অনেক দিন ধরেই বরিশাল বিভাগে শিক্ষার হার বেশী অথচ দারিদ্র্যের হার বেশী। পক্ষান্তরে সিলেট বিভাগে শিক্ষার হার কম অথচ দারিদ্র্যের হার কম।এর মুল কারন, সিলেট বিভাগের মানুষ একে অপরকে সাহায্য করে। আর সেটা ভিক্ষা দানের মাধ্যমে নয়, একে অপরকে নানাভাবে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে। সেটা হতে পারে নিজের টাকায় অন্যকে বিদেশে পাঠিয়ে, হতে পারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়ে। এরা পরম কৃতজ্ঞও বটে। যা একজন পরোপকারীকে উৎসাহিত করে আরও বেশী মানুষের জন্য কাজ করতে।
পক্ষান্তরে বরিশালের মানুষ একে অপরকে দাবিয়ে রাখতে এহেন কোন কাজ নেই যা তাঁরা করে না। তাদের আরেকটি ভয়ংকর দোষ হল এরা শুধুমাত্র যে চরম অকৃতজ্ঞ তাই নয়। উপকারীর ক্ষতি করাটা তাদের মজ্জাগত। যার ফলে একজন পরোপকারী ভয়েই এলাকার মানুষের উপকার করে না বরং অন্য এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে।
সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বিক্রমপুরসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ একদিকে পরোপকারী অন্যদিকে পরম কৃতজ্ঞ । যা এই সব জেলার মানুষ গুলোকে দেশের সব থেকে সমৃদ্ধ শালি করে তুলেছে।
আর এই স্বভাব দোষেই বরিশালের ইন্ডাষ্ট্রিয়ালিষ্টরা অনেক বেশী সুযোগ থাকা স্বত্বেও বরিশাল বিভাগে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলে না। এরা শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকে। এখানকার বিসিকের প্লটগুলো খালি পরে থাকে।
এই মানুষগুলোর নিজেদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্যই তাদের মানবিক ত্রুটিগুলো দূর করা জরুরী। নয়ত শত সম্ভাবনার এই বিভাগটি এভাবে পিছিয়েই থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