somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাবিলাকে দেয়া চারটা মিসকল।

১২ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রাসেল ব্যাপার টাকে মোটেও সিরিয়াস ভাবে নেয় নাই। তার বক্তব্য চারটা মিসকল দিয়ে তৃপ্তি ভাবী একটা ম্যাসেজ দেয়ার চেষ্টা করছেন আনিস ভাইকে। তৃপ্তি ভাবী মুসলিম, ইসলামে চারটা বিয়ে সুন্নাত। অর্থাৎ তৃপ্তি ভাবী সম্ভবত আবার বিয়ে করতে যাচ্ছেন। কথাটা তখন সবাই হেসেই উড়িয়ে দিলেও,
আজ দুপুরের দিকে বনানীতে তৃপ্তিদের বাসার ডেকোরেশন দেখে এসে মিথুন জানে কথা টা সত্য।




এই ম্যাসে মিথুন রা আছে গত প্রায় চার বছর ধরে। রমজান মাস কদিক দিয়ে ভালো, আবার কদিক দিয়ে খারাপ ওদের জন্য। ওরা বলতে তারা তিনজন। মিথুন, আনিস ভাই, আর গত কয়েক মাস ধরে রাসেল। রাসেলের কথা আপনাদের মনে থাকার কথা, ডিশ ব্যাবসায়ী রাসেল? বাসা ছেরে এখানে এসে উঠার কারন তার বাসায় গ্রাম থেকে চিকিৎসা করার নামে যে আত্বীয়রা রা এসে উঠেছেন, তারা যাচ্ছেন না, বা রাসেলের মা তাদের যেতে দিচ্ছেন না, কারন টা সম্ভবত আত্বীয়াদের আর্থিক কোন ব্যাপার স্যাপার।

তো যা বলছিলাম, পুরো রমজান মাস জুরেই ম্যাস মালিক আফজাল সাহেব ভোররাতে এসে দরজায় নক করে তাদের ডেকে দেন। ঐ মিথুন ভাই,আনিস ভাই, উঠেন সেহরী করেন। ঘুম জড়ানো কন্ঠে তাদের কেউ একজন জানায় উঠছি ভাই, আফজাল সাহেব মহা সোয়াবের কাজ করেছেন ভেবে খুশী মনে ফিরে যান। মিথুন রা আবার ঘুমায়। কোন কোন দিন আফজাল সাহেব ইফতারের সময় তাদের মধ্যে কাউকে পেলে একরকম ধরেই নিচে বাসায় নিয়ে যান, একসাথে ইফতার করান। প্রায় প্রতিদিন এই সময় মিথুন ম্যাসে থাকে না, রাসেল তার ব্যাবসায়ীক কাজে বাইরে, খাওয়া হয় আনিস ভাই এর।

আজকের দিনটাও সেইম ছিলো, আনিস ভাই বিকেল থেকেই অপেক্ষায় আছেন মাগরীবের আজানের। তিনি বেশ ক্ষুধার্থ, গতকাল থেকে কিছুই খান নাই। না খাবার পিছনের কারন পড়শু রাতে তৃপ্তি ভাবী তাকে চারটা মিসকল দিয়েছেন। ফোন তার হাতেই ছিলো, এবং সেগুলো মিসকল ই ছিলো এ ব্যাপারে আনিস ভাই নিশ্চিত। এবং ব্যাপার টা তিনি মিথুন কে জানিয়েছেন।

একটা বা তিনটা না হয়ে চারটাই কেনো মিসকল সেটা একটা চিন্তার বিষয়। তৃপ্তি ভাবী সম্ভান্ত পরিবারের মেয়ে, তার ফোনে ব্যালেন্স নেই এমন টা হবার কোন কারন নাই। মিথুন কয়েকটা সহজ লজিক দিয়েছে আনিস ভাইকে। যেমন চার টা দেবার পর আর দেবার ইচ্ছা হয় নি, বা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আনিস ভাই আজ সেটা মেনে নিয়েছেন, এবং ইফতারের অপেক্ষা করছিলেন।

এইদিকে রাসেল ব্যাপার টাকে মোটেও সিরিয়াস ভাবে নেয় নাই। তার বক্তব্য চারটা মিসকল দিয়ে তৃপ্তি ভাবী একটা ম্যাসেজ দেয়ার চেষ্টা করছেন আনিস ভাইকে। তৃপ্তি ভাবী মুসলিম, ইসলামে চারটা বিয়ে সুন্নাত। অর্থাৎ তৃপ্তি ভাবী সম্ভবত আবার বিয়ে করতে যাচ্ছেন। কথাটা তখন সবাই হেসেই উড়িয়ে দিলেও,
আজ দুপুরের দিকে বনানীতে তৃপ্তিদের বাসার ডেকোরেশন দেখে এসে মিথুন জানে কথা টা সত্য।

এই মুহুর্তে মিথুন একটা টং দোকানে বসে আছে, দোকান টা নাবিলার বাসার সামনেই।

আনিস ভাই কে তথ্য টা জানানো উচিত হবে কিনা, তার থেকেও বড় চিন্তার ব্যাপার রাসেল। সেই রাসেল, যে ডিশ লাইনের ব্যাবসা আর কণার বাবাকে কিভাবে রাজি করানো যায় তা বাদ দিয়া অন্য কিছু নিয়ে মাথা ঘামাইতে অক্ষম, তার মাথায় এই ধারনাটার জন্ম কিভাবে হইলো। মিথুন নিজেই জানে, জাস্ট মাথায় আসছে দেখে বলে দিছে বলবে রাসেল, এবং রাসেল মিথ্যা বলে না। চিন্তা টা মাথায় গিট্টু পাকিয়ে দিচ্ছে, প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করলেও মিথুন রহস্য পছন্দ করে না। সে অন্য চিন্তা করতে পারে।

নাবিলা সম্পর্কে চিন্তা করা যায়। শর্মী পৃথিবীতে সবথেকে বেশী ঘৃনা করে এমন কোন মানুষ থেকে থাকলে নাবিলা একজন।যদিও তারা একে অন্যের সাথে ফেসবুকে কানেক্টেড, তবে নাবিলার কবিতায় মিথুনের প্রতিটা কমেন্ট নিয়ে শর্মী প্রায় ই চেষ্টা করে মিথুন এর সাথে ঝগরা করতে। এই কদিন আগেই,নাবিলার এক কবিতায় মিথুন লিখেছিলো "তবে কেনো মেঘ ডেকেও বৃষ্টি এলো না?" । বিনিময়ে শর্মী প্রথমে মিথুনের কাছে কিছু গালি শিখতে চায়, মিথুন তারে "বাংলা গালী সমগ্র" এর পিডিএফ লিংক ধরিয়ে দিলে পরের ম্যাসেজে লেখে "ইতর, লুইচ্ছা, মগা"। ইতর লুইচ্ছা এগুলোর মানে জানলেও মগা মানে মিথুন জানতো না। আনিস ভাই বুঝিয়ে বলেছেন, মগা হচ্ছে মাগী শব্দটার মেল ভার্শন।

নাবিলা একজন কবি এবং তাকে নিয়ে শর্মীর সমস্যা কোথায় তা বুঝতে মিথুন অক্ষম। এই মুহুর্তে নাবিলাকে চারটা মিসকল দেয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:০৩
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×