টুকটুকি দেখতে যতোটা না সুন্দর তার চাইতে বেশি রোগা। ডায়েট করতে করতে শরীলের অবস্থা আপাতত মাইনাস হিমাংকের নিচে। তবে যে কারো মনে হতো পারে অপুষ্টি তে ভুগছে। তবে আর যাই হোক সামনে এই কথা বলা আর যুদ্ধযাত্রা এক।
তবে আর যাই হোক মেয়েটা কে আমি ভালবাসি না। দিনরাত মেয়েটা ঘুরঘুর করে। আমার ইচ্ছে বিছানা পর্যন্ত। তবে যদি আর একটু পাওয়া যায় তবে সুড়সুড়িটা ও কিছুদিনের জন্যে বন্ধ হবে।
_ শুভ তুমি কি আজকে যাবে আমার সাথে?
ঃ কেন? আজকে বাসা খালি?
_ হুম। কাল পর্যন্ত খালি থাকবে সোনা। তুমি না বলেছিলে বিয়ের আগে কিছু করবেনা?
ঃ আচ্ছা থাক তাহলে। বিয়ের পরেই করবো আমরা।
_ তুমি কি রাগ করেছো?
আমি চুপ করে আছি। চুপ করে থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যা ভাবার ভাবতে পারে। তবে যাই হোক আমার ইচ্ছে সুড়সুড়ি কমানো।
_ রাগ করেনা বাবু। তুমি কখন আসবে?
ঃ থাক সোনা। আমরা বিয়ের পরেই করবো।
_ ধুর নাশকতা কইরো না তো। সময় মতো চলে আসবা। আমার কিন্তু একা থাকতে ভালো লাগবে না।
ঃ আচ্ছা ঠিক আছে। কিছু আনতে হবে?
_ হুম। ;-) ;-)
কন্যা নির্লিপ্ত সুরে যা বলেছে তার ভাষা আমি ছাড়া কারো বুঝার কথা না। তবে যাই হোক আমি যাচ্ছি সেটাই মুখ্য।
প্রায় মধ্যরাত। একটা নগ্নদেহ জড়সড় হয়ে শুয়ে আছে। আমি পাশ ফিরে তাকাই। এ আমার সদ্য প্রেমিকার দেহ। তবে আমি বিচলিত নই। এই প্রথম নয় বলেই হয়তো।
_ শুভ কি ভাবছো?
ঃ ওহ। তোমার ও ঘুম ভেঙে গেছে?
_ হুম সোনা। আমাকে একটু শক্ত করে ধরবে?
প্রেমিকার উষ্ম দেহ কুড়কুড় করে শোষিত করতে ভালো লাগতে পারে তবে মিথ্যে অভিনয় করতে হয়তো নয়। তবে কাজটা এখন বাধ্য হয়েই আমাকে করতে হচ্ছে। কেননা আমি যে কিছুকাল আগে সুড়সুড়ি স্তিমিত করেছি।
ঃ হুম। আসো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিবো?
_ হুম দাও। তুমি এতো ভালো কেন বলো তো?
ঃ তুমি আমার চাইতে অনেক ভালো তাই।
_ তুমি আমাকে ছেড়ে যাবেনা তো?
আমার চাই উষ্মতা। হয়তো আবার কোথাও মিলিত হবো উষ্মতা ভাগাভাগি করতে। তবে আমি দেহ চাই।
ঃ হুম সোনা। কই যাবো?
_ হি.হি.হি। আই লাভ ইউ টু।
তবে আমি প্রেমিকার হৃদয় খুঁজি না। শরীরের ভাজে জমে থাকা বিন্দু সংগ্রহে মত্ত। আমিও হয়তো হৃদয় খুঁজতাম যদি না বিন্তী চলে যেতো। হয়তো প্রেমিকার শাড়ির আচল, আমার ধোঁয়া মুখখানি।।।