somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদ্যুৎ চলে গেলে আপনার বাসায় অটোমেটিক আলো জ্বলে উঠবেB-)!!! কি এরকম ১ টা সার্কিট বানাবেন নাকি?? তাইলে চলে আসেন।

২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেমন আছেন সবাই? আবার সার্কিট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আপনাদের ২ টা মজার এবং কাজের সার্কিট ;)একসাথে শিখাব। এদের ১ টার নাম জুল থিফ আর আরেকটা হল লাইট ডিটেক্টর।
ইলেক্ট্রনিক সার্কিটের জগতে এক বিস্ময়কর নাম হল জুল থিফ সার্কিট যা বাংলা অর্থ দাঁড়ায় শক্তি চোর। আসলেই এটা অনেকটা চোরের মতই কাজ করে। :P:Pএই জিনিস দিয়ে আপনি যা করতে পারবেন তা হল খুব কম মানের ভোল্টেজ সোর্স দিয়ে সোর্স থেকে বেশি ভোল্ট দরকার এরকম কাজ করতে পারবেন অর্থাৎ সার্কিট চালাতে পারবেন।
আপনাদেরকে সবার প্রথমে অন্য ১টা জিনিসের ব্যাপারে ধারনা দেয়া দরকার। আপনারা অনেকেই হয়ত এল ই ডি বাল্ব এর নাম শুনেছেন। LED means “Light emitting Diode”.
ডায়োড হল সিলিকন এর তৈরি এমন এক জিনিস যার ২ মাথা আছে, দেখতে অনেকটা রোধক এর মত কিন্তু এটা শুধুমাত্র একদিকে তড়িৎ প্রবাহে অনুমতি দেয়। অর্থাৎ অনেকটা পানির লাইনের ভাল্ভ এর মত কাজ করে। আর এল ই ডি হল এক ধরনের ডায়োড যার ভেতর দিয়ে নির্দিস্ট দিকে তড়িৎ প্রবাহ করলে এতে আলো জ্বলে। নরমাল ফিলামেন্ট বাল্বের মত এতে ব্যাটারি লাগালেই আলো জ্বলে না। ১ টা নির্দিস্ট মানের ভোল্টেজ বা তার বেশি ভোল্টেজ পজিটিভ দিকে দিলে তবেই আলো জ্বলে। একে বলে বায়াসিং ভোল্টেজ।
উদাহরনঃ এলইডির রঙ ও বায়াসিং ভোল্টেজ এর মান
লাল – ১.৭ ভোল্ট ।। সবুজ – ১.৮ ভোল্ট ।। সাদা – ৩ ভোল্ট ।। নীল – ৫ ভোল্ট
ছবিতে ২ যায়গায় দেখানো হয়েছে কিভাবে কোন এলইডির + - কোনটা তা বের করতে হয়।
তো আমরা আজকে একটা জুল থিফ সার্কিট এর সাহায্যে একটা পরিত্যক্ত ১.৫ ভোল্ট ব্যাটারি দিয়ে ৫ ভোল্ট এর ১ টা নীল এলইডি জালাব।
দেখুন ছবির সার্কিট কে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। লাল বাক্স চিহ্নিত অংশটুকু হল জুল থিফ। আর বাকিটুকু হল আপনাদের জন্য বোনাস আকর্ষন, ওটুকু হল লাইট ডিটেক্টর সার্কিট।;);) ওটার কাজ হল এরকমঃ
আপনি পুরা সার্কিট টা বানানোর পরও কিন্তু লাইট জলবে না । যখন আপনি সার্কিট কে অন্ধকারে নিয়ে যাবেন শুধুমাত্র তখন ই আলো জলবে। আপনার সুইচ অন অফ করার ঝামেলা নাই। রাতে কারেন্ট চলে গেলে আর মোমবাতি খুজতে হবেনা। একা একাই আলো জ্বলে উঠবে। B-)B-)B-)আবার কারেন্ট চলে এলে মানে ঘরের বাতি জ্বলে উঠলে এল ই ডি একা একাই নিভে যাবে। B-)B-)
