আসসালামু আলাইকুম ,
মুসলিমদের সতর্কতার স্বার্থে এই লেখনি।
ঘটনা -১.
ভার্সিটি পড়ুয়া এক ছেলে টিউশনি পাওয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞাপনে
লিখেছে - বাসায় গিয়ে যত্নসহকারে #পড়াতে চাই।
কোন এক দুষ্ট লোক দুষ্টামির খাতিরে লেখাটির একটি শব্দ পড়াতে চাই এর আগে #থা বসালো , তখন লেখাটি হল এরকম -
বাসায় গিয়ে যত্নসহকারে #থাপড়াতে চাই।
ঘটনা - ২ .
এক ব্যাক্তি তার প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে লিখেছেন ,
এখানে ময়লা #ফেলিবেননা ।
তার শত্রু পক্ষ লেখাটির #ফেলিবেননা শব্দটি থেকে #না মুছে দিল। তখন লেখাটি হল এরকম , এখানে ময়লা
ফেলিবেন।
এবার বলুন , প্রথম ঘটনার ছাত্রের লেখার উদ্দেশ্য কি ছিল?? আর তার লেখায় একটা বর্ণ যোগ হওয়ায় তার পরিণতি কি হতে পারে?
২য় ঘটনার লোকের উদ্দেশ্য কি ছিল ? আর লেখাটি থেকে একটি বর্ণ মুছে দেওয়ায় তার ভোগান্তি কতটা হবে? ???
এরকম করেই আজ আলেম- ওলামারা ভোগান্তিতে পড়ছেন। ডিজিটাল যুগে এরকম ঘটনা খুবই সহজ ব্যাপার ।
ইসলামের দুশমন নাস্তিক ,মুরতাদ ,সেকুলাররাসহ আলেম ওলামাদের শত্রু ও হিংসুকরা উপরের ঘটনার মত আলেমদের
বক্তব্যে ২-১ টা বর্ণ বা শব্দ সংযোজন বা বিয়োজন করে ইউটিউবেসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে
তাদেরকে সবার সামনে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। মুসলমানদের নিজেদের মধ্যে মুরতাদরা বিবাদ সৃষ্টি করে ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্টা করতেছে।
তাই আমাদেরকে সাবধানে দেখে - শুনে পা ফেলতে হবে। কোন হক্কানি আলেম-ওলামার নামে বাজে কিছু শুনলে আগে নিজেকে প্রশ্ন করবেন- # উনি এমনটি করতে পারেন কিনা? ??
যেই মাধ্যমে বিকৃত হয় আদৌ ঐ মাধ্যমে আলেমগন আছেন কিনা? ?? সর্বপরি সংশ্লিষ্ট আলেমের কাছে জিজ্ঞাসা করুন - বিতর্কিত ঘটনা সত্য কিনা? তবেই এরকম বিভ্রান্তি থেকে আমরা মুক্তি পাবো ইনশাল্লাহ । আর তবেই বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাবে ইসলামের বিজয় নিসান।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে হক্কানি আলেমদের সম্মান করার তৌফিক দানকরুন সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে কুত্সা রটনাকারিদের হেদায়াত দান করুন-আমিন।
বি : দ্র : আমার এই লেখাটি কপি করে বিভিন্ন মাধ্যমে
পোষ্ট করলে আমি কিছু মনে করবোনা ; তবে ভাই বিকৃত করে পোস্ট করিসনা।