১৩ সালে সাহবাগে যাওয়া নারীরা খারাপ কিন্তু গতকালের নারীরা পবিত্র!
এই নারীরা ভোরের আলোর মত ফজরের পর আন্দোলনে যুক্ত হতে পারতেন। কিন্তু তারা তা করেন নি। রাতে সেখানে যাওয়ার আবশ্যকতা তাদের দৃষ্টিতে দিনের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা রাতেই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। একইভাবে শাহবাগ আন্দোলনের সময়ে শাহবাগে অবস্থানরত নারীদের কাছে সেখানে রাতে অবস্থান করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাদের উভয়ের চিন্তাধারার হিসেবে উভয়েই সঠিক।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, উভয়ের এই সঠিক নীতিটা তারা মানতে নারাজ। শাহবাগী নারীদের কাছে বর্তমানের নারীরা "বোকা নারী"। আর গতকাল রাতের আন্দোলনে যুক্ত হওয়া নারীদের কাছে শাহবাগী নারীরা "মন্দনারী"। তাদের উভয়ের মধ্যে এই মানসিক ফারাক তাদেরকে অন্যদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদশর্নে বাধা দিচ্ছে। আমরা এটাকে রাজনৈতিক কারণ বললেও তাদের উচিৎ একে অন্যকে সম্মান করা। তবে উভয় আন্দোলনে যারা যুক্ত হয়েছেন। তারা হয়তো এই ধারণার লালন করেন না।
যে কোন বিষয়ে আমরা পূর্বে সিদ্ধান্ত নেই, তারপর আলোচনায় বসি। যার ধরুন আমরা সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারি না। আর সেকারণেই আমাদের সিদ্ধান্তগুলো হয়, স্বজনপ্রীতি, স্বার্থলোভী, ও সীমিত সীমানায় আবদ্ধ। আমাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক সব ক্ষেত্রেই আমরা এই সীমানা লালন করে থাকি। যা মূলত অন্ধকারের রাস্তা।
আমরা ১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীদের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত জানাই। একইভাবে গতকালের আন্দোলনে যুক্ত হওয়া নারীদের ক্ষেত্রেও আমরা নিজেদের মানসিক চিন্তার ভেতরেই সিদ্ধান্ত নেই।
এই সময়ে এটা নিয়ে লেখার একটাই কারণ, দিন বদলের যে জয়গান আমরা করি, তার পূর্বশর্ত হচ্ছে আমাদের নিজেদেরকে পরিবর্তনের চেষ্টা করা। নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন নিয়ে আসা। যেদিন আমরা আমাদের নিজেদের চিন্তার পরিধীকে বৃহৎ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবো, সেদিনই আমরা অন্যের জন্য, দেশের জন্য নিঃস্বার্থ চিন্তা ও কাজ করতে পারবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