কোন বিষয়ে রিসার্চ না করে মন-স্বাধীন যা ইচ্ছে তা লেখার জায়গা ফেসবুক; ব্লগ না। সামুর বিশাল প্লাটফর্মে যারা লেখালেখি করেন তাদের লেখা পড়লেই বুঝা যায় এগুলো তাঁদের অনেক পরিশ্রমের পাকাফল। কিন্তু কিছু লেখক খুব সতর্কতার সাথে এখানেও ভুল তথ্য দিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
ব্লগার বিচার মানি তালগাছ আমার সহ আরো কিছু সহ ব্লগার শিরোনামের বিষয় দু'টি নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করছেন। সহব্লগার শাহিন ভাই এবিষয়ে খুব সুন্দরভাবে আমায় একটি প্রতি মন্তব্য করেছিলেন। এখানে তার প্রতিউত্তরসহ আরো কিছু সংক্ষিপ্ত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আশাকরি এটা পড়ার পর এবিষয়ে কারো কোন সন্দেহ থাকবে না।
কওমী জননী:
একজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী যদি শেখ হাসিনাকে "কওমী জননী"র চেয়েও বড় উপাধি দেয় তাহলে অবাক হওয়া বা আলোচনা করার মত কোন বিষয় হয় না। তারপরও কিছু মানুষ আজাইরা হই হোল্লা করে বিষয়কে প্রোপাগান্ডায় রূপ দিতে চান। আমি বারংবার প্রমাণসহ বলছি যে,শেখ হাসিনাকে কওমী অঙ্গনের সকলের সমর্থনে "কওমী জননী" উপাধি দেয়া হয়নি বরং এটা একজন স্বার্থান্ধ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রার্থীর দাবী। যার প্রতিবাদে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বিপরীত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও আওয়ামীলীগের সাথে সম্পর্কিত সকল কাজে আহমদ শফী সাহেবের ছোট ছেলে আনাস মাদানি জড়িত। মুফতি! ফয়জুল্লাহ, হাসানাত আমিনি, রুহুল আমিন প্রমুখ মানুষগুলো হেফাজতকে তাদের ইচ্ছেমত ব্যবহার করেছে এবং হেফাজত ও আল হাইয়্যাতুল উলিয়াকে সাধারণ মানুষের কাছে খিচুড়ি করে দিয়েছে, অথচ দুনো বিষয় আলাদা আলাদা। তারা ব্যক্তি আহমদ শফি থেকে নিয়ে আলেমসমাজের মুরব্বিদেরকে নিজেদের ছলচাতুরী দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করে যেমন হেফাজতের মানচূর্ণিত করেছেন তেমনি কাওমীকে ধীরেধীরে নিজ স্বার্থে জবেহ করতে উদ্ধত হয়েছেন।
আশাকরি এখন এই বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে।
করমর্দন :
(১) যারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বা যারা ভিডিওটি বারবার দেখেছেন আশাকরি তারা বুঝতে পেরেছেন যে, আল্লামা শফি মুসাফাহা করতে হাত বাড়ান নি। অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত দুর্বলতারর কারণে তাঁর মধ্যে কিছুটা ঘুমঘুম ভাব চলে এসেছিল। তাঁকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়ার পরে হকচকিয়ে উঠেন। অতপর নিজেকে কিছুটা স্থির করে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা গ্রহণ করে হাতের ইশারায় চেয়ারে বসার আমন্ত্রণ জানান। বাবার বয়সী বৃদ্ধের বাড়ানো হাতকে প্রধানমন্ত্রী সম্মান দিতে ধরেছেন অথবা তিনি মনে করেছেন আহমদ শফি তার প্রতি সম্ভবত মুসাফাহার জন্যে হাত বাড়িয়েছেন।
(২) একদিন আমি আমার এক আত্মীয়ের বাসায় ঘুরতে গেলাম। উনাদের ড্রয়িংরুমে আমায় বসতে দিলেন। হঠাৎ অপরিচিত একজন বৃদ্ধা মহিলা পর্দাহীন অবস্থায় প্রবেশ করলেন। উনার উপস্থিতে আমি অস্বস্তিবোধ করতে লাগলাম। এটা দেখে আমার শ্রদ্ধেয় আংকেল মুফতি শামীম সাহেব বৃদ্ধাদের সম্পর্কিত কতেক মাসআলা বলেছিলেন। যা শুনে আমার অস্বস্তিকর অবস্থা কেটে যায়। (এটা আমার বালিগ হওয়ার প্রথম দিকের ঘটনা যদিও আমি ভার্সিটিতে উঠে ডিজিটাল হয়ে যাই)
উনার থেকে শুনা মাসআলার আলোকে বলতে পারি, একজন অশীতিপর বৃদ্ধের জন্য অপর বৃদ্ধা নারীর সাথে মুসাফাহা বৈধ; কিন্তু উনি তো সেই বৈধতার ভিত্তিতে হাত বাড়ান নি ? এর আগে ও তো প্রধানমন্ত্রী র সাথে বৈঠক হয়েছিল। তখন কি হাত বাড়িয়েছিলেন ?
ছবি কৃতজ্ঞতায় : গুগল
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১