ব্যাপক রদবদল ঘটিয়েও পুলিশ প্রশাসনকে বিএনপি-জামায়াতের রাহুমুক্ত করা অসল্ফ্ভব হয়ে পড়বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য। দলীয়করণ ছাড়াও ক্ষমতা ছাড়ার আগের এক মাসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার শতাধিক ঊধর্্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাজানো 'শাস্টিস্নমহৃলক' বদলি করেছে। ওই বদলির উদ্দেশ্য ছিল জোট শাসনামলে তাদের নির্যাতিত হিসেবে চিহিক্রত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গুরুত্দ্বপহৃর্ণ পদে ফিরিয়ে আনা। আর সে উদ্দেশ্য অনেকটাই সফল হতে চলছে। র্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ পুলিশ সদর দফতর এবং গুরুত্দ্বপহৃর্ণ পদে রদবদল হয়ে যারা ফিরে এসেছেন তাদের অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের লোক হিসেবে পরিচিত। আবার যাদের গুরুত্দ্বপহৃর্ণ পদ থেকে সরানো হয়েছে তাদের অনেককেই আবার গুরুত্দ্বপহৃর্ণ পদে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্ট্থা এনএসআইতে নিয়োগপ্রাপ্টস্ন ছাত্রদল-ইসলামী ছাত্রশিবিরের শতাধিক সদস্য রাষদ্ব্রীয় গুরুত্দ্বপহৃর্ণ তথ্য বিএনপি এবং জামায়াতের কাছে ফাঁস করে দিচ্ছে । নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের এখন বাছাই করাই কঠিন হয়ে উঠবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, নিয়োগ, পদোল্পম্নতি ও বদলির মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, শুধু জায়গা পরিবর্তন ছাড়া আর তেমন কিছুই করা যাবে না। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, হয়তো কক্সবাজারের এসপি ঢাকায় চলে আসবেন আর ঢাকার কোনো ডেপুটি কমিশনার কক্সবাজারে চলে যাবেন। কিন্তু তাতে দলীয় আনুগত্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না। শুধু পুলিশের ঊধর্্বতন পদে নয়, এএসপি, ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টর পদেও একই অবস্ট্থা। জোট সরকারের আমলে যে 201 জন এএসপিকে প্রশিক্ষণের মেয়াদ সমঙ্ল্পম্ন না করে গত অক্টোবরে মাঠে নামানো হয়েছে, তারা এখনো ঢাকাসহ সারাদেশে গুরুত্দ্বপহৃর্ণ পদে রয়েছেন। ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডার ওইসব এএসপিকে যেখানেই দেওয়া হোক না কেন মাঠ পর্যায়ের কমান্ডিংয়ে তারাই থাকবেন। একমাত্র উপায় হলো তাদের সবাইকে ওএসডি করা, যা বাস্টস্নবে অসল্ফ্ভব বলেই মনে করেন অনেকে। আবার জোট সরকার বিদায়ের আগের 6 মাসে পুলিশে মধ্যম পর্যায়ের কয়েক শ' কর্মকর্তাকে পদোল্পম্নতি দিয়ে গেছে। গত 5 বছরে জোট সরকারের প্রতি অনুগত নন এ রকম 6 জন অতিরিক্ত আইজি, 20 জন ডিআইজি, 41 জন এসপিকে বাধ্যতামহৃলক অবসর দেওয়া হয়েছে। বাধ্যতামহৃলক অবসর থেকে মধ্যম ও নিল্ফম্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারাও বাদ যাননি। সহৃত্র জানায়, সব মিলিয়ে অতিরিক্ত আইজি থেকে শুরু করে ইন্সপেক্টর পর্যনস্ন 950 জনের বেশি কর্মকর্তাকে বাধ্যতামহৃলক অবসর দেওয়ার নামে পুলিশ বাহিনী থেকে বিদায় করা হয়েছে। এর বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীদের। এখনো রাজধানীতে জামায়াত নেতার পুত্র মঞ্জুর মোর্শেদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি হিসেবে দায়িত্দ্ব পালন করছেন। বহুল আলোচিত ডিসি কোহিনহৃর মিয়া বহাল তবিয়তে এখনো তৎপর রয়েছেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পুলিশ বাহিনীতে তারা নানামুখী অপতৎপরতা চালিয়েছেন।
জোট সরকারের সময় এনএসআইতে দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের শতাধিক সদস্য এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাদের দলীয় দৃষদ্বিকোণ থেকে সল্ফঙ্হৃর্ণ বিধিবহিভর্ূতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্টস্নদের মধ্যে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার 12 জন নেতা রয়েছেন। পাশাপাশি ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বেশ কয়েকজন নেতা দলীয় প্রভাবে এনএসআইতে নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়া দেশের বিভিল্পম্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শাখা ছাত্রদল এবং শিবিরের নেতা দলীয় লোক হিসেবে এনএসআইতে নিয়োগ পেয়েছেন। এসব দলীয় লোক দিয়েই জোট সরকারের বিদায়কালে সন্পাসীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। ওই তালিকাই বর্তমানে স্ট্বরাষদ্ব্র মন্পণালয় ও পুলিশ সদর দফতরে রয়েছে। তালিকায় বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত অধিকাংশ রাজনৈতিক ক্যাডারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ক'দিনের মধ্যেই ছাত্রদল ও শিবির সমর্থক ওইসব কর্মকর্তা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গৃহীত অনেক গোপন তথ্যই বিএনপি এবং জামায়াতের নীতিনির্ধারণী মহলে ফাঁস করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ রকম 5 হাজার র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্ট্থার কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। সহৃত্র জানায়, এই তালিকা দু'একদিনের মধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে হস্টস্নানস্নর করা হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


