সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষে অনেকদিন পর সামুতে এলাম। ইচ্ছা হল আপনাদেরকে কিছু একটা বানাতে শেখাই। ইন্টারেস্টেড হলে পোস্ট এ গুতা মারেন।
আচ্ছা বলুন তো, রেডিওতে গান, খবর ইত্যাদি শুনতে কে না পছন্দ করে। আমি করি, আপনি করেন, আমরা সবাই করি। আচ্ছা, কেমন হয় যদি নিজেই ১ টা রেডিও বানানো যায়? কি পছন্দমত ১ টা রেডিও বানাবেন নাকি নিজে নিজে? আমি কিন্তু এফ এম রেডিও এর কথা বলছিনা। ওটা বানানো বেশ কঠিন। তারচেয়ে চলুন আমরা এ এম রেডিও বানাই। এটা বানানো অপেক্ষাকৃত অনেক সোজা। আপনার আগ্রহ থাকলে পোস্ট পড়তে শুরু করুন। ধৈর্য সহকারে পড়বেন কিন্তু।
আপনাকে আমি সহজ কিছু উপায় বলব। এতে আপনি মোটামুটি ভাল মানের ১ টা রেডিও বানাতে পারবেন। আমি নিজেও বানিয়েছিলাম এবং ওটা কাজ করেছিল। করেছিল বললাম এই কারনে যে বানিয়েছিলাম গতবছর। তারপর বাসা পাল্টানোর সময় কিভাবে যেন ভেঙ্গে গেছিল। এখন ওটাকে খুব মিস করি।
যাই হোক, এ এম রেডিও বানাতে আমাদের লাগবে রেজনেটর সার্কিট আর ডিটেক্টর। তাহলেই আপনি উচ্চ রোধের পিয়েজো ইলেক্ট্রিক ইয়ারফোন দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এই জিনিষ জোগাড় করা রীতিমত দুঃসাধ্য। তাই আপনি সাধারন কম রোধের ইয়ারফোন বা চাইলে এমনকি ছোট স্পিকার ও ব্যবহার করতে পারেন তবে শর্ত হল আপনাকে সার্কিট এ ১ টা অ্যাম্পলিফায়ার লাগাতে হবে।
চলেন তাহলে প্রত্যেকটা জিনিস আলাদা আলাদা করে বানানো শিখি। আমি এই পোস্ট এ একটা হাই রেজোলুশন ছবি দিয়েছি । তাতে সব নির্দেশনা চিত্রাকারে আছে। পড়ার আগেই ওটা ডাউনলোড করে নিন। তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে।
অ্যামপ্লিফায়ারঃ
চলুন প্রথমে আপনাকে অ্যাম্পলিফায়ার বানানো শিখাই। এজন্য শুরুতেই লাগবে ১ টা LM386 IC । এটা ৮ পিনের আইসি। ছবিতে দেখানো হয়েছে এটা দেখতে কেমন। পিনগুলা নিচে রেখে আইসি কে উপর থেকে দেখুন। দেখুন একদিকে ১ টা ছোট খাঁজ কাটা আছে। ওটা উপরের দিকে রেখে আইসি কে দেখুন।
এখন বামদিকের এক্কেবারে উপরের পিনটা হল ১ নম্বর পিন। তার নিচে ২, তার নিচে ৩, তার নিচে, ৪। ডানদিকের এক্কেবারে নিচের টা ৫, তার উপরে ৬ , তার উপরে ৭, আর সবচেয়ে উপরে টা ৮ নম্বর পিন । ঠিক মত পিন সনাক্ত করতে লেখার পাশাপাশি ছবির সাহায্য নিন।
আপনি ৪ থেকে ১৫ ভোল্ট পর্যন্ত যেকোনো ডিসি সোর্স দিয়ে এটা চালাতে পারবেন। ৩টা ১.৫ ভোল্ট ব্যাটারি হলেই কাজ হবে।
