somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইতিহাস-২

১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ট্রাফিক সিগন্যাল
১৯০৩ সালে র্ফোড কোম্পানি প্রতিষ্ঠার কিছুকাল পর থেকে যখন আমেরিকান ক্রেতারা গাড়ি কেনা শুরু করেন এবং রাস-ায় মহানন্দে তা চালিয়ে মনের সুখ মোটাতে শুরু করেন তখনই দেখা দিল আরেক বিপত্তি। বিশ শতকের গোড়ার সেই সময়ে বাইসাইকেল, ঘোড়ার গাড়ি, গ্যাসোলিন চালিত মোটরগাড়ি আর পথচারীরা সাবাই চলাচলের জন্য একই রাস-া ব্যবহার করত। ফলে রোড আকসিডেন্ট ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।
একদিন রাস-ার মাঝে অটোমোবাইল ও ঘোড়ায় টানা গাড়ির সংর্ঘষ দেখে আমেরিকান আবিষ্কারক ও ব্যবসায়ী র্মগান ঠিক করলেন এর একটা বিহীত করা দরকার। তিনি একটি ট্রাফিক সিস্টেম উদ্ভাবন করলেন। এটা ছিল একটা টি-আকারের খুঁটি যা তিনটি অবস'া র্নিদেশ করত। একটা হলো স্টপ, আরেকটা গো (Go) এবং অল ডিরেকশনাল স্টপ পজিশন। তিন নম্বর পজিশনটি দিয়ে পথচারীদের র্সবেত্তম নিরাপত্তার সাথে রাস-া পারাপারের ব্যবস'া করা হত। ১৯২৩ সালের ২৩ নভেম্বর এই ট্রাফিক সিস্টেমটি র্মগান পেটেন্ট করালেন। পরে কানাডা ও গ্রেট ব্রিট্রেনও এর পেটেন্ট করান। র্মগানের এই ট্রাফিক কন্ট্রোল ডিভাইস লাল-সবুজ-হলুদ আলো যুক্ত ট্রাফিক সিগন্যাল প্রর্বতনের আগে র্পযন- সারা উত্তর আমেরিকায় কাজ করেছে। তার এই আবিষ্কারের স্বত্ব জেনারেল ইলেকট্রিক করপোরেশনের কাছে ৪০ হাজার ডলারে বিক্রি করে দেন। ১৯৬৩ সালে মৃত্যুবরণ করার কিছু দিন আগে তিনি আমেরিকা সরকার র্কতৃক এই আবিষ্কারের জন্যে পুরস্কৃত হন।

জিলেট শেভিং রেজর
কিং ক্যাম্প জিলেট জন্মগ্রহন করেছিলেন ১৮৮৫ সালে শিকাগোর উইসকনসিনের ফন্ড ডু ল্যাকে। ১৮৭১ সালে এক অগ্নিকান্ডে তার ঘরবাড়ী ভস্মীভূত হওয়ার পর জিলেট সেলসম্যান হিসাবে কাজ শুরু করেন। এই কাজের সূত্রে তার পরিচয় হয় ক্রাউন ক্যাপ (বোতলের মূখ) - এর আবিষ্কারক উইলিয়াম পেইন্টারের সঙ্গে। তার সাফল্যের কাহিনী জিলেটকে উদ্দীপ্ত করে। এরপর জিলেট নিজ থেকে কিছু আবিষ্কারের চেষ্টায় মগ্ন হন।
১৮৯৫ সালের এক সকালে শেভ করার সময় জিলেটের মাথায় একটি ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়া খেলে যায়। এক নতুন ধরনের রেজরের কথা ভাবেন তিনি। যেটি হবে নিরাপদ, স্বল্পমূল্য এবং ব্লেড হবে ডিসপোসেব্‌ল। এরপর ছয় বছর ধরে এই নতুন ধরনের রেজরের আইডিয়া নিয়ে ঘুরতে থাকেন। তখন টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা সল্পমূল্যে এ ধরণের একটি রেজরের বাণিজ্যিক উৎপাদন অসম্ভব বলে জানান। জিলেট তবু হাল ছাড়েননি। শেষ পর্যন- ১৯০১ সালে এমআইটির এক স্নাতক উলিয়াম নিকারসন এ ব্যাপারে চেষ্টা করে দেখতে সম্মত হন।
১৯০৩ সালে নিকারসন সফল হলেন। এরপর দক্ষিণ বোস্টনে “জিলেট সেফটি রেজর কোম্পানি”- র যাত্রা শুরু হল। ১৯০৪ সালে ১৫ নভেম্বর কিং ক্যাম্প জিলেটের নামে “সেফটি রেজর” পেটেন্ট করা হয়। পেটেন্ট নম্বর-৭৭৫১৩৪।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহারের জন্য সেফটি রেজর ব্লেডকেই নির্বাচিত করেন। যুদ্ধ শেষ হওয়া নাগাদ ৩.৫ মিলিয়ন রেজর এবং ৩২মিলিয়ন ব্লেড বিক্রি হয় কেবল সেনাবাহিনীতেই।

সেভেন-আপ
চার্লস নেইপার গ্রিগ জন্মগ্রহন করেছিলেন ১৮৬৮ সালে আমেরিকার মিসৌরিতে। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরে তিনি সেন্ট লুইসে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন ও সেলসের কাজ করতে করতে এক সময় কোমল পানীয়ের ব্যবসায় চলে আসেন। ১৯১৯ সালে ভেস জোনসের কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন গ্রিগ। সেখানে তিনি প্রথম তার উদ্ভাবিত কোমল পানীয় বাজারজাত শুরু করেন। তিনি এর নাম দিয়েছিলেন “হুইসেল”।
ম্যানেজমেন্টের সাথে বিবাদ লাগায় গ্রিগ চাকরি ছেড়ে দেন। সঙ্গে ছেড়ে আসতে হয় তার হুইসেল-কেও। এরপর তিনি কাজ শুরু করেন ওর্য়ানার জেন কিনসন কোম্পানির জন্য। সফট ড্রিংকের জন্য সুবাসিত উপাদান তৈরি ছিল তার কাজ। এবার গ্রিগ তার দ্বিতীয় পানীয়টি উদ্ভাবন করলেন। এর নাম রাখলেন “হাইডি”।
তবে এর পর তিনি যখন ওর্য়ানার জেন কিনসন কোম্পানি ছাড়লেন তখন সঙ্গে হাইডি-কেও নিয়ে গেলেন। তারপর এডমন্ড জি রিজওয়েকে ফিনান্সিয়াল পার্টনার করে খুলে বসলেন “হাইডি কোম্পানী”। গ্রিগ কমলা লেবু সুবাসিত দুটি পানীয় উদ্ভাবন করলেন। কিন' তখনকার বাজারে অরেঞ্জ স্কোয়াশ ছিল টপফর্মে। তার সঙ্গে গ্রিগের পানীয় দুটি বাজারে টিকতে পারল না। গ্রিগ তখন সিদ্ধান- নিলেন অন্য লাইনে যেতে হবে। তিনি লেমন ফ্লেভারের দিকে ঝুঁকলেন। এবং ১৯২৯ সাল নাগাদ এক নতুন ধরনের পানীয় উদ্ভাবন করলেন। এই নতুন স্বাদের পানীয় নাম রাখলেন -“বিব লেবেল লিথিয়েটেড লেমন লাইম সোডা”। দু্রতই এর নাম বদলে হলো “সেভেন-আপ লিথিয়েটেড লেমন লাইম”। এরপর ধীরে ধীরে এর নাম হয়ে গেল শুধুই “সেভেন-আপ”।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×