কথায় বলে গরমের দিনে নাকি দুই শ্রেনীর লোক কোট পরে,
১) পাগল
২) উকিল।
উকিলদের শার্ট-পান্টের উপর শুধু কোট না, বিশাল বড় কালো গাউনও পড়তে হয়।
উল্লেখ্য কোর্টের ভেতর প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শত শত লোকের চাপাচাপিতে এমনিতেই দমবন্ধ হওয়ার অবস্থা হয়, এর মধ্যে কোট-গাউন পরে কি করুন অবস্থার সৃষ্টি হয় তা শুধু বেচারা উকিলরাই জানে।
শুধু উকিল নয়, দেখবেন প্রধান বিচারপতি বিচারের সময় মাথার মধ্যে উল/পশমের কি যেন একটা পরে থাকে। এ ধরনের কাপড় পরানোর পেছনে দাবি করা হয়, পশমের এ টুপি দিয়ে প্রধান বিচারপতিকে মা ভেড়া সাজিয়ে দেয়া হয়। মা ভেড়ার কাছে সব সন্তান যেমন সমান, তেমনি প্রধানবিচারপতির কাছে সবাই সমান।
আমার এ লেখার উদ্দেশ্য, আমি কখনও কোন তথাকথিত মানবতাবাদীদের বলতে দেখিনি-
“উকিল-বিচারকদের পোষাক শীতের দেশ ব্রিটেনের কালচার। বেনিয়া ইংরেজদের অনুকরণের এ পোষাক। এসব পোষাক শীতের দেশে মানায়, কিন্তু বাংলাদেশের মত গরম দেশে মানায় না। তাই উকিল-বিচারপতিদের এ পোষাকের বিকল্প দেশীয় পোষাক পরিধান করা উচিত।”
কিন্তু কোন মুসলমান পুরুষ যখন নবীজির অনুসরণে সাদা কোর্তা ও পাগড়ী পরে কিংবা কোন মহিলা যখন ফরজ পর্দা করতে বোরকা পরে তখনই কথিত মানবতাবাদীরা গলা ফাটিয়ে বলতে থাকে-
“ইসলামী পোষাক বলে কিছু নেই। এগুলো আরব দেশের সংস্কৃতি, এগুলো আরব দেশের লোকরা পরতো মরুভূমির লু হাওয়া থেকে বাচতে, এগুলো বাংলাদেশে চলবে না। ইত্যাদি ইত্যাদি।”
আসলে মানবতা এদের উদ্দেশ্য নয়, ইসলাম বিরোধীতাই এদের উদ্দেশ্য। তাই ইসলামী পোষাক নিয়ে এ সকল খোড়া যুক্তির উপযুক্ত জবাব দিয়ে দিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৭