♥♥♥♥ভালোবাসার ইশতেহার,,♥♥১৪+
,,,,,,,,,,,,,,,ত্রিস্তান শাকিল,,,,,,,,,,,,,,,,
সীসার রাজ্য পেরিয়ে কোন এক অভিজাত রেস্তোরাঁয়
তারপর কতক্ষণ উচ্চহাসি, কতক্ষণ ফিসফাস আর দামী তৈজসের টুংটাং।
স্লিভলেস রাঙা জামার মিথ্যে প্রশংসা, দারুন নাকি মানিয়েছে!!
ওভারকোর্টের কোন এক কুঠুরি থেকে বেরিয়ে আসে হীরের আংটি।
প্রায় আলোহীন রেস্তোরাঁতে মোমের বাতিটাও যেন বাহুল্য,
হাতগুলো এক হয়,গরম হয় শরীর,শীতল হয় দৃষ্টি।
কথার পিঠে কথা,নামের পরে নাম,
গুচ্ছ গুচ্ছ করে বড় হয় তালিকা।
এ তালিকা ওদের ভালোবাসার ইশতেহারের;
চারপাশের ইট পাথর আর কংক্রিটের কাঠামোগুলো
হেসে ওঠে অযথাই।
ডিজেল ইঞ্জিনের বিদায়ের পর
শহরে কার্বন বড় কমে গেছে,
তাই গ্যাসের অটোরিক্সার খাঁচার ভেতরে
ঠোটে ঠোট রেখে
কার্বনের ভাগাভাগি চলে বহুক্ষণ।।
বিকেল গড়াতেই লেকের দক্ষিণে বসে
বলিষ্ঠ কাধেে মাথা রেখে বলে চলে স্বপ্নের কথা
আবছা আধাঁরটা জমাট হতেই গাঢ় হয় আলিঙ্গনও,
পিশাচ হাত খুজে নেয় শরীরের নরম জমিন।
বর্ধিত রাতের প্রথম প্রহরে
রিকসার হুডের নীচেই শুরু হয় প্রথম বাসর,
শেষ হয় ছয়তলা বাড়ির তিনতলার
১২৬০ ফুটের ফ্লাটে।
দিন যায়, মাস যায়
ইশতেহারের তালিকাটা আরো বড় হয়,
নিকোটিনের ধূয়া ছেড়ে সেসব শুনতে শুনতেই
হেসে ওঠে পিশাচটা।
ভ্রূণ হয়ে বেড়ে ওঠে নিষিদ্ধ পাপ
দেড় কোটি মানুষের ভিড়ে,
হঠাৎই হারিয়ে যায় চওড়া কাধের মানুষটা।
কংক্রিটের পাহাড়গুলো আবারো হেসে ওঠে।
সফেদ দেয়াল ঋদ্ধ করে কোন আর্তনাদ আসে না
তাতে শুধু লেখা থাকে ইশতেহারের প্রথম পাতার প্রথম শর্ত
পলকহীন মৃত নষ্টা একটা শরীরী তাকিয়ে আছে তাতে।।
২৯ মাঘ ১৪২২
শেষরাত্রি,,,,