বাংলাদেশের সাথে জয়ের পরে রাতের বেলা ফেসবুকিং করতে বসেছে মহেন্দ্র সিং ধোনি। সে কি কি করছে সেই গল্প বলি এখন। সারাদিন ক্রিকেট খেলতে খেলতে বিরক্ত ধোনি আর ক্রিকেট নিয়ে থাকতে চায়না। তাই সে চলে গেলো ফিফার পেইজে। সেখানে দেখে এভাবে কমেন্ট পরেছে,
একজন বাংলাদেশীঃ পরের বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশও খেলতে পারবে।
একজন ব্রাজিলিয়ানঃ বাংলাদেশ তো হিসেবের বাইরে।
একজন আর্জেন্টাইনঃ বাংলাদেশ! কোন ব্যাপারই না।
এরপরই ধোনি সেখানে কমেন্ট করা শুরু করলো...
ধোনিঃ বাংলাদেশ খেলবে তো কি হইছে! এর পরের বার ভারতও খেলবে।
ব্রাজিলিয়ানঃ ওহ মাই গড! ইন্ডিয়া! খুব ভয় লাগছে।
আর্জেন্টাইনঃ শিট, তাহলে তো কাপটা ইন্ডিয়াই নিবে।
ধোনিঃ হে হে, দেখছো বাংলাদেশীরা, ইন্ডিয়ার নাম শুনেই আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলও কেমন ভয় পায়?
আর্জেন্টাইন ও ব্রাজিলিয়ান সমস্বরেঃ আরে ব্যাটা ইন্ডিয়াকে ভয় পাইনা, ভয় পাই ওদের ফিক্সিং। ফুটবল খেলার চান্স পাইলে ফিক্সিং করে প্রথমবারেই কাপ নিবে।
ধোনির হাওয়া বের হয়ে গেলো। এরপর গিয়েই স্ট্যাটাস দিলো,
"বাংলাদেশের সাথে জয় পেয়ে টিম ইন্ডিয়া খুব খুশি।"
সাথে সাথে কমেন্ট পরতে শুরু করলো,
পশ্চিমবঙ্গের একজনঃ ধোনি দা, আমি না, আমি না, খুব খুশি। দেশে আসলে তোমাকে একটা মিস্টি খাওয়াবো, পুরোটা খেতে হবে কিন্তু।
ধোনিঃ ওই ব্যাটা, টিম ইন্ডীয়ায় বাঙ্গালী খেলে একজন, বাংলাদেশ দলে খেলে এগারোজন। তুই এইখানে ক্যান? যা ভাগ।
বাংলাদেশি একজনঃ এইটা পাতানো ম্যাচ, ফিক্সিং হইছে।
আম্পায়ার আলিম দারঃ সহমত। @বাংলাদেশি ভাই
ধোনিঃ আপনে সহমত জানাইছেন ক্যান? আপনেও মনে করেন এইটা ফিক্সিং ছিলো? @আলিম দার
আলিম দারঃ অবশ্যই ফিক্সিং ছিলো। ইন্ডিয়া যা যা বলেছে আমি ঠিক ঠিক সেইভাবেই সব করেছি। তারপরও আমাকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ না করে রোহিত শার্মাকে করলো কেন?
রোহিত শার্মাঃ আমিও মনে করি এইটা ফিক্সিং ছিলো।
ধোনিঃ কস্কি মমিন! তোর আবার কি হইলো রোহিত?
রোহিত শার্মাঃ আরে ধোনি ভাই, আমার কথা শুনেন। আমার প্রচন্ড খিদা লাগছিলো। তাই তাড়াতাড়ি আউট হয়ে খেতে যাচ্ছিলাম। শিওর আউট হইছি। কিন্তু আম্পায়ারের বাচ্চা নো বল দিছে। এইটা ফিক্সিং না হইলে ফিক্সিং কোনটা?
ধোনিঃ তাইলে তো মনে হয় পাইক্যার বাচ্চা আলিম দার আসলেই ফিক্সিং করছে। তোরে খাইতে পর্যন্ত দিলোনা!!!
আলিম দারঃ তোদের ইন্ডিয়া বাপ ফিক্সিং করছে, আমারে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ দিলো না!!!