জামাত শিবির সুযোগ পেলে আবারও প্রকাশ্যে বাঙালী গণহত্যায় যুক্ত হবে, আওয়ামিলীগের পূনর্বহালের কথা ভাবতে গেলেই এই বিশ্বাসটা দৃঢ় হয়। এই হিসেব মিলাইতে গেলে আপনার রকেট সাইন্স জানার প্রয়োজন নাই।
জামাত শিবির ৭১ এর গনহত্যার দায় স্বীকার পূর্বক ক্ষমা না চাওয়া আর জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার পূর্বক আওয়ামীলীগের ক্ষমা না চাওয়ার পার্থক্য যথেষ্ট বিশাল। এই ফারাককে ছোট কইরা দেখার অর্থ, আপনি ধর্ম ব্যবসায়ীদের পণ্যের অবস্থানে রয়েছেন যে তা স্পষ্ট। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি আলেমদের অবদান স্বীকার করলে আপনি জামাত শিবিরকে মুনাফিক বলতে লজ্জা বা ভয় পাওয়ার কথা না। উইকিপিডিয়ার মতে, "বাংলাদেশের তৎকালীন রাজনীতি সচেতন আলেমদের মধ্যে ১২%–১৪% স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং ১৬%–১৮% স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেন। ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়। বাকি দুইটা দল জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলাম পার্টি স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করে। তবে পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতার দায় সব ধরনের ইসলামপন্থীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, ইসলামকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিপক্ষ শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয় এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে ইসলামি প্রতীক ব্যবহার করা হয়।"
উইকিপিডিয়ার এই তথ্য বাস্তবে আমরা এতোকাল যাবত দেখে এসেছি। যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবিরের কারণে বাঙলাদেশে আলেমদের যে অমর্যাদা হয়ে এসেছে এর জন্য কেবলমাত্র জামাত শিবিরই দায়ী। সুতরাং জামাত যদি তার নিজের ভুলের স্বীকার না করে, তবে বাংলাদেশ থেকে জামাত ইসলামের রাজনৈতিক অবস্থান পুরোপুরি শিকড় সহ উঠিয়ে ফেলা উচিৎ। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এক গণহত্যাকারী দল আরেক গণহত্যাকারী দলকে বৈধতা বা ভিন্ন নামে জনগণের সামনে দাঁড় করাবে। এই চক্র থেকে বাঁচতে সবার সচেতন হওয়া আবশ্যক।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫০