রাজনের বাবা অভিযোগ করেছেন, রাজনকে হত্যার পর বুধবার রাত ১০টার দিকে তিনি জালালাবাদ থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি! উল্টো তাকে থানা থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে এসআই আমিনুল। (সূত্র: দৈনিক মানবজমিন)
এ থেকে স্পষ্টই বুঝা যায় ওই ভিডিওচিত্রটি যদি প্রকাশিত না হতো তা হলে বিচার তো দূরের কথা, রাজনের বাবাকেও বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। আমরা রাজন হত্যার ভয়ানক ভিডিওচিত্রটি দেখেছি বলেই আমাদের ভেতরটা শিউরে উঠেছে, তা না হলে হাতে গোনা ক'জন মানুষও হয় তো জানতো না যে রাজন নামক এক হতভাগা নির্মম ভাবে খুন হয়েছে। কতো শত রাজনের বাবাকে প্রতিদিন গলা ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দিচ্ছে আমিনুলের মতো কুলাঙ্গার এসআই রা তার হিসেব আমাদের জানা নেই। মানুষ কার কাছে আশ্রয় খুঁজবে! থানায় গলা ধাক্কা খেয়ে অত:পর কার কাছে সন্তান হত্যার বিচার চাইবে হতভাগা পিতা!
আমি রাজনের হত্যাকারী ওই সব নরপিশাচদের শাস্তি যতোটা চাই, তারো অধিক শাস্তি চাই ওই এসআই আমিনুল নামক শয়তানের; ওদের মতো মানুষ রূপী শয়তানের জনে্যই আজ মানবতা বিপন্ন; রাজনদের খুনের জন্য মূলত: ওরাই দায়ি; ওরাই খুনিদের আশ্রয়দাতা; ওদের জনে্যই আজ ন্যায় বিচারের প্রতি মানুষের আস্থা শুনে্যর কোঠায় নেমে এসেছে।