আমি ছিলাম চিটাগাংএ। সপ্তম শ্রেনীতে পড়ি। আবাসিক স্কুলে পড়তাম। ১ কিমি সামনে সমুদ্র, ২০০ গজ পেছনে পাহাড়। সেদিন সকাল থেকে টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছিল। সন্ধ্যায় শুরু হয় সাইক্লোন। আমরা দোতলায় থাকতাম। ৮ জন এক ঘরে। এমন বাতাস আর ঝড়ের তান্ডব যে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অবিরাম বজ্রপাত, বারান্দায় সামুদ্রিক পাখির স্তুপ। সারারাত সৃষ্টিকর্তাকে ডেকে (আর এক সতীর্থ সারারাত আজান দিয়ে) রাত পার করি। ভোরে পেছনের জানলা দিয়ে দেখি অভূতপূর্ব দৃশ্য। পেছনের পাহাড় আগে ছিল ঘন জংগলে ঢাকা- সে পাহাড়ে তো কোন গাছই নেই, এমনকি কোন ঘাসও নেই, সবুজ গাছ গাছালীতে ঢাকা পাহাড় এখন মুড়ানো খয়েরী রংএর টিলা। হোস্টেলের বেয়ারা কিছুক্ষন পর ডাকলো পাখী দেখতে, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। বড় সাইজের চার বালতিতেও কুলায় নাই , বারান্দার একপাশে জড়ো করা আছে বাকিগুলো।
সৈকতে অনেকদিন পর্যন্ত মানুষের লাশ ভেসে আসতো।
১২ নভেম্বরের সাইক্লোনে যত মানুষ মারা যায় তার আগে আর পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এমন প্রাণহানী এদেশে আর হয়নি (৫-১০ লাখ)।পৃথিবীর ইতিহাসেও এই ভয়াবহ দুর্যোগ লিপিবদ্ধ করা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




