
বিএনপির দাবী, গত দশ বছরে তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৯০ হাজার ৩৪০টি মামলায় আসামী হয়েছে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার, জেলে রয়েছে ৮০ হাজার ৬০৯জন, নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৫১২জন। এরমধ্যে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে নিহত ৭৮২ জন। অজ্ঞাত আসামী ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৭৭জন।

এদিকে গত ১ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ জন আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

আমাদের দেশের সংবিধান অনুসারে জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। সংবিধানের প্রথম ভাগের ৭(১) ধারায় জনগণকে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতার মালিক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। দেশে অনেক রাজনৈতিক দলও রয়েছে। কিন্তু এই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলীয় লোক ছাড়া বাকি জনগণকে কোন জনগণই জ্ঞান করে না; তাদের কথাবার্তায় এর স্পষ্ট প্রমাণ মিলে। সেসম্পর্কে আবুল মনসুর আহমদ বলে গিয়েছেন, "রাজনৈতিক আদর্শের চেয়ে অধিকাংশ দলের কাছে দলীয় কর্মীদের ব্যক্তি স্বার্থই অনেক বড়। "
উনার এই কথার বাস্তবতা অস্বীকার করার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হওয়ার পরিবর্তে হয়েছি ব্যর্থ। রিসার্চ করতে গিয়ে হয়েছি আকুটলামিপূর্ণ অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ।
আমাদের নির্বাচন কালীন সময়ের সাথে জড়িয়ে আছে নির্বাচনী ওয়াদা, ওয়াদাভঙ্গ, নমিনেশন লাভের সর্বাত্মক চেষ্টা, ক্রয় বিক্রয়, দল ত্যাগ, সম্ভাব্য বিজয়ী দলে যোগদান, ভোট ক্রয় বিক্রয়, সম্প্রতি জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ 'ভোট বিক্রি করে আওয়ামীলীগে ভোট দেয়া' ইত্যাদি সকল সুকর্মগুলো কি জনগণের জন্যই করা হচ্ছে নাকি দলীয় কর্মীদের ব্যাক্তি স্বার্থের জন্য জনগণকে নিয়ন্ত্রণ/ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে?
উৎসর্গঃ আমাদের প্রিয় সহব্লগার কলাবাগান১কে
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগল
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