এবার আসুন ক্যাপাসিটর এর দিকে। এই সার্কিট এ ৩ টা ১০ মাইক্রো আর ১ টা ১০০ মাইক্রো ফ্যারাড (1uF and 100 uF) ক্যাপাসিটর ব্যাবহার করা হয়েছে। মাইক্রো ফ্যারাড ক্যাপাসিটর গুলা সাধারনত সবই দেখতে সিলিন্ডার এর মত হয়। এগুলা ইলেক্ট্রোলাইটিক টাইপের হয় এবং ২ টা পা থাকে এদের। লম্বাটা (+) আর খাটোটা (–) । আবার আপনি এদের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন এদের মোড়কের একদিকে একটা ব্যান্ড আঁকানো আছে যার ভেতরে (-) চিহ্ন দেয়া আছে। ওটাই – আর অন্যটা + । এই ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর গুলা কিন্তু + - ঠিকমত লাগাতে হয়। নাহলে নষ্ট হয়ে যাবে। দেখুন সার্কিটে সব ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর এর যায়গায় + চিহ্ন দেয়া আছে। ওভাবেই লাগান। তবে ১ আর ৪৭ ন্যানো ফ্যারাড (1nF and 47nF) গুলা দেখতে ট্যাবলেট এর মত। এগুলার কোন + - নাই। যেভাবে খুশি লাগান।
আমরা এখানে ১০ ওহম এর ১ টা মাত্র স্থির রোধ ( resistance ) ব্যবহার করব। এর গায়ে কোন ১ দিকে বাম থেকে খয়েরি__কাল__কাল এভাবে দাগ দেয়া আছে। এটা না পেলে ২ টা ২২ ওহম ( লাল, লাল, কাল) বা ৪ টা ৪৭ ওহম (হলুদ, বেগুনি, কাল) প্যারালাল করে ( সবগুলার ১ মাথা একসাথে আর অন্য মাথা একসাথে ) লাগাতে পারেন। তাতেও সমতুল্য কাজ হবে। বর্তনিতে ব্যাবহৃত আরেকটা রোধ হল পরিবর্তনশীল ( variable ) । এটা ১০ কিলো ওহম মানের ১ টা লাগবে। ছবিতে দেখান হয়েছে এটা দেখতে কেমন। গোলাকার, একদিকে ৩ টা পা আর ১ টা নব আছে যেটা ঘুরিয়ে রোধ এর মান পরিবর্তন করা যায়। এটা দিয়ে আপনি এখানে আসলে অ্যামপ্লিফায়ার এর তথা রেডিওর ভলিউম কন্ট্রোল করবেন। এর ৩ পা ছবিতে যেভাবে দেখান হয়েছে ঠিক সেভাবেই লাগান।
বর্তনিতে আউটপুট হিসাবে ৮ ওহম এর স্পিকার লাগাতে পারেন। তবে ৮ এর চেয়ে কম ওহমের স্পিকার লাগাবেন না ( বেশি ওহমের লাগাতে পারেন)। কারন এই ছোট্ট আইসি ( LM386 ) উচ্চ লোড টানতে পারবেনা (স্পিকার এর ওহম কম হলে কারেন্ট তথা লোড বেশি হয়) এবং খুব গরম হয়ে যাবে (নষ্টও হতে পারে)।
তাহলে আপনার অ্যামপ্লিফায়ার বানানো হয়ে গেল। এখন আপনি রেডিও বানাবেন কিনা টা আপনার ব্যাপার। তবে এই অ্যামপ্লিফায়ার দিয়ে আপনি এখন ক্যাসেট বা এমপিথ্রি প্লেয়ার এ গান শুনতে পারবেন এবং সেটা স্পিকার এর মাধ্যমে।
সিগন্যাল ইনপুটঃ
