হাতের আংটি দুটো খুলে ডাস্টবিনে ফেলে দিলো কৌশিক।বাম হাতে পরা ব্রেসলেট ও ফেলে দেওয়া উচিত।কিন্তু ফেলে না দিয়ে টেবিলের ড্রয়ারে ঢুকিয়ে রাখল কৌশিক সেটা,এর কারণ এই নয় যে সে তার সেকেন্ড গার্লফ্রেন্ডকে অন্য গার্লফ্রেন্ডদের তুলনায় বেশি ভালোবাসত,বরং এই ব্রেসলেটটির দাম সাড়ে তিন হাজার টাকা এই হচ্ছে কারণ।আংটি দুটো সস্তা ছিল তাই ফেলে দিলো।আংটি দুটো তার থার্ড গার্লফ্রেন্ডের দেওয়া ছিল।ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া আংটি দুটোর দিকে তাকিয়ে মুখ ভেঙ্গালো কৌশিক আর মনে মনে বলে উঠল যেমন ই সস্তা মাল ছিল তেমন ই তার সস্তা গিফট।টেবিলের প্রতি নজর গেল হঠাৎ তার,মোবাইল ভাইব্রেট করছে।
ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে তন্ময়ের গালি শুরু,কিরে শালা কতবার ফোন দিলাম তোকে?
আরে দেখি নাই রে বাপ,কি হইছে বল?
তুই কি রেডী?
হুম রেডী,বল।
চুল কাটছিস?আর আগের আউ ফাউ গিফট গুলো ফেলছিস হাত থেকে?
হুম চুল ছোট করছি আর গিফট ও ফেলে দিছি।শার্ট ও ঠিক মত ইন করে পরছি।জুতা ও ঝকঝকে করে নিছি।আর কিছু জিজ্ঞেস করবি?
এবার তন্ময় হেঁসে উঠল।তুই জানিস আমি এসব কেন জিজ্ঞেস করছি।তুই আজ যাকে তাকে না,রওনিতা ক্যামিকেল গ্রুপস এন্ড লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের একমাত্র মেয়ে রওনিতাকে দেখতে যাচ্ছিস।সো ইউ হ্যাভ টু লুক মোস্ট পারফেক্ট টুডে।
ইয়া আই নো এন্ড আই প্রিপেয়ার মাইসেলফ বেস্ট ফর টুডে।ওকে দোস্ত,এখন রাখি।পরে এসে কথা বলব।
বেস্ট অফ লাক দেন।বাই।
ফোন কাটতেই কৌশিকের মা এসে রুমে ঢুকল।হয়েছে তোর,চল এবার।শার্প পাঁচটায় থাকতে হবে আমাদের।যাওয়ার আগে কৌশিক আয়নায় নিজেকে আরেকবার দেখে নিল।
রওনিতাদের বাসায় কৌশিক আর তার বাবা মা শার্প পাঁচটা বাজেই পৌঁছাল।কৌশিকের বাবা মা রওনিতাদের ছয়তলা বিল্ডিং এবং তাদের আয়োজন দেখে পুরোপুরি মুগ্ধ।কৌশিকের বাবা মা তার অনেক ভূয়সী প্রশংসা করতে থাকল রওনিতার বাবা মায়ের কাছে।আর কৌশিক চুপচাপ ভদ্র ছেলের মত বসে রওনিতাকে দেখার জন্য অপেক্ষার প্রহর গনতে থাকল।
To be continued……
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৭