somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'কেউ জোর করেনি, বাংলাদেশের পতাকা নিজেই নিয়েছিলাম'

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'কেউ জোর করেনি, বাংলাদেশের পতাকা নিজেই নিয়েছিলাম'

ঢাকার মাঠে পাকিস্তানের একজন সমর্থককে জোর করে বাংলাদেশের পতাকা পরিয়ে দেবার অভিযোগ নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে নানা আলোচনা সমালোচনার প্রেক্ষাপটে সেই পাকিস্তানী সমর্থক বলছেন মাঠে তিনি কোন হেনস্থার শিকার হননি।
অভিযোগ উঠেছে , ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার উৎসাহে এবং তার সামনেই জোর করে পাকিস্তানী নাগরিককে বাংলাদেশের পতাকা পরিয়ে দেয়া হয়।
তবে মিস্টার মোল্লা এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাতে মোহাম্মদ বশির নামে ওই পাকিস্তানি সমর্থক বিবিসি বাংলাকে বলেন বাংলাদেশ যখন জিতল তখন তিনি তার এক বন্ধু সোয়েব আলীর কাছ থেকে বাংলাদেশের পতাকা নিজেই চেয়ে নিয়েছিলেন।
“আমি বললাম বাংলাদেশের পতাকাটা আমাকে দাও। তারপর আমি নিজেই নিলাম পতাকাটা এবং আমি খুবই খুশী। আমি বললাম বাংলাদেশ জিন্দাবাদ”।
ছবিতে আপনাকে কাঁদতে দেখা গেছে, কেন ? --এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কারণ পাকিস্তান হেরেছে। কেউ যখন হারে চোখ থেকে তো পানি আসেই। কেও আমাকে কষ্ট দেয়নি। পাকিস্তান হেরেছে বলেই একটু কেঁদেছি”।
বাংলাদেশের পতাকা গায়ে চড়াতে কেউ জোর করেছে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি বয়স্ক বলে বাংলাদেশী এক বন্ধু আমার সাথে আমার রুমেই থাকে। সেই আমার যত্ন নিয়ে থাকে। তার হাতেই বাংলাদেশের পতাকাটা ছিলো। আমি বললাম পতাকাটা আমাকে দাও। তোমার বাংলাদেশ জিতেছে, আমি বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে চাই, কেউ আমাকে জোরে করেনি। আমি নিজেই নিয়েছিলাম”।
তিনি বলেন অনেক সময় ভারত জিতলেও আমি ভারতের পতাকা নেই। ভারতের মানুষ ভালো। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত ভালো।
'বশির চাচা' হিসেবে সমর্থকদের কাছে পরিচিত হওয়া মোহাম্মদ বশির বলেন শুরুতে আমি পাকিস্তানের পতাকা নেয়ার সময় দু একজন তাকে সরে যেতে বলেছিলো যার মধ্যে একজন ফটোগ্রাফারও ছিলো। এটি তাকে কিছুটা কষ্ট দিয়েছিলো। কিন্তু পরে কোন ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সামনে বাংলাদেশী পতাকা জড়ানো সেই পাকিস্তানী সমর্থক কাঁদছেন।
ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্টে জানা যায়, সেই পাকিস্তানী নাগরিকের নাম বশির আহমেদ (যদিও প্রকৃত নাম মোহাম্মদ বশির)। পাকিস্তান দল যেখানেই খেলতে যায়, তাকে সে মাঠে গিয়ে তার দলকে সমর্থন জানান।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানী সেই সমর্থন যখন কাঁদছেন তখন তাকে ঘিরে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ উল্লাস করছেন এবং মোবাইল ফোনে ছবি তুলছেন।
তাদের মাঝখানে সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাকে নির্বিকারভাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। একটি ছবিতে সেই পাকিস্তানী সমর্থকের সাথে সংসদ সদস্যকে কথা বলতেও দেখা যাচ্ছে।
আমি ওরে ধরিও নাই, ছুঁইও নাই : ইলিয়াস মোল্লা
সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ও পাকিস্তানের সাপোর্টার আমি ওকে দেখিও নাই। আমি অনেকদূরের থেকে দেখছি ওকে কে বা কারা বাংলাদেশের পতাকা ওর গায়ে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।”
তিনি আরো বলছিলেন, “ তখন আমি এমন একটা জায়গায় বসছিলাম নিচে মাঠের সাথেই। আমার সামনে শেষ কর্নার পর্যন্তই ছিল। তা আমি বললাম যে এখানে তোমরা হুড়াহুড়ি কইর না। আমি চুপচাপ বসে আছি। আমি ওরে ধরিও নাই, ছুঁইও নাই। এবং আমি বলছি এখানে তোমরা কোন কিছু কইর না। তোমরা চলে যাও।”
ইলিয়াস মোল্লা বলছেন, পাকিস্তানের সেই সমর্থকদের সাথে তার কোন কথা হয়নি। এ রকম কোন ছবি কেউ দেখাতে পারবেনা।
মি: মোল্লা বলেন, “আমি বসা ছিলাম। উঠিও নাই। আমি বলছি যে তোমরা এই লোকটারে এদিকে আনতেছ কেন? উনি পাকিস্তানের সাপোর্টার। উনি ওনার দেশকে ভালোবাসে। ওরটা ও যা ইচ্ছা তাই করবে। যখন আসতেছে তখন লোকটার মুখে আমি একটা শব্দ পাইছিলাম পাকিস্তান জিন্দাবাদ। আর সবাই বলে যে বাংলাদেশ। শুধু এই টুকুই শুনলাম।”
তিনি অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা বানোয়াট খবর ছড়ানো। এ ধরনের ‘ভিত্তিহীন খবর’ ছড়ানোর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করেন।
'কেউ জোর করেনি, বাংলাদেশের পতাকা নিজেই নিয়েছিলাম'
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৭
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×