সিগন্যাল ধরার জন্য আপনার লাগবে রেজনেটর আর ডিটেক্টর। আপনি যেকোনো ইলেক্ট্রনিক্স এর দোকান থেকে এ এম রেডিওর কয়েল আর ভেরিএবল ক্যাপাসিটর কিনে রেজনেটর বানাতে পারেন। ১টা কয়েল আর ১টা ভেরিয়েবল ক্যাপাসিটর প্যারালাল ভাবে লাগিয়ে খুব সহজেই রেজনেটর বানানো যায়। প্রাইমারি টিউনিং এর জন্য কয়েল এর ভেতরে ১টা ফেরাইট রড ও লাগবে। ভেরিয়েবল ক্যাপাসিটর এ দেখতে পাবেন ৩ টা পা আছে। মাঝেরটা সহ যেকোনো ১দিকেরটা (মোট ২টা পা ) ব্যবহার করুন। এবার এই ২ পা এর সাথে কয়েল এর ২ মাথা লাগিয়ে একটা লুপ বানান। ব্যস হয়ে গেল রেজনেটর। দেখুন এই ক্যাপাসিটর এরও একটা নব আছে। এটা ফাইন টিউনিং এর জন্য। তবে এটা হাত দিয়ে করতে যাবেন না। তাহলে হাত থেকে অবাঞ্ছিত নয়েজ সার্কিট কে ঠিকমত কাজ করতে দিবেনা। কোন প্লাস্টিক এর ছোটো প্লেট জাতীয় কিছুর মাঝে নব এর খাঁজ এর মত গর্ত করে ওর ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে দিন। ওটা দিয়ে কাজ করুন। আর হ্যাঁ ধাতব কিছু ব্যবহার করবেন না। কেননা এগুলো বিদ্যুৎ পরিবাহক। নয়েজ ঠেকাতে পারবেনা।
যাই হোক, এরপর সাথে ডিটেক্টর হিসাবে ১ টা ডায়োড লাগবে। ডায়োড অনেক রকমের আছে। ভাল হয় আপনি যদি 1N4148 মডেলের ডায়োড লাগান। এটা ক্ষুদ্র সিগন্যাল এর বর্তনিতে অন্যগুলা থেকে ভাল কাজ করে। এই ডায়োড দেখতে কেমন হয় ছবিতে দেখান হয়েছে। এটা লাল রঙ এর হয় আর ১ দিকে ছোটো ১টা কাল রঙের দাগ থাকে। ওটা হল – আর লাল দিক হল + ।
তাহলে এখন রেজনেটর এর ২টা জোড়ার যেকোনো ১টাতে ডায়োড এর ১ মাথা লাগান। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এর + - নিয়ে সমস্যা হবে না ? উত্তর হল না। আপনি যেদিক ইচ্ছা লাগাতে পারেন। + - নিয়ে সমস্যা হবেনা। তবে সমস্যা হবে অন্য জায়গায়। শুধুমাত্র ১টা ডায়োড দিয়ে এখানে কাজ হবে না। কেননা ডায়োড কে অন করতেই প্রায় ৫৪০ মিলি ভোল্ট এর মত শক্তি লাগে। শক্তিশালি স্টেশন হলে কাজ হতে পারে কিন্তু স্টেশন দুর্বল হলে খুব সম্ভবত রেডিও কাজ ই করবে না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে বাহির থেকে অতিরিক্ত ভোল্টেজ দিয়ে ডায়োড কে অন হতে সাহায্য করতে হবে। এ জন্য আপনি ডায়োড এর সাথে সিরিজে ১ টা ১.৫ ভোল্ট ছোট্ট বাটন সেল লাগাতে পারেন। নতুন বাটন সেল কিনতে না চাইলে সাধারন কোন পুরানো ১.৫ ভোল্ট ডবল এ সাইজ ব্যাটারি ও লাগাতে পারেন। এক্কেবারে পুরানো ব্যাটারিও ভাল কাজ দিবে। তবে হ্যাঁ অ্যামপ্লিফায়ার চালাতে কিন্তু নতুন ব্যাটারীই লাগাবেন।
লক্ষণীয় বিষয় হল ডায়োড এর সাথে ব্যাটারি লাগালে তখন কিন্তু ডায়োড এর + আর – ঠিক মত লাগাতে হবে । না হলে কাজ হবেনা । ত্রুটি এড়াতে ছবির মত করে ডায়োড এর + এর সাথে রেজনেটর এর এক মাথা , ডায়োড এর - এর সাথে ব্যাটারির - , আর ব্যাটারির + এর সাথে অ্যামপ্লিফায়ার এর ১ মাইক্রো ক্যাপাসিটর এর সংযোগ দিন।