আপনি লাইট ডিটেক্টর না বানালে চিত্রানুযাই জুল থিফের সাথে যেখানে লাল রঙ্গের ব্যাটারির ছবি দেয়া আছে সেখানে ব্যাটারি লাগাতে পারেন। তাহলেও শুধু জুল থিফ কাজ করবে। তবে তখন সুইচ ও লাগবে। অটোমেটিক কাজ করবে না।
তাহলে সার্কিট বানাতে চিত্রে উল্লেখিত ২ টা ট্রানজিস্টর যোগাড় করুন। এটা একটা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যার ৩ টা পা আছে। এদের নাম এমিটার, বেস, কালেক্টর। খেয়াল করুন ছবিতে দেখানো হয়েছে কোন ট্রানজিস্টর এর কোন পা কোন পিন নির্দেশ করে এবং সার্কিট সিম্বল অনুযায়ি এদের কোথায় কিভাবে লাগাতে হবে।
২ টা রোধক লাগবে ১ কিলো আর ৪৭ কিলো ওহম এর। কালার কোড ও ছবিতে দেখানো হয়েছে।
“এল ডি আর” নামের যে বস্তু টা দেখতে পাচ্ছেন সেটা হল লাইট ডিটেক্টর এর চোখ বা সেন্সর। এটাই আসলে লাইট এর তীব্রতা সেন্স করে সার্কিট কে নিয়ন্ত্রন করে। আপনি এর উপর আলো ফেললে দেখবেন আপনার সার্কিট এর লাইট নিভে যাবে আর আপনি এল ডি আর কে অন্ধকারে রাখলে সার্কিট এর লাইট জ্বলে উঠবে।
জুল থিফের জন্য আপনার শেষ যা লাগবে তা হল একটা হাতে বানানো ট্রান্সফরমার। ২ টা তারের কয়েল কাছাকাছি একই অক্ষ বরাবর রাখলেই ট্রান্সফরমার হয়ে যায়। আর কয়েলের ভেতর কোন লোহার পদার্থ (বিশেষ করে ফেরাইট পদার্থ ) থাকলে ট্রান্সফরমার অনেক ভাল মানের হয়। আমি পুরানো ভাঙ্গা এনার্জি বাল্বের সার্কিট থেকে একটা গোলাকার রিং এর মত ফেরাইট কোর (ছবিতে দেখুন যার গায়ে তার পেচান আছে) পেয়েছিলাম। আমার টা গোলাকার কোর ছিল বলে আমার ট্রান্সফরমার টার নাম হচ্ছে টরয়েড। আপনারা যেরকম পান তাই দিয়েই ট্রাই মারেন। দেখেন ছবিতে আমি ২ টা কয়েলের নাম ও তাদের তারের মাথা ৪ টার নাম আলাদা আলাদা ভাবে বলে দিয়েছি। ছবিতে তারের প্যাঁচ গুলা ভালভাবে খেয়াল করুন। আর ঠিক সেভাবেই লাগান। ভুল হলে কিন্তু জুল থিফ কাজ করবে না।
খেয়াল করুন ট্রান্সফরমার এর A কয়েল থেকে B কয়েলের প্যাঁচ সংখ্যা বেশি হতে হবে। মোটামুটি ১৫ অথবা ২০ গুন হলেই হবে। “এ” তে ৪ পাক আর “বি” তে ৬০ পাক দিয়ে দিন। এতেই কাজ হবে। :)
তাহলে এবার সুন্দর করে সার্কিট দুইটা বানিয়ে ফেলুন আর কারেন্ট চলে গেলে অটোমেটিক আলো জালিয়ে বাসার সবাইকে চমকে দিন। ;););)
কোন প্রশ্ন থাকলে মন্তব্যের ঘরে লিখুন। সবাই ভাল থাকবেন।
১৭টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×