somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানবরচিত আইনই খোদায়ী আইনের একমাত্র শত্রু

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দৃষ্টির স্বচ্ছতা এবং চেতনার যৌক্তিকতা- একটি বিষয়কে পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করতে মানুষকে সাহায্য করে। মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ওই দু’টি গুণাবলীতে কারো যদি কোন প্রকার ঘাটতি না থাকে তবে তিনি অতি সহজেই বুঝে নিতে পারবেন যে, মানব রচিত আইনই ধীরে এবং অতি ধীরে একটি সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। মিশরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় কিংবা গ্রিক সভ্যতা সবই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান নিয়েছে শুধুমাত্র এ কারণেই। বর্তমান সভ্যতার অগ্রদূত আমেরিকারও বোধ হয় বেশি সময় বাকি নেই ইতিহাসের পাতায় স্থান নিতে। প্রশ্ন হতে পারে কেন? উত্তর অনেক, ব্যাপক এবং দিনের আলোর মতেই পরিষ্কার। তবে বুঝতে হলে পাঠককে শুরুতেই উল্লেখিত ওই দু’টি গুণের অধিকারী হতে হবে। ঐতিহাসিক কিংবা প্রাগৈতিহাসিক সব ক্ষেত্রেই ইতিহাসের বিবর্তন চক্র একইভাবে আবর্তিত। গুমরাহ, সামুদ গোত্র কিংবা হযরত লূত আলাইহিস সালাম এবং হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনাদের গোত্র সব একইভাবে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছে। বেঁচে গিয়েছিল শুধু ওই অংশটুকু যারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল।
মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত কোন দল বা গোষ্ঠী যখন মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি ধ্বংসে লিপ্ত হয়, তখন সত্যিকার অর্থে নিজেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনে। সমাজে যখন নারীজাতির প্রতি অশ্রদ্ধাবোধ এবং সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্যতা দেখা দেয় তখনই শুরু হয় খোদায়ী গযব। মানব রচিত আইনের বিবর্তনের দিকে তাকালে বিষয়টি অতি সহজেই উপলব্ধি করা যায়। ৮ এপ্রিল ২০১০ তারিখে বাংলাদেশ হাইকোর্ট রুল জারি করলো, “যে কোন মেয়েকে জোর করে বোরকা (পর্দা) পরানো যাবে না।”

(Click This Link)

যা ছিল সরাসরি ৯৭ ভাগ মুসলিম দেশের ধর্মীয় অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ। মানবাধিকারের ধুয়া তুলে ধর্মীয় জ্ঞানে গ-মূর্খ ওই জজ বলেননি যে, কেউ যদি কোন পর্দানশীন মেয়ের বোরকা জোর করে খুলে নিতে চায় সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কী আইন! আসলে বিষয়টি ছিল মুসলমান নারীদের ইহুদী-নাছারা মতো বেহায়া, বেপর্দা করার প্রাথমিক পদক্ষেপ। ইদানিং দেখা যাচ্ছে যে, ড্রেসকোড কিংবা ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে বিভিন্ন স্কুল, কলেজে জোর করে পর্দানশীন মেয়েদের বোরকা খোলা হচ্ছে। বোরকা সংক্রান্ত আদেশ জারি করা ওই জজ সাহেব এখন কোথায়?
ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট আইন জারী করেছে যে, দু’জন যুবক-যুবতী যদি একসাথে থাকতে চায়, সেক্ষেত্রে বিবাহ কোন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

(Click This Link)

রাশিয়ান জজ সাহেব আইন জারী করেছে যে, মেয়েদেরকে যৌন হয়রানি না করলে তো মানবজাতিই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

(Click This Link)

শয়তান নারী অধিকারের নামে পাশ্চাত্য জগতের নারীদেরকে বেপর্দা, বেহায়ার এক চরম পর্যায়ে নিয়ে নারী-পুরুষের স্বাভাবিক সম্পর্কের মধ্যে অনীহার সৃষ্টি করেছে। শুরুতে ব্যাপক ব্যাভিচার, তারপর ব্যাপক বিবাহ বিচ্ছেদ এখন শুরু হয়েছে পুরুষ পুরুষ এবং নারী নারী বৈবাহিক সম্পর্কে এহেন অস্বাভাবিক সম্পর্ক পৃথিবী জুড়ে চালু করার জন্য আমেরিকান সরকার নীতি-নির্ধারণ করেছে এবং এ বিষয়ে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

(Click This Link)

তাদের দেশের সেনাবাহিনীতে পশুর সাথে সৈনিকদের শারীরিক সম্পর্কে কোন বাধা নেই, এহেন আইনও চালু করেছে।

(http://www.youtube.com/watch?v=faZMNf3aOi0)

শুধুমাত্র বাকি আছে মাতা, পুত্র আর পিতা, কন্যা সংক্রান্ত আইন চালু করা। নাঊযুবিল্লাহ!
ইতোমধ্যেই খোদায়ী গযবে পর্যুদস্ত আমেরিকা যেন অন্ধের মতো দ্রুত শেষ পরিণতির দিকে ধাবমান। কান দিয়ে শোনা, চোখ দিয়ে দেখা কিংবা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করার মতো সকল প্রকার মানবীয় জ্ঞানই আজ তাদের লোপ পেয়েছে। এ এক ভয়ঙ্কর গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি। এটাই আসলে গণতন্ত্রের স্বাভাবিক শেষ পরিণতি। এ জন্যই গণতন্ত্র হারাম এবং খোদায়ী আইন মানব শান্তি ও সমৃদ্ধির একমাত্র সোপান। মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার সকল মানুষকে খিলাফত উপলব্ধি করার যোগ্যতা দিন। আমীন।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×