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আপনার রেডিও। এবার কয়েল এর ভেতর রড ভরে দিয়ে ভেরিএবল ক্যাপাসিটর দিয়ে টিউনিং করুন। ও হ্যাঁ, একটা কথা বাজারে ফেরাইট রড না পেলে আপনার বাসার লোহার কোন রড ( যেমনঃ স্ক্রু ড্রাইভার এর রড, কোন লোহার অ্যান্টিক কাটার বা কোন স্টিল এর চামচ , সোজা কথায় হাতের কাছে যা পান তাই ) দিয়ে চেস্টা করুন। ঠিকমত টিউনিং করতে পারলে আমি নিশ্চিত আপনি কোন স্টেশন ধরতে পারবেন।
মজার এক্সপেরিমেন্টঃ
পোস্ট এর শেষে এসে চলেন আপনাদেরকে একটা মজার জিনিস শিখাই। যদি আপনারা এই ডায়োড এর সাথে ব্যাটারির ঝামেলা না করতে চান তাহলে নিজেই কেন ১ টা ডায়োড বানিয়ে নিন না । টা অনেক সেনসিটিভ ডায়োড এবং ব্যাটারি ছাড়াই বাজারের টা থেকে ভাল কাজ করবে। নিচে প্রদর্শিত ছবিতে এটা বানাতে দরকারি সবকিছু দেখানো হয়েছে। এ জন্য যা করবেন, প্রথমে কোন একটা পেন্সিল এর ২ প্রান্তই চেঁছে নিয়ে গ্রাফাইট কার্বনের দণ্ড বের করুন। এবার এক মাথায় তার লাগান , অন্য মাথা খোলা রাখুন। এবার বাসায় পুরানো, ব্যাবহৃত স্টীল ব্লেড খুঁজুন। দেখুন ব্লেডের যায়গায় যায়গায় নীলচে দাগ হয়ে গেছে। ব্লেডের সাথেও আরেকটা তার লাগান। এবার কোন স্ট্যান্ড বা অন্য কিছুর সাহায্যে পেন্সিল এর গ্রাফাইট কার্বনের এক মাথা ওই নীলচে জায়গায় হাল্কা চাপ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখুন। এটাই আপনার ডায়োড। এখন আপনাকে রেডিও তে ভাল সিগন্যাল পেতে হলে কোথায় কি পরিমান চাপ দিতে হবে সেটা একটু এক্সপেরিমেন্ট করে বের করুন।
শেষ কথাঃ
আমি তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়ার পাশাপাশি ছোটো খাটো এসব জিনিস বানাতে খুবই ভালবাসি। অনেক ছোট থেকে কাজ করছি। আমি ভালভাবেই জানি একটা জিনিসকে কাজ করাতে কত কস্ট করতে হয়। তাই আপনাদের বলছি রেডিও প্রথমেই কাজ না করলে হতাশ হবেন না বা মন খারাপ করবেন না কিন্তু। কোথায় সমস্যা আছে খুঁজুন। বারবার চেষ্টা চালান। সফলতা আসবেই। আর রেডিও কাজ করলে অবশ্যই জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন। (বিঃ দ্রঃ লেখার কোথাও বানান ভুল থাকলে সে জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।)
আসেন একটা রেডিও বানাই (সাথে অ্যামপ্লিফায়ার ফ্রি !!!)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!
দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক
১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন
সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
লুঙ্গিসুট
ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন