বিএনপি ও জোটের ঘরোয়া সিদ্ধানত্দ, প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ পাল্টে গেলেও কোনো অবস্থায় আওয়ামী লীগ নয়, প্রয়োজনে তৃতীয় শক্তি। বিএনপির একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, রাষ্ট্রপতির হাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পিত হওয়ায় বিএনপি উল্লসিত হয়েছিল। কিন' সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা বিএনপিকে উল্টো শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। বিএনপির তালিকার উপদেষ্টাগণ দলীয় মিশন বাসত্দবায়নে রাষ্ট্রপতিকে সহযোগিতা না করে বরং রাষ্ট্রপতির সিদ্ধানত্দের বিপক্ষে অবস্থান এরই মধ্যে 14 দলের পক্ষে চলে গেছে। রাষ্ট্রপতির হাতে বেশিরভাগ মন্ত্রণালয় রেখে দেয়ার কৌশলটিরও বিরোধিতা করছেন তারা। এদের একজন সচিবদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। অন্য একজন সিইসি প্রশ্নে বিএনপির অনড় অবস্থানের পক্ষাবলম্বন না করে উল্টো সিইসির বাসায় গিয়ে অনুরোধ করেছেন সরে যেতে। এ দুজনের একজন বিএনপি মহাসচিব মান্নান ভঁূইয়ার সহপাঠী, অন্যজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের।
সূত্রমতে, নির্বাচন কমিশন সচিব আব্দুর রশীদ সরকারের ভূমিকা নিয়েও তারা চিনত্দিত। গত বৃহস্পতিবার সচিবদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য রাখার প্রাক্কালে তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন ভোটার তালিকা ঠিক নেই। এ তালিকা দিয়ে নির্বাচন হলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। বিএনপি ঘরানার সচিব হিসেবে পরিচিতরাই রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের পর সমালোচনা করেছেন। আগামী র্নিবাচনে এটিও হতে পারে বিএনপির ক্ষতির অন্যতম কারণ। সূত্রমতে, এরশাদের ভূমিকায় হতাশ তারা। জোটে যোগদান নিশ্চিত করার পরও ফিরে যাওয়া এবং জোটের অবস্থান গ্রামেগঞ্জে ভালো নয় মনত্দব্য করায় মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এরশাদ তার সর্বশেষ বক্তব্যে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব বলে বক্তব্য রাখায় বিএনপির নির্বাচনী হিসেব অনেকটাই পাল্টে গেছে। এছাড়া কর্নেল অলির নেতৃত্বে এলডিপির আত্দপ্রকাশ, বাংলা ভাই ও শায়খ রহমানকে মাঠে নামিয়ে পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, অন্য ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বিভেদ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিএনপির দীর্ঘদিনের বন্ধু চরমপন্থিদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ বিএনপির দুশ্চিনত্দার অন্যতম কারণ। এসব কারণে বিএনপি নতুন করে দুটি বিকল্প নিয়ে ভাবছে_ প্রথমটি হচ্ছে, নির্বাচনে আ'লীগ অংশ নিলে এরশাদকে যে কোনো উপায়ে জোটভুক্ত করা। এ অবস্থায় এরশাদ জোটে না আসলে প্রয়োজনে একানত্দ প্রিয় তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে নির্বাচনে আ'লীগ অংশ না নিলে এরশাদকে ম্যানেজ করে 1996 সালের 15 ফেব্রুয়ারির চেয়ে অধিকতর গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করা। অন্যদিকে জাপার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তাদের সব সিদ্ধানত্দই পাকা হয়ে আছে। আ'লীগের সিদ্ধানত্দ চূড়ানত্দ হলেই জাপার সিদ্ধানত্দও ঘোষণা করা হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



