Special theory of relativity থেকে আমরা জানি আলো হচ্ছে সবথেকে দ্রুত। অন্য কোনো কিছুই এর থেকে দ্রুত হতে পারবে না। যার গাণিতিক প্রমান ও আমাদের কাছে রয়েছে।
কিন্তু একটু ভাবলেই কিন্তু আমরা দেখি বিগব্যাং নিজেই হয়েছিল আলোর থেকে দ্রুত বেগে, এমন কি স্পেস পর্যন্ত আলোর থেকে দ্রুত বেগে প্রসারিত হচ্ছে, আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে আমরা যে কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্টের কথা জানি তাও হচ্ছে আলোর থেকে দ্রুত! o.O
আচ্ছা এসবের মানে কি?? আমরা কি তাহলে প্রতিনিয়তই স্যার আইন্সস্টাইনের থিওরিকে ভুল বলছি? এত সহজ? :/
চলো দেখি
বিগব্যাং বা স্পেস সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রথমে যা বুঝতে হবে তা হচ্ছে স্পেস নিজেই প্রসারিত হচ্ছে, এটা কিন্তু এমন ন যে গ্যালাক্সি গুলো আলোর থেকে দ্রুত বেগে দৌড়চ্ছে . তো আমরা আইন্সস্টাইনের থিওরি থেকে তো আমরা জানি "Nothing can go faster than light." তো nothing টা কি? নিশ্চই শুন্য স্থান মানে স্পেস নিজেই। So, nothing can go faster than light মানে Space can go faster than light!!
তো আবার কি? হোক স্পেসের প্রসারন আলোর থেকে দ্রুত ফিজিক্সের ল ভাঙ্গছে না, কারন কোনো বস্তুই আলোর থেকে দ্রুত চলছেই না।
এবার আসি কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্টে, দুটি ইলেকট্রন আমরা যদি পাশাপাশি রাখি তবে এরা একই ভাবে, একই ছন্দে কম্পিত হবে। এবার যদি এই ইলেকট্রন দুটির একটিকে আমাদের গ্যালাক্সি তে আর অন্যটিকে ১ আলোকবর্ষ দুরের অন্য কোথাও রেখে একটিকে স্পন্দিত করি অপরটিও সাথেসাথে একই ছন্দে স্পন্দিত হবে ১ আলোকবর্ষ পার্থক্য থাকা সত্যেও এটাই মূলত কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্ট। এখন দেখ যেখানে আলোর দরকার হচ্ছে ১ বছর কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্টে তথ্য যাচ্ছে কিন্তু সাথে সাথে!!
আর এই জিনিসটি স্যার আইন্সস্টাইনের ভীষন অপছন্দের ছিলো তিনি কোনো ভাবেই এটা মানতে পারেন নি।আর আলোর থেকে দ্রুত হওয়ার কারনে তিনি বলেছিলেন কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্টই নিজেকে ভুল প্রমানিত করে। কিন্তু কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্ট কিন্তু বার বার প্রমানিত আর এটা ভুল না। যার কারনে আইন্সস্টাইন কে হাসির পাত্রও হতে হয়েছিলো! :O
তাহলে এবার? আইন্সস্টাইনের থিওরি কি ভুল? আইন্সস্টাইন কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্টকে ভুল বলে হাসির পাত্র হলেও এর মানে কিন্তু এই না যে তার দেয়া থিওরিকে ভুল হতে হবে B-|
এটা আইন্সস্টাইনের সূত্রকে ভুল প্রমান করতে পারেনি কারন এখানেও কোনো বস্তুই আলোর থেকে দ্রুত যাচ্ছে না যেটা যাচ্ছে সেটা অব্যবহার যোগ্য তথ্য যা কোনো কাজের নয়। যেমন ধর, তুমি জানো তোমার একবন্ধু একপায়ে সাদা আর এক পায়ে কালো মোজা পরে কিন্তু তুমি জানো না কোনটা কোন পায়ে। এখন তুমি যদি তোমার বন্ধুর একপায়ে সাদা মোজা দেখ তুমি নিমিষেই বুঝবে আলোর থেকে দ্রুত গতিতে যে অপর পায়ে কালো মোজা। কিন্তু এতে কোনো হাতি ঘোড়া হচ্ছে না কারন কোনো usable তথ্য আলোর থেকে দ্রুত বেগে চলছে না। তাহলে এবার ও আইন্সস্টাইন এবং তার তথ্য জিতে গেলো।
আসলে এভাবে দেখলে আমাদের যেন মনে হয় আমরা পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রগুলো ভেঙ্গে ফেলছি আসলে এমনটা না। আর একটা উদাহরন হিসেবে দেখতে পারো, আমাদের দেশেই আমরা বিভিন্ন যায়গায় ছোট ছোট রং বেরং এর বাতির কাজ দেখি রাস্তায় বা বিয়ে বাড়িতে এগুলো দিয়ে বিভিন্ন ভাবে সাজানো হয়। কিন্তু এই বাতি গুলো কি নিজের জায়গায় নড়তে পারে? নিশ্চই না এরা তো স্থির! কিন্তু বাতি জ্বালানোর পদ্ধতির বা ছন্দের কারনে বিভিন্ন ধরনের নকশা নড়াচড়া করতে দেখা যায়। তো এখানে কে কাদের থেকে দ্রুত? বাতিগুলো নিজেই নিজেদের স্পিড ব্রেক করছে?
এভাবেই স্পেস সম্প্রসারণ বলুন আর কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্ট বলুন কেউ পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম লংঘন করছে না B-|
এটা মূলত পদার্থ বিজ্ঞানের সৌন্দর্য যার নিয়ম গুলো ভাঙ্গতে গেলে এরা নিজের থেকেই জোড়া লেগে যায়
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