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সেটিও এত সঙ্র্শকাতর ও বিতর্কিত যে, শেষ পর্যনস্ন বেছে নেওয়া হয় ইরাকে মার্কিন সৈন্যের অত্যাচার নিয়ে লেখা 'অপারেশন ফ্ল্যাশ'। তাই এ নাটক পাকিস্টস্নানে বাড়তি আগ্রহ ও উত্তেজনার কারণ। সঙ্ন্দন নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার সংগ্রাম গুহ বলেন, 'পুরো ব্যাপারটিতে ভারতের পররাষদ্ব্র মন্পণালয় এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস যেমন এগিয়ে এসেছিল, তেমনই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্দ্বপহৃর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি'। নাকটটি নিয়ে পাকিস্টস্নান কতটা কৌতূহল দেখাচ্ছে, গত মে মাসে তার প্রমাণ পাওয়া যায় জার্মানির বন শহরে। 'বিয়েনেল বন' উৎসবে পাকিস্টস্নানের সিলেকশন কমিটিও যায়। সেখানে তখন উপস্টি্থত ছিলেন জার্মানির উপ-প্রধানমন্পী, পররাষদ্ব্রমন্পী এবং পররাষদ্ব্র দফতরের আমলারা। তাদের আগ্রহের কথা এবং মনস্নব্য পাকিস্টস্নানের সিলেকশন কমিটি সরাসরি জানিয়ে দেয় তাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের। তারপরই খোঁজ নেওয়া হয় এ বঙ্গসনস্নানদের। এখন অপেক্ষা মোশাররফের প্রতিত্রিক্রয়ার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


