ধানমন্ডির পিজ্জা হাটে বসে দাঁত দিয়ে নখ কাটছে আশিক। কাল বিকেলে লোপাকে চিঠিটা দেওয়ার পর থেকেই নার্ভাস লাগছে। এই কয়েকদিনেই লোপাকে বড্ড ভালোবেসে ফেলছে। তার ভালোবাসার উত্তরটা জানতেই লোপাকে চিঠিটা দেওয়া।
মেয়েটার সাথে কথা বলতে ভীষন ভয় আর লজ্জা মিশ্রিত অনুভূতি কাজ করে। তাই চিঠির উত্তর জানাতে সাংকেতিক পদ্ধতি বেছে নিয়েছে আশিক। লোপার উত্তর যদি 'হ্যাঁ' হয় তবে হলুদ আর উত্তর 'না' হলে নীল শাড়িতে আসতে বলেছে।
রেস্টুরেন্টের দরজায় একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। আরে ওটাই তো লোপা।শাড়িতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে চিকন গড়নের ফর্সা মেয়েটাকে। কিন্তু...
নীল শাড়িতে এসেছে মেয়েটা। এদিক সেদিক খুঁজছে আশিককে। লোপার হাতে একটা চিঠি। মুহূর্তেই মাথাটা কেমন যেন করে উঠলো আশিকের। আর কিছু দেখার প্রয়োজন মনে করলো না আশিক। চট করে বেরিয়ে এলো রেস্টুরেন্টের পেছনের দরজা দিয়ে।
রেস্টুরেন্ট থেকে ফিরে বাসার ছাদে একা বৃষ্টিতে ভিজছে লোপা। হাতে একটা চিঠি। চিঠিটা বৃষ্টিতে ভিজে এখন প্রায় ছেঁড়া। নীল কালিতে লেখা অক্ষরগুলো উঠে যাচ্ছে। তবুও আবছাভাবে পড়া যাচ্ছে লেখাগুলো...
'দুঃখিত আশিক, আমি সত্যিই দুঃখিত তোমার কথা রাখতে পারছি না বলে। হলুদ শাড়িতে আসা আমার জন্য অসম্ভব.....
কারন আমার হলুদ শাড়িটা ইঁদুর কেটে ফেলেছে। আর কোনো শাড়িই আমার নেই। তাই...'
চিঠির নিচে অনেকগুলো ভেংচানোর ইমো..
-বিশ্বাসঘাতক
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪০