আমি বায়ান্ন দেখিনি। আমি আমার মুখ থেকে উর্দুর স্কচটেপ খুলে ফেলা দেখিনি। আমি মাশরাফির মুখে বাংলার গর্জন দেখেছি।
আমি একাত্তর দেখেনি। আমি কোন সেক্টর কমান্ডার দেখিনি। আমি নেতা দেখেছি। খুঁড়িয়ে হাঁটতে না পারা পা নিয়েও দৌড়াতে দেখেছি।
গোলাবারুদ ভরা কামান দেখিনি। দেশপ্রেমের বারুদ বুকে ভরা মাশরাফিকে দেখেছি।
হাঁটুতে গুলি খেয়ে রাইফেল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া কোন ক্র্যাকড দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাকে দেখিনি। আমি হাঁটুতে সাতবার অপারেশন করেও বল হাতে এগিয়ে যাওয়া মাশরাফিকে দেখেছি।
এগারোটা দামাল ছেলে মিলে পুরো একটা মিলিটারি ঘাঁটিকে উড়িয়ে দিতে দেখিনি। আমি এগারোটা বাঘ কে পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিতে দেখেছি। সাথে একটা পুরো শরীরে কলিজা ভরা বাঘের হুংকার দেখেছি।
আমি দেশের জন্য রক্ত দিতে দেখিনি। রক্ত পানি করা শরীর জুড়ে ঘামের বন্যা দেখেছি। দেশের পতাকা হাতে ছুটে চলা দেখেছি। লাল সবুজের চাদরের নিচে জ্বলতে থাকা মাশরাফি ময় বাংলাদেশ দেখেছি।
মাশরাফি কোন আবেগ নয়, মাশরাফি কোন গল্প নয়। মাশরাফি মানে অধিকার। মাথা উঁচু করে বাঁচার আমন্ত্রণ।
মাশরাফি কে নিয়ে ম্যারি মি লেখা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে তাকে আপন করতে হয় না। মাশরাফি নিজেই বুকে বাংলাদেশ লিখে সবার আপন হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সেদিন সত্যিকারের বাংলাদেশ হবে যেদিন সদ্য স্কুলে ভর্তি হওয়া ছেলে মেয়েগুলো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে না চেয়ে বড় গলায় বলবে,
আমি মাশরাফি হব।