বর্তমান সরকার কর্তৃক জনগনের দরদীতার আড়াঁলে নোংরা রাজনীতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার মিশনে নেমেছেন। দরদ দেখানোর নামে বিএনপি জোটের বিরোধী ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। বিএনপিও ক্ষমতায় থাকতে এমন দরদ দেখাতো। কিন্তু বিএনপির এই ধরনের দরদও বেশি দিন টেকশই হয়নি। তারা ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার দিয়েই বিদায় নিয়েছিল।
বার্ন উইনিট নিয়ে ইদানিং আাওয়ামী লীগ নেতাদের মায়া কান্না দেখলে মনে হয়,জনগনের জন্য তাদের দরদ উতলিয়ে ছুঁড়ে ছুঁড়ে পড়ছে। ভাবখানা এমন যে,তারা ছাড়া কেউই জনগনের জন্য দরদী না্ই। জনগনের আবেগকে পুঁজি করে,অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করাই এই ধরনের মায়া কান্নার একমাত্র এবং অন্যতম উদ্দেশ্য। জনগনের জন্য এত এত দরদ অথচ জনগনের ভোটাধিকার তারা কেড়ে নিেয়ছে।জনগনের জন্য সত্যিই যদি তাদের কোন দরদ থাকত তাহলে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন দিন। বার্ন ইউনিটে মানুষ মারা যাচ্ছে,পাশাপাশি নাশকতা বিনাশ কারীর ছুতা তুলে যাদের মারা হচ্ছে তারাও তো এই দেশের মানুষ,ঐ মানুষটি কারো না কারো ভাই বা ছেলে। ক্ষমতাসীনরা নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে না,বিএনপিকে বাদ দিয়ে ইলেকশন করবে,ক্ষমতা থেকে গেলে তাদের পিটের চামড়া থাকবে না একমাত্র এই কারনে পুরো দেশের মানুষকে জিিন্ম করে রেখেছে। কিন্তু তাদের ঐ সব আশা মোটেও ন্যায় সংগত নয়। ভোট বিহীন ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য কখনো মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়, কখনো বলঅ হচ্ছে আমরা ক্ষমতায় না থাকলে দেশ জংলি হয়ে যাবে,কখনো উন্নয়নের কথা বলা হয়,এখন বলা হচ্ছে দেশের বর্তমান সমস্যাটি আইনশৃঙ্খলাজনিত,রাজনৈতিক নয়,রাজনীতিক হলে যদি আলোচনায় বসতে হয়, আর আলোচনা মানেই তো একটি অবাধ ইলেকশনের কথা উঠতে পারে,আইনশৃঙ্খলাজনিত এর কথা বলে জনগনের জন্য তথাকথিত দরদী সাজতে পারলেই নির্বাচন দিতে হবে না,আরো কিছু দিন ক্ষতায় থাকতে যাবে।
তাই প্লিজ আমাদের/জনগনের জন্য দরদ দেখাবেন না। বার্ন ইউনিটে আমাদের দেখতে আসবেন না। আমরা তথাকথিত নিরাপত্তা চাই না,তথাকখিত আইয়ূব,এরশাদ মার্কা উন্নয়ন চাই না,আমাদের জন্য দরদ থাকলে পদত্যাগ করে, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে প্রমান দিন।