রাষ্ট্রের মৌল কাঠামো, সেটা উপরি বা ভিতরি কাঠামো যেটাই হোকনা কেন, নৈর্ব্যক্তিক ভাবে আলোচনার সুযোগ নেই। এটি একটি লড়াই সংগ্রামের বিষয়, একটিকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে আরেকটির জয়োগান।একটি রাষ্ট্রের মৌল কাঠামো স্থায়ী রুপ লাভ করে একটি সফল বিপ্লব, স্বাধীনতাযুদ্ধ বা জনযুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে। এটির কোন পরিবর্তন হতেও তেমনি কাউন্টার রিভোলিউশন বা প্রতিবিপ্লবের দরকার হয়। আর একটি সফল বিপ্লবের শুরুর কাজই হল প্রতিবিপ্লবের সামান্যতম সম্ভাবনা সমূলে বিনাশ করা। চীন, ইরান এবং কিউবাতে এটাই করা হয়েছিল,কচুকাটা করা হয়েছিল সাম্ভাব্য প্রতিবিপ্লবীদের। বাংলাদেশে সেটা করতে না পারায় সেই ৪৭ ক্যাম্প এর আগাছা এক সময়ে পরগাছা হিসাবে থেকে আজ শিকড়, ডালপালা গজিয়ে মহীরুহের আকার ধারণ করেছ। মুলত ৭৫ এর ঘটনাই এদের কাছে ছিল প্রতিবিপ্লব। এখন সেই প্রতিবিপ্লবকে দমন করার জন্য আরেকটি বিপ্লব বা সিভিল ওয়ারের দরকার হবে। তবে দু:খজনক হল আজ আর সেই সময় নেই, আওয়ামীলিগ যদি কোন এক সময়ে সিভিল ওয়ারের ডাক দেয় সেখানে ৭১ ক্যাম্পের চরম পরাজয় হবে।
একটি রাষ্ট্রের মৌল কাঠামো বা ফিলোসফি, সংবিধান, রোডম্যাপের সাথে একটি সরকারের দৈনন্দিন পরিচালনকে এক সাথে মিশিয়ে একটা জগাইখিছুড়ি বানানো হছে। ১৯৭১ সালের সিগনেচার টিউন কি ছিল?
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশই মুলত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একটি মৌল কাঠামো। সাম্প্রদায়িকতার ভুত-পেত মাথা থেকে চিরতরে সরিয়ে ফেলুন। সাম্প্রদায়িকতার দুষণে দুষিত সংবিধান দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কোন দিনই গড়ে তোলা সম্ভব না।