ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাশ্রিত সময় অতিবাহিত করছে ঐতিজ্যবাহি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দেশবাসি নিরবে সব শুনছে,দেখছে,বুঝছে কতটা স্বেচ্ছাচারী,নীতিনৈতিকতাহীন একটি দল হতে পারে?
যুক্তিহীন যেসব বাক্য/বক্তব্য প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এই জাতি শুনছে,দেখছে,বুঝছে তা ঐতিজ্যবাহি দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য খুই লজ্জার। এমন আবোল তাবোল কথা বার্তা এই দলটি তাদের পূর্বের কোন শাষন আমলে বলতে হয়নি। ভোটারবিহীন ইলেকশন বা ম্যান্ডেটবিহীন ইলেকশকে বৈধতা খুজতে গিয়ে তাদের এসব আজগুবি তথাকথিত যুক্তি/বুলি ছাড়তে হচ্ছে। একটিবারও ভাবছে না এই দেশের শিক্ষার হার বাড়ার সাথে মানুষের সচেতনতাও বাড়ছে। আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারাই চালাক। আর এই দেশের সব মানুষ বোকা। নতুন প্রজন্ম কি ম্যাসেজ পাচ্ছে তাও ভাবছে না।
সোজা কথা আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন করবে না। করতে দিবে না। কারন তাতে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না।
এই একটি কারনে তাদের এসব আবোল তাবোল কথা বার্তা।
তেমনি কয়েকটি কথা শেয়ার না করে পারছি না।
আওয়ামী যুক্তি:-‘বিএনপি ইলেকশনে আসেনি,এটা তাদের দোষ। এটার জন্য দেশ বাসি কেন কষ্ট করবে।’
দেশবাসি কি মনে করছে:- বিএনপি কেন ইলেকশনে আসবে। আপনারা তো নিরপেক্ষ নন। আপনাদের অধীনে কোন ভাল গ্রহনযোগ্য ইলেকশন হতে পারে না। তার প্রমান উপজেলা নির্বাচন। ক্ষমতায় যাওয়ার কোন ইলেকশন না হলেও ভোট চুরি করছেন তারা। বিএনপির আমলে কেএম হাসানের অধীনে আপনারা ইলেকশনে যাননি এই অজুহাতে যে, তিনি নিরপেক্ষ নন,তিনি কোন এক সময় জিয়ার মাজারে ফুল দিয়েছেন। অথচ শেখ একটা দলের প্রধান। তার অধীনে কেন বিএনপি ইলেকশনে যাবে? তিনি কেমন নিরপেক্ষ তার প্রমান এই জাতি বর্তানে হারে হারে টের পাচ্ছে। যে দল ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকতে পারে, সেই দল ভোটের সময় ভোট চুরি করবে না,এটা পাগলেও মনে হয় বিশ্বাস করবে না।
হাত পা বেধে বলা হল সাতার কাট। ভোট চুরির সব ব্যবস্থা করে বিএনপিকে বলা হল ইলেকশনে যাওয়ার জন্য।
আওয়ামী যুক্তি:-কেয়ারটেকার সরকার অনির্বাচিত তাই তারা ঠিক না।
দেশবাসি কি মনে করছে: তারা অনির্বাচিত ঠিক আছে। কিন্তু তারা তো ইলেকশন করেই বিদায় নিত। অথচ আপনারা ১৫৪ জন অনির্বাচিত নিয়ে দেশ চালাচ্ছেণ কিভাবে? বাকিরা তো কিভাবে নির্বাচিত দেশ বাসি খুব ভাল করেই জানে। এই ধরনের নির্বাচিত জনগন ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করে।
আওয়ামী যুক্তি:-‘সংবিধান রক্ষার জন্য এই ইলেকশন হয়েছে’
দেশবাসি কি মনে করছে: কোন সংবিধান রক্ষার কথা তারা বলছে তা দেশ বাসি কি বুঝে না? জনগনের মতামত ছাড়াই তত্বাবধায় ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করে বলছে ‘সংবিধান রক্ষার জন্য এই ইলেকশন হয়েছে’। সংবিধান রক্ষা নয় সংশোধিত সংবিধান রক্ষার জন্য ওনারা ইলেকশন করছেন।একবছরেও কি সংশোধিত সংবিধান রক্ষা হয়নি?
আওয়ামী যুক্তি:-বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না। বিএনপির সাথে জনগন নাই্।
দেশবাসি কি মনে করছে: বিএনপি আওয়ামী লীগের মত লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ মারতে পারে না ,এটা ঠিক।পুলিশ,র্যাব,বিজিবি কে দিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অত্যাচার করে,বিএনপির সব সিনিয়র নেতার নামে শত শত মামলা দিয়ে সরকার বাহাদুর বলছে বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না। বিএনপির সাথে জনগন নাই্।বিএনপি আন্দোলন করতে পারে কি পারে না, একটা সমাবেশ করতে দেন তারপর জনগনকে দেখতে দেন,বিএনপির পক্ষে মানুষ আছে কি নাই,তার আগে এই যুক্তি ছাড়েন। কোটি মানুষের সমাবেশ হবে সেই সমাবেশে। এটাই তো সরকারের আতংক। এটা জনগন কি বুঝে না?
আওয়ামী যুক্তি:- বিএনপিকে বিরোধী দল হওয়ার যোগ্যতা নাই।
দেশবাসি কি মনে করছে: সুষ্ঠু ইলেকশন হলে এই বিএনপি ই ক্ষমতায় যেত। কারন বাংলাদেশর জনগন কোন বারই পর পর দুই বার কোন দলকে ক্ষমতায় আনে নি। সেই হিসেবে অবাধ ইলেকশন হলে বিএনপিই ক্ষমতায় যেত। এটাতে কোন সন্দেহ ছিল না। তাই তো অন্য ভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার ফন্দি হিসেবে কেয়াটেকার বাদ দিয়ে চুরি করে বিএনপিকে বাদ দিয়ে ইলেকশন করা হল।
আওয়ামী যুক্তি:- জনগনের জান মাল সরকার রক্ষা করবে। তাই সন্ত্রাসী(বিএনপি) দমন করা হবে।
দেশবাসি কি মনে করছে: কোন জনগন আপনাদের ক্ষমতা দিয়েছে যে, তাদের জান মাল আপনারা রক্ষা করবেন?জনগনের ভোটের অধিকার হরন করে আবার তাদের জন্য দরদ দেখাচ্ছেন সংশোধিত সংবিধান রক্ষার সরকার। জনগন তাদের ভোট দেয়নি। সুতারং জনগনের ভাল মন্দ দেখার আপনারা কে? বিএনপি আন্দোলন না করলে বলা হয় ,বিএনপি পারে না। করলে বলা হয় বিএনপি সন্ত্রাসী, করা হয় সরাসরি গুলি।
হায়রে রাজনীতি। তোর পরিনতি না জানি কি হয়।